পার্থ বলেছিল---- ‘আয়, এবার ছন্দকে ভালোবাসি’
তরুণ মৃগের মতো শুভ্র চোখে প্রাচ্য রাত্রি ভেঙে
সেই এক গাঢ়
আমাকে নিমগ্ন
ক্ষুধা ছিঁড়েছিল
গলায় জুতোর
ঘড়ির কাঁটার
স্থির অসহায় এক শালিকের মতো ঘাড় গুঁজে |
---- এবং এমনি ক’রে শেষ সিগারেট জ্বেলে আমি,
এবং এমনি ক’রে তরুণ মদের পাত্র ভেঙে
বহু দূরে মায়ার অচঞ্চল আলোচনা শোনা-----
যেমন শুরুতে হয় পৃথিবীর ঘর ভেঙে শেষে !
কবি দ্রোণাচার্য ঘোষের কবিতা
|
এ কারণে অসম্ভব সিঁড়ির নিকটবর্তী তোমাকে একমাত্র ----
কাকে চাও, কেন আসো !
এ শহরে মানুষজন নির্জনতার ব্যাপ্ত পটভূমি ||
. ******************
. সূচিতে . . .
মিলনসাগর
এগিয়ে দিলো একাই |
. চিত্রিত মেঘ গোপনে
দাঁড়ালো একলা এসে---- ভয়ে ভয়ে নির্জনতা
না ভেঙে না ছুঁয়ে শুধু ভালোবাসা ফিরে পেতে |
. ******************
. সূচিতে . . .
মিলনসাগর
তোমার চোখে তবুও মেঘ ভাসে
এ কোন্ ছায়া রক্ত ছুঁয়ে আনো---
জানি না কোন্ শব্দ নিয়ে মনে
সারাজীবন আলোছায়ার গান
শোনাবে এক | গোপনে ক্ষণে ক্ষণে
সঙ্গে নিয়ে আলোর সম্মান !
তবুও আলো রোদে এবং জলে
তোমার চোখে দেবেই দেবে ভাষা,
শান্ত-ঘন মায়ার বাড়ি ভেঙে
নীলের দেশ উত্ক্রমণে আশা |
সেই কথাটা স্পষ্ট জেনে গেছি ;
চিরদিনের মৃত মানুষ যারা
তারাও আজ সেই কথাটা বলে---
তাইতো আমি স্পষ্ট জেনে গেছি |
রক্ত ঝরে বৃষ্টি হয়েঘন
মায়ার গাছে ছায়ার বাড়ি ঝোলে
বয়স-ঘন দৃষ্টি দ্যাখে কায়া----
সেই কথাটা তবুও জেনে গেছি |
অথচ হাতে আশার হাত ছিল
যোনির মতো ফাঁকা নরম সুখ !
শক্তি তবু বৃথাই আলো বোনে
সেই কথাটা স্পষ্ট জানা আজ !
. ******************
. সূচিতে . . .
মিলনসাগর
--- বলে শেষ অন্তকাল অশরীরী বাসনার গাছে
বেঁচে আছে | তুমি এসো | না-হয় খরচ পাবে কিছু |
মাঝে মাঝে পেড়ে দেয় দু’- একটা গল্পবোনা লিচু !
তবুও চতুর রঙ সবকিছু চুরি ক’রে মায়া
হয়ে যায় অতর্কিতে | বাসনার অবসরে ছায়া ||
. ******************
. সূচিতে . . .
মিলনসাগর
ধারাবাহিকতা শুধু এক সেই অর্থহীন মানে
সার্কাসের ভাঁড়ামিকে জপ করে ছুঁয়ে ছুঁয়ে একা—
নূতন বইয়ের মধ্যে কাদা ছিটে লেগে যাওয়া পাতা
শুধুই বিষণ্ণ করে ----- শুধুই বিষণ্ণ ক’রে যায়
---- অলস লোকের ভিড় নষ্ট কেন হবে না তবুও |
. ******************
. সূচিতে . . .
মিলনসাগর
দারুণ জ্বরের মধ্যে মুহ্যপ্রায়, আমাকে বাঁচাও
কবি দ্রোণাচার্য ঘোষ
২৪ / ৫ / ৬৭
দারুণ জ্বরের মধ্যে মুহ্যপ্রায়, আমাকে বাঁচাও
শরীর ঘেঁষে
তোমার বুকের কাছে হাত রাখতে তাড়িয়ে দিলে
কবি দ্রোণাচার্য ঘোষ
২৪ / ৫ / ৬৭
তোমার বুকের কাছে হাত রাখতে
আমি কি অন্ত্যজ এত? ভালোবাসা
আমাকে দুর্দান্ত তাপে অতর্কিতে শুধু
ফার্ণেসের গণ্ডগোলে | তুমি কি
অনর্থক আকুলতা, আমাকে
অথচ কিশোর আমি শুধু এক সঙ্গতা
তোমার দুয়ারে আশা নিয়ে গিয়েছিলাম
বুকের গোপন কুঁড়ে শান্তি আশা পেতে
সমস্ত চেষ্টায় দীপ্ত, অথচ বললে-----
আমার যুবক আছে, সে আসে শহর
এক ভ্রান্ত মধ্যরাতে গোপনীয় কারবারী
অথচ বুকের কাছে হাত রেখে করেছি
শুধু শেষ ভালোবাসা, কারো হাত না
পার্থ বলেছিল --- ‘আয়, এবার ছন্দকে ভালোবাসি’
কবি দ্রোণাচার্য ঘোষ
কোলকাতা , ২৫ / ৫ / ৬৭
শুধু ভালোবাসার জন্যে
কবি দ্রোণাচার্য ঘোষ
জয়পুর, ২৮ / ৫ / ৬৭
হাওয়া এলো | শূন্য ঘর | ছড়ানো সংসার | ফুল নেই
কবি দ্রোণাচার্য ঘোষ
১৪ / ৬ / ৬৭
মানুষের মাঝখানে বেঁচে থেকে বড় বেশি সুখ
কবি দ্রোণাচার্য ঘোষ
জয়পুর, ১৪ / ৬ / ৬৭
মৃত্যুর খুব কাছাকাছি একটা শহর আছে
কবি দ্রোণাচার্য ঘোষ
২ 0 / ৬ / ৬৭
অলস লোকের ভিড় চারপাশে আমাদের শুধু
কবি দ্রোণাচার্য ঘোষ
২১ / ৬ / ৬৭
শরীর বনেট খুলে রক্তমাংসমজ্জা আর গাঢ়
পৃথিবীর শ্রম-শান্তি --- ঘরে দূরে শোনা যায় তত
মায়াবী বিদেশ খোঁজে পর্যটন পর্যটন ---- খুশি
চতুর্দিক ছেড়ে গেছে---- কেউ নেই আশা নিয়ে কাছে---
মানুষের খুশি তবু স্বভাষী আলোক খুঁজে পায় !
অলস লোকের ভিড় আমাদের চারপাশে শুধু---
বিপ্লব অথবা কিছু মহত্তর কাজ কাছে নিয়ে
চেষ্টা নেই ক’রে যেতে ----- অভাবে প্রগাঢ় খুশি-ছায়া
মিছিলের সুর তারা ভুলে যেতে চায় কেন তবু ?
সাইকেল ভেঙে ফ্যালে --- ঘড়ির দৈনিক শব্দজাল
খবরের কাগজ বা মানুষের লোভ-রক্ত-সত্য-সফলতা
সব তারা ভুলে গিয়ে ক্ষমাহীন নীরবতা কেন কাছে রাখে ?
অত্যাশ্চর্য খুশি কেন নিব্যুঢ় রক্তের পিছু পিছু !
আমরা অলস হয়েপ’ড়ে আছি, চ’লে যাবো ভেবে
আরো বেশি অলসতা----- শব্দহীন শান্তি ভাবি দ্রুত
একান্ত নির্ভরয়োগ্য, অথচ কর্মের অভাব যে
আমাদের হত্যা করে---- হত্যা করে---- ঋণ শোধ দূর
অথচ মানুষের দলে নেমে গেলে সব চিন্তা সরে |
এই শহরে
মৈত্রেয়ীকে