কবি ফকির ইলিয়াসের কবিতা যে কোন গানের উপর ক্লিক করলেই সেই গানটি আপনার সামনে চলে আসবে।
|
স্বপ্ন বলে কোনো ইতিহাস ছিল না। ছিল কেবল সমুদ্রের আর্যকন্ঠে নিম্নচাপের স্বর।
. ******************
. উপরে
মিলনসাগর
জমে থাকা ঘামবিন্দু। কী সুঘ্রাণ নিয়ে ফোটে থাকা পলাশের মুখ এই শ্রাবণে,
যেভাবে চেয়ে থাকে তোমার ছবির দিকে। দিগন্ত ভুলে পাখিরাও ছড়ায় উষ্ণতা
পালকের, প্রহরের।
আমি তোমার ছায়াঘেরা কাব্যপ্রহর ভালোবাসি খুব। সেকথা তুমিও জানো।
জানো, আগামী বসন্তে ক’টি কোকিল সারি বেধে গাইবে বিরহ সঙ্গীত এই
পরিচিত বৃক্ষে। আর বৃক্ষও ঝরাবে পাতার প্রণালী।
কিছু প্রেমপত্র কাটাকুটি করে ফুরিয়ে যাবে আমার বিনত কলমের কালি।
. ******************
. উপরে
মিলনসাগর
পাখিগুলো উড়ে গেল অন্য আকাশ ছোঁয়ে।
থেকে গেল এক ফোঁটা রক্তের দাগ বহন করে।
ছিল আমার হাতে। আমিও
পাঁজর। যে জোনাক পোকা পুষেছিলাম
শোনে পুনরায় কাঁদলো বৃহস্পতির ভোর।
মানুষের প্রাণ ছিল হাজার
পাখিগুলো উড়ে গেল আমাদের ভাঙনের নীরব
এই সত্য বুকে নিয়ে খুঁজলাম পথ।
ঘরপ্রধান স্বরগুলো
ফকির ইলিয়াস
এর আগেও আমাদেরকে স্বাগত জানাতে এভাবে দাঁড়িয়ে থেকেছে
স্বরকালীন শীত। জলাধুনিক সমুদ্র, নিজস্ব ঢেউতন্ত্রে সাজিয়েছে
ভাষার বি......................................................................ছি আমরা, আর
রোদ পরি....................................................................... বেদনাবিলাস।
সাজাবার .....................................................................ধান রাগগুলো
শিখে নেবার ........................................................... আত্মজ্যোতিময়।
চাঁদের আ.......................................................................ড়ে যায় অন্য
উপগ্রহে। ......................................................................, চিলেকোঠা ভোরে।
আপাতত ................................................................ বৃষ্টির শব্দ শুনে
নিমগ্ন তাকানো ............................................................. পরস্পরের
গন্তব্য জানা-......................................................... লক্ষ্য আছে স্থির।
অবনত বৃ.............................................................. মৌনতার সিঁড়ি ভেঙে।
তারপর গঞ্জের দিকে হেঁটে যেতে যেতে ইচ্ছে আছে দেখা
পাবার, সেইসব ঘরপ্রধান স্বরগুলির। বাহুর বিশ্বায়ন সেরে, যারা
দাঁড়ায় একই কাতারে। বদলে দেবে বলে বার বার সম্মত সায়রে, ভাসে
এবং ভাসায় ডিঙা। চারপাশে ছিটিয়ে রাখে বেশকিছু জলঋতু ফুল।
. ******************
. উপরে
মিলনসাগর
কিছু দাগ রেখে যাই, ভিটেছবি -জলের আকার
আষাঢ়ের মূলগ্রহে এভাবেই রঙের প্রকার
ভেদ করে দূরাকাশ, শ্বাসে ভরা কদমের ঘ্রাণ।
মিশ্র ঝড়ের ছায়া ঘিরে রাখে আমাদের দিন
সপ্ত স্বপন ছুঁয়ে বেড়ে উঠে উনুনের আঁচ
উষ্ণ মুখের মায়া দেখে কাঁপে প্রতিবেশী কাচ
শুভ্র পাথর দেখে আঁকে ছবি শান্ত প্রবীণ ।
নমস্য নামতা পড়ে , চেয়ে দেখি আর্দ্র জমিনে
হাজার হলুদ ফুলে জোড়াহাত বুকের গহীনে ।
. ******************
. উপরে
মিলনসাগর
অন্য গ্রহান্তরে, জমা থাক আমাদের
যে সুখ সাজায় প্রতিমা। বীমা আর
রেখায় আমিও আঁকি সে দু'খে
ভুলে গিয়ে সুখ। বিমুখ আয়নার
চাই ভূমে, হেমন্তের সফল প্রয়োগ
সময়। লয় তাল ঠিক রেখে নদীবক্ষে
অতিপ্রিয় সনাতনী রোদ। বোধ
জলের ভাঁজে ডুবে যেতে যেতে,
. ******************
. উপরে
মিলনসাগর
আর কোনো দেনা বাকী আছে কী না,
জানালার শীর্ষে ছায়া হয়ে জেগে থাকে যে চাঁদের কণা
তাকেও বিদায় করে, ফিরিয়ে দেবো অন্য কোনো নগরে
তারপর পুনরায় একা হয়ে জীবনের বাকী ভুল সংগ্রহ করে
তোমাকেই বলবো – ভালো থেকো পারুল
এভাবেই যেতে হয়, তাই আমিও গেলাম- পরদেশে … কুড়িয়ে সব বিরহের ফুল।
. ******************
. উপরে
মিলনসাগর
সম্পূরক চাঁদের ছায়া
পাঠের প্রণয়
সমৃদ্ধ ভুলের মতো
ফকির ইলিয়াস
সমৃদ্ধ ভুলের মতো তোমার হাতে তুলে দিই জলের পেরেক। এক থেকে