বিপ্লবী কবি গণেশ ঘোষ – জন্মগ্রহণ করেন অবিভক্ত বাংলার যশোর জেলার, বিনোদপুরে। তাঁর
জীবন জুড়ে ছিল এক অগ্নিযুগের কাহিনী। এই বিপ্লবীদের জীবন-কাহিনী পরবর্তীকালে বাংলা সাহিত্যকে
ভীষণভাবে প্রভাবিত করে। তাঁদের জীবনকে কেন্দ্র করে বহু গল্প-নাটক-উপন্যাস রচিত হয়। তৈরি হয় বহু
চলচিত্র কলকাতা এবং বম্বেতেও।
কবির পিতা বিপিনবিহারী ঘোষ ছিলেন রেলের কর্মচারী। পিতার কর্মস্থল ছিল চট্টগ্রাম। কবি চট্টগ্রাম
মিউনিসিপ্যাল হাইস্কুলে পড়াশোনা করার সময় বন্ধু অনন্ত সিং এর মাধ্যমে মাস্টারদা সূর্য সেনের সংস্পর্শে
আসেন। এরপর তিনিও বিপ্লবী দলে যোগ দেন।
১৯২১ সালে তিনি অসহযোগ আন্দোলনে অংশ গ্রহণ করেন। ১৯২১ সালে অসহযোগ আন্দোলনের সময়
কংগ্রেস নেতৃবৃন্দ সমগ্র দেশ জুড়ে শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান বয়কটের ডাক দিলে গণেশ ঘোষ চট্টগ্রাম মিউনিসিপ্যাল
স্কুল বয়কটে উদ্যোগী হন। তাঁর নেতৃত্বে ওই স্কুলের প্রায় সকল ছাত্রছাত্রী শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান বয়কট করেন।
এছাড়াও তিনি চট্টগ্রামে বার্মা অয়েল কোম্পানির ধর্মঘট, স্টিমার কোম্পানির ধর্মঘট ও আসাম-বেঙ্গল
রেলওয়ে ধর্মঘট প্রভৃতিতেও সক্রিয় অংশ গ্রহণ করে নেতৃত্ব প্রদানে ভূমিকা রাখেন।
বিপ্লবী দলের কর্মকাণ্ডের প্রতি একাগ্রতার কারণে মাধ্যমিক পাশ করার পর তিনি উচ্চ শিক্ষার জন্য
কলকাতায় পড়তে যেতে রাজি ছিলেন না। অবশেষে মাষ্টারদা সূর্যসেনের পরামর্শ অনুযায়ী ১৯২২ সালে
তিনি কলকাতায় এসে ভরতি হন বেঙ্গল টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউটে (বর্তমানে যাদবপুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ)।
সেখানে পড়াশোনা করার সময়েই ১৯২৩ সালে বোমা বানানোর অভিযোগে তিনি গ্রেফতার হন। কিন্তু
সেবার তিনি প্রমাণের অভাবে মুক্তি পান। ১৯২৪ সালে ভারত রক্ষা আইনে গ্রেফতার হয়ে চার কারাবরণ
করেন।
১৯২৮ সালে কলকাতায় সর্বভারতীয় কংগ্রেসের সাধারণ অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়। গণেশ ঘোষ প্রতিনিধি
হিসেবে কংগ্রেসের এই অধিবেশনে যোগ দেন। এই অধিবেশনে সুভাষচন্দ্রের নেতৃত্বে ও পরিচালনায় বেঙ্গল
ভলান্টিয়ার্স বাহিনী গঠিত হয়। এই বাহিনীর চরিত্র ছিল সামরিক। 'হিন্দুস্থান সেবক দল' নামে আরেকটি
বাহিনী সেসময় তৈরী হয়। কিন্তু সে দলের সাথে এ দলের পার্থক্য হল বেঙ্গল ভলান্টিয়ার বাহিনীতে নারী ও
পুরুষ বিপ্লবী ছিল। বেঙ্গল ভলান্টিয়ার বাহিনীকে সামরিক মানসিকতায় শিক্ষা প্রদান করা হয় এবং এ
বাহিনীর প্রতিটি সদস্যকে স্বাধীনতার জন্য যে কোনো ত্যাগ স্বীকারে মানসিক ভাবে প্রস্তুত করা হয় । গণেশ
ঘোষ বেঙ্গল ভলান্টিয়ার্স বাহিনীর জি.ও.সি. মনোনীত হন। ১৯২৯ সালে চট্টগ্রাম জেলা কংগ্রেসে নির্বাচিত
হওয়ার পর মাস্টারদা সূর্য সেন যে ‘বিপ্লবী পরিষদ’ গঠন করেছিলেন, গণেশ ঘোষ ছিলেন তার পাঁচ সদস্যের
অন্যতম সদস্য। অন্য সদস্যেরা ছিলেন মাস্টারদা নিজে, অম্বিকা চক্রবর্তী, নির্মল সেন ও অনন্ত সিংহ। এদলে
পরবর্তীতে লোকনাথ বলকে যুক্ত করা হয়। পরে পরিষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দলের নাম পালটে ‘ইন্ডিয়ান
রিপাবলিকান আর্মি, চট্টগ্রাম শাখা’ রাখা হয়।
চট্টগ্রামে ব্রিটিশ শাসনের উচ্ছেদ ঘটিয়ে এক স্বাধীন বিপ্লবী জাতীয় সরকার গঠনের দুঃসাহসী পরিকল্পনা নেয়
এই বিপ্লবী পরিষদ। সেই পরিকল্পনা অনুসারে একটি বিপ্লবী বাহিনী গঠন করার কাজ শুরু হয়। ক্রমান্বয়ে
এই দলে যুক্ত হন নির্মল সেন, ধীরেন চক্রবর্তী, উপেন চক্রবর্তী, নগেন সেন, বিনয় সেন, মধু দত্ত, রাজেন দে,
লোকনাথ বলসহ আরো অনেকে । ওই সময় পর্যন্ত দলে কোনো মেয়ে সদস্য ছিল না। সচ্চরিত্র, স্বাস্থ্যবান,
সাহসী যুবক ও স্কুল-কলেজের ছাত্রদেরই নেয়া হতো এই বিপ্লবী দলে। বিপ্লবীদের নানাভাবে যাচাই-
বাছাইয়ের পর এই দলে তাঁদেরকে অন্তর্ভূক্ত করা হতো। নিয়মিত অস্ত্রচালনা শিক্ষা চলতে থাকে এবং
অস্ত্রশস্ত্র, বোমা ইত্যাদিও সংগৃহীত হতে থাকে। প্রায় ৫০ হাজার টাকাও সংগৃহীত হয়ে যায়। সামরিক
বাহিনীর সর্বাধিনায়ক সূর্যসেনের নেতৃত্বে জাতীয়তাবাদী আইরিশ বিপ্লবীদের 'ইস্টার বিদ্রোহের' স্মৃতি
বিজড়িত 'গুডফ্রাইডের' দিনে ১৯৩০ সালের ১৮ এপ্রিল রাত দশটায় চট্টগ্রামে বিপ্লবীদের অত্যন্ত
সুপরিকল্পিত অভিযান শুরু করার বিষয়ে বিপ্লবীদের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
গণেশ ঘোষ ছিলেন এই অভিযানের ফিল্ড মার্শাল। রাত দশটা পনের মিনিটে বিপ্লবীরা সশস্ত্র অভ্যুত্থানের
মাধ্যমে চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার দখল করেন। বিপ্লবীরা একের পর এক অতর্কিত আক্রমণ করে সরকারি
অস্ত্রাগার, টেলিফোন কেন্দ্র, টেলিগ্রাফ ভবনসহ সকল গুরুত্বপূর্ণ স্থান অধিকার করে নেন, যা ছিল দেড়শত
বছরের ইতিহাসে ইংরেজদের জন্য খুবই অপমানজনক ঘটনা। এটি ছিল সরাসরি ইংরেজ বাহিনীর প্রথম
পরাজয়।
১৯ এপ্রিল সকাল বেলা অগ্নিদগ্ধ তরুণ বিপ্লবী হিমাংশু সেনকে নিয়ে গণেশ ঘোষ, অনন্ত সিং, মাখন ঘোষাল
ও আনন্দ গুপ্ত শহরে আসেন। ওই দিন বিকেল বেলা গণেশ ঘোষের বাবা বিপিন বিহারী ঘোষের 'স্বদেশী
বস্ত্রভাণ্ডারে' পুলিশ তল্লাশি চালিয়ে অস্ত্রাগার দখল কর্মসূচির 'মবিলাইজেশন' তালিকা পায়। কিন্তু ওই
তালিকায় বিপ্লবীদের ডাক নাম থাকায় পুলিশ তেমন কাউকে চিনতে পারে না। তাই পুলিশ ওই অঞ্চলের
প্রায় সকলের বাড়ি তল্লাসী চালায় এবং অনেক পরিবারের সদস্যদের মারধর করে।
এদিকে বিপ্লবীরা সারারাত অভিযানের ফলে ক্ষুধার্থ থাকায় খাবারের উদ্দেশ্যে আনন্দ গুপ্তের পেরেডের
দক্ষিণ পশ্চিম কোণে টিলার উপরের বাসায় গিয়ে উঠার কিছুক্ষণ পরেই পুলিশ সেখানে গিয়ে উপস্থিত হয়।
গণেশ ঘোষ ও অনন্ত সিং অন্য দুই সাথীকে নিয়ে পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে আনন্দ গুপ্তের বাসার পিছন
দিক দিয়ে দেবপাহাড়ের জঙ্গলে চলে যান। সেখানে কিছুক্ষণ থাকার পর তাঁরা শহরের দক্ষিণ দিকে
ফিরিঙ্গিবাজারের কাছে বিপ্লবী রজত সেনের বাবার বাসায় গিয়ে উঠেন। রজত সেনের মা তাঁদের আশ্রয়
দেন। তিনি রজতের খোঁজ নিলে গণেশ ঘোষ জানান, সে মাষ্টারদা'র সঙ্গে আছেন। সেখানে খাওয়া-দাওয়ার
পর তাঁরা যখন বিশ্রাম নিচ্ছেন, এমন সময় সেখানে পুলিশ আসে। রজতের মা নিজের ছেলের মতো এই
বিপ্লবীদেরকে বাঁচানোর জন্য ঘরের মাচার মধ্যে লুকিয়ে রাখেন। পুলিশ ঘরে প্রবেশ করলে বিপ্লবীরা মাচার
ভেতরেই রিভলবার নিয়ে প্রস্তুত হন। পুলিশ মাকড়শার জাল ও পুরানো ময়লা জড়ানো মাচার দিকে
তাকিয়ে ভ্রুক্ষেপ না করে চলে যায়।
এরপর বিপ্লবীরা গায়ে ধূলাবালি ও ময়লা মেখে পুরানো ছেঁড়া কাপড় পরে এখান থেকে দক্ষিণ কাট্টলীতে পূর্ব-
পরিচিত এক বিপ্লবীর বাড়িতে গিয়ে উঠেন। ২০ ও ২১ এপ্রিল গণেশ ঘোষ ও অনন্ত সিং অনেক চেষ্টা
করেও মাষ্টারদাসহ অন্য বিপ্লবীদের সাথে মিলিত হতে পারলেন না। অবশেষে তাঁরা সিদ্ধান্ত নেন ২২ এপ্রিল
গ্রাম্যচাষীর ছদ্মবেশে তাঁরা চট্টগ্রামের বাইরে চলে যাবেন। ওই দিন তাঁরা ট্রেনে করে কলকাতা যাওয়ার
উদ্দেশ্যে রওনা দেন।
ফেনী স্টেশনে পৌঁছার পর পুলিশ তাঁদেরকে ট্রেন থেকে নামিয়ে টিকিট মাষ্টারের ঘরে নিয়ে যায়। পুলিশ
তাঁদের শরীর তল্লাশী করার জন্য হাত দিবেন এমন সময় অনন্ত সিং এর রিভলবার গর্জে উঠে। মুহুর্তের
মধ্যে এক পুলিশ লুটিয়ে পড়ে এবং অন্যদেরকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে গুলি ছুড়তে থাকেন। এসময়
প্রথমে অনন্ত সিং পরে গণেশ ঘোষ বিছিন্ন হয়ে যান। আনন্দ গুপ্ত ও মাখন ঘোষাল মাথায় আঘাত নিয়ে
দুই সহযোদ্ধাকে খুঁজতে থাকেন। অনেক খোঁজাখুজির পর গভীর রাতে গণেশ ঘোষের সাথে দেখা হয়
তাঁদের। এরপর তাঁরা অনন্ত সিংকে খুঁজতে থাকেন। কিন্তু কোথাও না পেয়ে, অবশেষে তাঁরা কলকাতার
যুগান্তর অফিসে চলে যেতে সক্ষম হন।
১৮ থেকে ২১ এপ্রিল এই চারদিন চট্টগ্রামে ইংরেজ শাসন কার্যত অচল ছিল। বিপ্লবীদের এ বিজয় ছিল
গৌরবগাঁথা। ২২ এপ্রিল ভোর ৪টা থেকে সাড়ে ৪টার মধ্যে চট্টগ্রাম নাজিরহাট শাখা রেললাইনের ঝরঝরিয়া
বটতলা স্টেশনে একটি সশস্ত্র ট্রেন এসে থামে। বিপ্লবীদের তখন বুঝতে বাকি রইল না যে তাঁদের
সম্মুখযুদ্ধের ক্ষণ আসন্ন। ওইদিন ব্রিটিশ সরকার সূর্য সেন, নির্মল সেন, অম্বিকা চক্রবর্তী, গণেশ ঘোষ, অনন্ত
সিং ও লোকনাথ বলকে ধরিয়ে দিতে পাঁচ হাজার টাকা করে পুরস্কার ঘোষণা করে।
২২ এপ্রিল সকালে বিপ্লবীরা যখন জালালাবাদ পাহাড়ে বসে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন তখন কয়েকজন কাঠুরিয়া ওই
পাহাড়ে জ্বালানি কাঠ সংগ্রহ করতে যায়। খাকি পোশাকে রাইফেলধারী কিছু যুবককে সেখানে দেখে তারা
দ্রুত লোকালয়ে ফিরে গিয়ে লোকজনের কাছে বলে দেয়, স্বদেশীরা ওই পাহাড়ে আছে। এই খবর পুলিশের
কাছে পৌঁছার পর সেনাবাহিনীর সশস্ত্র রেল গাড়ি জালালাবাদ পাহাড়ের কাছে এসে থামে।
জালালাবাদ পাহাড়ে তখন বিপ্লবীরা কেউ রাইফেল পরিষ্কার করছে কেউ বা ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা নিয়ে
আলোচনায় ব্যস্ত। গাছের ডালে পাহারারত বিপ্লবীরা দেখতে পায় সামরিক ট্রেনটি কোন স্টেশন না থাকা
সত্ত্বেও অদূরে রেল লাইনের উপর থেমে গেল। ঝোপের আড়াল থেকে বিপ্লবীদের ছোঁড়া হঠাৎ গুলির
আঘাতে সৈন্যদল বিভ্রান্ত হয়ে পিছিয়ে যেতে থাকে। সৈন্যরা এরপর জালালাবাদ পাহাড়ের পূর্ব দিকে ছোট্ট
একটি পাহাড়ের উপর লুইসগান বসিয়ে বিপ্লবীদের দিকে গুলিবর্ষণ করে। দেশপ্রেম আর আত্মদানের গভীর
আগ্রহে তরুণ বিপ্লবীরা পাহাড়ের বুকের উপর শুয়ে সৈন্যদের লুইসগানের গুলিবর্ষণের জবাব দিচ্ছিলেন।
জীবিত বিপ্লবীরা শহীদদের লাশ পাশাপাশি শুইয়ে রেখে সামরিক কায়দায় শেষ অভিবাদন জানান। পাহাড়ে
সুর্যসেনের নেতৃত্বে কয়েক শো পুলিশ আর সেনা বাহিনীর সাথে বিপ্লবীদের সম্মুখযুদ্ধ হয়। যুদ্ধে ব্রিটিশ
বাহিনীর ৮০ জন এবং বিপ্লবী বাহিনীর ১২ জন বিপ্লবী শহীদ হন। যুদ্ধের এক পর্যায়ে ব্রিটিশ বাহিনী পালিয়ে
যেতে বাধ্য হয়।
১৯৩০ সালের ১ সেপ্টেম্বর চন্দননগর সংঘর্ষের ঘটনায় অন্যান্য কয়েকজনের সঙ্গে বিপ্লবী গণেশ ঘোষও বন্দি
হন। ১৯৩২ সালে অস্ত্রাগার লুণ্ঠন মামলায় দণ্ডিতদের সঙ্গে তাঁকেও “কালাপানি” আন্দামানের সেলুলার জেলে,
দ্বীপান্তরে পাঠানো হয়। মাস্টারদা সূর্য সেনের ফাঁসি হয়। ১৯৩৫ সালের এপ্রিল মাসে আন্দামান সেলুলার
জেলে দুই কমিউনিস্ট নেতা কমরেড আব্দুল হালিম ও সরোজ মুখার্জী রাজবন্দী হয়ে এলেন। এই দুই বিপ্লবী
আন্দামানে বন্দীদের রাজনৈতিক পড়াশুনা ও সমাজতন্ত্র-সাম্যবাদ সম্পর্কে ধারণা দিলেন। বন্দীদের মধ্যে
প্রতিদিন গোপনে গোপনে বৈঠক হতো। এভাবে তাঁরা গঠন করলেন কমিউনিস্ট গ্রুপ। যে গ্রুপের মধ্যে যুক্ত
হলেন গণেশ ঘোষ।
১৯৪৬ সালে মুক্তি পাওয়ার পর তিনি ভারতের কমিউনিস্ট পার্টিতে যোগ দেন। পার্টি নিষিদ্ধ হলে তিনি
১৯৪৮ থেকে ১৯৫২ সাল পর্যন্ত কারারুদ্ধ থাকেন। ১৯৬৪ সালে কমিউনিস্ট পার্টি বিভাজনের পর তিনি
ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্ক্সবাদী) নামে নবগঠিত দলটিতে যোগদান করেন। ১৯৫২, ১৯৫৭ ও ১৯৬২
সালে তিনি বেলগাছিয়া বিধানসভা কেন্দ্র থেকে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় নির্বাচিত হন। ১৯৬৭ সালে তিনি
কলকাতা দক্ষিণ লোকসভা কেন্দ্র থেকে লোকসভাতে নির্বাচিত হন। ১৯৭০ সালে মাস্টারদা সূর্য সেনের
সহকর্মী ও অনুরাগীদের নিয়ে গঠিত ‘বিপ্লবতীর্থ চট্টগ্রাম স্মৃতি সংস্থা’-র সভাপতিত্বের ভার গ্রহণ করেন।
বিপ্লবী গণেশ ঘোষের একটি কবিতা আমরা পেয়েছি ভারতের ছাত্র ফেডারেশন (S.F.I.), পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য
কমিটির সম্পাদক মণ্ডলীর সম্পাদনায়, কলকাতা বইমেলা ২০০৭ এ প্রকাশিত, কাব্যসংকলন “প্রতিবাদী
বাংলা কবিতার সংকলন” থেকে। এই কারণে তাঁদের আমরা জানাই আন্তরিক কৃতজ্ঞতা। মিলনসাগরের
কবিদের সভা শুধু কবিতার সংকলন নয় এটি আসলে কবিতা ও কবিদের জীবনীর ভেতর দিয়ে বাঙালীর
ইতিহাস কে নতুন করে চেনার একটি প্রয়াস। বিপ্লবী গণেশ ঘোষের কবিতা ও জীবন বাংলার সেই
গৌরবময় ইতিহাসের এক উজ্জ্বল অধ্যায়।
আমরা মিলনসাগরে বিপ্লবী কবি গণেশ ঘোষ-এর কবিতা তুলে আগামী প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দিতে পারলে
এই প্রচেষ্টাকে সার্থক মনে করবো।
কবি গণেশ ঘোষ-এর মূল পাতায় যেতে এখানে ক্লিক করুন।
উত্স - গণেশ ঘোষ, রফিকুল ইসলাম (শেখ রফিক), ওয়েবসাইট - গুণীজন.অর্গ.বিডি ।
আমাদের ই-মেল - srimilansengupta@yahoo.co.in
এই পাতা প্রকাশ - ১৮.৬.২০১৪
...