আবার এটা এল কেটা কবি গিরিবালা দেবী নাম-সার কাব্যগ্রন্থ থেকে নেওয়া
॥ বাগেশ্রী, দাদরা॥
আবার এটা এল কেটা এলোকেশা দিগম্বরা, বিকটদশনা, লোলরসনা অতি ভয়ঙ্করা। . কপাল থেকে লাফিয়ে পড়ে, . ধচ্চে খাচ্চে গিলছে আড়ে, অসি লয়ে কাটছে তেড়ে, মসীবর্ণ শশীধরা।
হুহুঙ্কারে দৈত্যনাশ, মুহুর্মুহুঃ অট্টহাস, মেঘে বিজলি প্রকাশ ভক্তজন ভয়হরা। . যেন ‘বালা’র আঁখি কাছে, . মড়ার উপর দাঁড়িয়ে নাচে, হায় এ রূপ যে দেখেছে, তার হয়েছে কর্ম্ম সারা॥
মা তোর পদে লুকায়ে থাকি কবি গিরিবালা দেবী নাম-সার কাব্যগ্রন্থ থেকে নেওয়া
॥ ছায়ানট, দাদরা॥
. মা তোর পদে লুকায়ে থাকি অহরহঃ নয়ন মুদে ও রূপখানি সদাই দেখি। ঐ দেখা যায় দেখ মা শ্যামা, শমন মারে উঁকি ঝুঁকি, কখন এসে ধরে বা সে, ঐ ভয়ে মা তোরে ডাকি। মা ভবারাধ্যে, জগতবন্দ্যে জগতমাতা তুমি নাকি, কালীবোলা এ অবলা, ‘বালা’রে দিও না ফাঁকি॥
বলে বলুক মন্দ লোকে আমাকে কবি গিরিবালা দেবী নাম-সার কাব্যগ্রন্থ থেকে নেওয়া
॥ কাফি, কাহারবা॥
বলে বলুক মন্দ লোকে আমাকে, তাতে মন ভুলনাকো আপনি আপনাকে। ধরেছ তো ধরে থাক ধরেছ যাঁকে॥ মন্দ লোকে সন্দ করে কয় মন্দ ভালকে। সে কথায় কি এসে যায় ডাক শ্যামা মাকে॥ ভদ্রে কখন মন্দ কয় না যদি দেখে চোখে। মন্দ কথা শুনে না সে হস্তে কর্ণ ঢাকে॥ মন্দ লোকে নিন্দা করে, আপনার পাপে আপনি মরে। গুরুপুত্র আনিতে যমপুরে, হরি তরালেন না নিন্দুকে॥ পাপ ক্ষয় হয় জানি বৃথা কলঙ্কে, ‘নিন্দুকা হি মহাভারা’ লিখে শ্লোকে ; সাধিতে কি বাধা মনে মানে সাধকে, কি করিতে পারে তারে পাপতাপ শোকে॥ সে যে সদানন্দপুরে সদানন্দে বাস করে, সদা থাকে লোকান্তরে লোকালয়ে থেকে, বালার রসনা যেন সদা রসে থাকে, নীরসে বিরস বাক্য না বলে কাহাকে॥
জাননা গো কেমন নামের জোর কবি গিরিবালা দেবী নাম-সার কাব্যগ্রন্থ থেকে নেওয়া
॥ কাফি, ত্রিতাল॥
. জাননা গো কেমন নামের জোর, . এবার মানবো না আর কোন ওজোর। . আমি তো মা এগিয়ে আছি . লয়ে ঝোলা কৌপিন ডোর। জগৎ-মাতা তুমি মাতা জানবো কেমন দয়া গো তোর। . কালী কালী কালী নামে . যখন আমি হয়ে যাই ভোর, তখন জ্ঞান থারে না ত্রিনয়না, কখন সন্ধ্যা, কখন ভোর॥