কবি গিরিবালা দেবী – জন্ম গ্রহণ করেন কলকাতার ভবানীপুরের এক সম্ভ্রান্ত বংশে। পিতা নন্দকুমার
মুখোপাধ্যায়। স্বামী পার্ব্বতীচরণ চট্টোপাধ্যায়। তাঁরই কন্যা ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংসের কৃপাধন্যা
শ্রীশ্রীগৌরীমা জননী রূপে খ্যাত হন। পরবর্তী কালে গৌরী-মা প্রথমে বারাকপুরের গঙ্গাতীরে ও পরে
বাগবাজারে
শ্রীশ্রীসারদেশ্বরী আশ্রম প্রতিষ্ঠা করেন।    

গিরিবালা দেবীর শ্বশুরবাড়ী ছিল হাওড়ার শিবপুর অঞ্চলে।

তাঁর সম্ভবত প্রথম প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ “বৈরাগ্য সঙ্গীতমালা”। দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ “নামসার” প্রথমবার প্রকাশিত
হয় ১৩০২ বঙ্গাব্দে (১৮৯৬)। বইটি পুনঃপ্রকাশিত হয় ৩০শে মাঘ ১৩৬৩বঙ্গাব্দে (১২ ফেব্রুয়ারী ১৯৫৭),
শ্রীদুর্গাপুরী দেবীর উদ্যোগে যিনি বইটির প্রকাশিকাও ছিলেন। এবার এই বইয়ের ভূমিকা লিখে দিয়েছিলেন
কবি কালিদাস রায়। আমরা সেই ভূমিকাটি হুবহু তুলে দিচ্ছি। এই ভূমিকাতেই, কবি গিরিবালা দেবী ও তাঁর
রচিত শাক্তগীতি সম্বন্ধে প্রকৃত মূল্যায়ণ পাওয়া যায়।


কবি কালিদাস রায়ের লেখা ভূমিকাটি পড়তে . . . এখানে ক্লিক্ করুন

এছাড়া গিরিবালা দেবী সাংখ্যদর্শন সম্বন্ধেও একটি প্রবন্ধ লিখেছিলেন। তিনি সংস্কৃত ভাষা জানতেন।
ইংরেজী ও পারসী ভাষাও কিছু কিছু জানতেন। ‘বালা’ ভণিতায় তিনি তাঁর গান লিখে গেছেন।

শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংস কবির সঙ্গীত শুনে প্রীত হয়েছিলেন। শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংস, শ্রীশ্রীসারদা দেবী ও
স্বামী বিবেকানন্দ প্রমুখ অনেকেই তাঁদের ভবানীপুরের বাড়ীতে পদার্পণ করেছিলেন।

আমরা
মিলনসাগরে  কবি গিরিবালা দেবীর শাক্তগীতি তুলে আগামী প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দিতে পারলে এই
প্রচেষ্টার সার্থকতা।

কবির একটি ছবি ও তাঁর জীবন সম্বন্ধে আরও তথ্য যদি কেউ আমাদের পাঠান তাহলে আমরা, আমাদের
কৃতজ্ঞতাস্পরূপ প্রেরকের নাম এই পাতায় উল্লেখ করবো।


উত্স ---  কবি কালিদাস রায়, ভূমিকা, নামসার, ১৩৬৩ বঙ্গাব্দ (১৯৫৭)।    
.           শ্রী দুর্গাপুরী দেবী, প্রকাশিকার নিবেদন, ১৩৬৩ বঙ্গাব্দ (১৯৫৭)।  



কবি গিরিবালা দেবীর মূল পাতায় যেতে এখানে ক্লিক করুন


আমাদের ই-মেল -
srimilansengupta@yahoo.co.in     


এই পাতা প্রথম প্রকাশ - ১৪.১২.২০১৪
...