বুদ্ধির শানিত অসি মানুষের হৃৎপিন্ড কেটেছে কত টাকাকড়ি, বাড়ীগাড়ি, অর্থের সঞ্চয়, তবু আশা ও অতৃপ্তি ছাড়া কিছুই জোটেনি |
. কামনা অতৃপ্ত আছে, সরলতা মাথা কুটে মরে, . বারংবার ক্লান্ত করে পাশবিক ক্ষুধা, . মানুষকে গোপনে কাঁদায় |
তবু সিক্ত জরায়ুর মতো লালসা স্ফিত হয়, অর্বাচীন মানুষের অর্থের লালসা | এতো সুখ নয়, বুদ্ধি আর বিবেকের অসিতে . মরে যাওয়া | তারপর সে যখন বুঝতে পারে . লজ্জা পায় |
বহুদিন পরে বিকাশও আজ আমাকে দেখে . লজ্জায় মাথা নোয়ালো ; . ওর মনে পড়লো--------
বিবেকের দংশনে এই রেল লাইনে একদিন . নিজেকে শেষ করতে এসেছিল |
যেন মনে হয় সব কিছু মরে গেছে . কবেকার ঝ’ড়ে | একদিন যে শিশুটি হাঁটতো পল্লীতে . ফড়িং ও পাখিদের মাঝে, সেদিন শৈশব তার হারিয়েছিল ঘাসে, সে আর হাঁটতে পারে না পিচ্ গলা রোডে | . এখনো সেই ঘ্রাণ দেহের ভিতর . খেলা করে |
নির্জন আঁধারে যখন একা থাকি . চোখের সামনে ভাসে সেই ছবি ; স্পষ্ট দেখতে পাই মা পিঠে গড়ছে . উনুনের আঁচে,
এই আমি একদিন ভেঙ্গে যাবো, . ঐ ভাঙ্গা বাড়ীটার মতো | সেদিন মিষ্টি কথায় কেউ বলবে না . ওহে হাঁটতে পারছো ? দিনগুলি রাত্রিগুলি মরে যাবে সোৎপ্রাস পাশে | তখন বধির স্বপ্ন ; . স্বপ্ন মানে কিছু ক্লান্তি, ব্যর্থতা তখন, সেদিন কেউ জানতে চাইবে না হাঁটতে পারছি কিনা |
আমার চোখের সামনে থেকে আলোটা সরিয়ে নাও, কিছুক্ষণ অন্ধকারে মুন্ডহীন অন্তরীন থাকতে চাই | এখনো হৃদয়ে, হৃৎপিন্ডে সেই অন্ধকারের ঢেউ,. কিংবা অন্ধকারে নারীর প্রসব বেদনার ছবি, আমার বুকের দগ্ধ চিহ্নের মতো |
সাজানো নরম বিছানাটা থেকে ফুলগুলো সরিয়ে নাও, কিছুক্ষণ মনুষ্য নামক প্রাণীগুলোকে ভালোবাসতে চাই | এখনো চোখের সামনে সেই অন্ধকারের দেশ, তোমার সান্ত্বনা, আদর অথবা ভালোবাসা, সবই যেন কতযুগের মিথ্যা প্রবঞ্চনার মতো |
তুমি বরং আলোটা এখনই নিভিয়ে দাও, কিছুক্ষণ অন্ধকারে মুন্ডহীন অন্তরীণ থাকতে চাই |