কত না নদীর জন্ম হয় আর একটা কেন গঙ্গা হয় না | কত মানুষ জন্ম লয়, ওরা একটা কেন জাত হয় না | কত রঙের হয় যে ধেনু দুধের রঙ তো সাদা, যে মাটিতে ফলে ফসল, সেই তো আবার কাদা, দুধের সাদা ছাড়া রঙ হয় না, বাউল গানের জাত হয় না আর একটা তাই গঙ্গা হয় না | ভিন্ন বৃক্ষে দুটি কুসুম, ফুটলে গো একসাথে একই পূজায় লাগে তারা, এক পুজারীর হাতে, ওরে ফুলের কোন জাত হয় না আর একটা তাই গঙ্গা হয় না |
যা খুশী ওরা বলে বলুক ওদের কথায় কি আসে যায় ওরাই রাতের ভ্রমর হ’য়ে নিশিপদ্মের মধু যে খায় || ওরা দিনের বেলায় যাদের দেখে শুধু ঘৃণা ছেটায় আবার রাতে তাদের বধূ করে, পশুর ক্ষিদে মেটায়, ওদের এমন যাদু দিনে সাধু, নামাবলী ওরা পরে যে গায় || ওরাই রাতের ভ্রমর হয়ে নিশিপদ্মের মধু যে খায় || তোমরা পান্থশালার সাকি সেজে, যাদের পান পেয়ালা ভরো. তাদের কাছে কি পেলে তার হিসাব কেন করো, ওরা যে গণ্যমান্য দেশবরেণ্য, দশের প্রণাম ওদেরই পায় | ওরাই রাতের ভ্রমর হয়ে নিশিপদ্মের মধু যে খায় ||
এমন বন্ধু আর কে আছে তোমার মত মিষ্টার কখনো বা ডারলিং কভু তুমি জননী, . কখনো বা স্নেহময়ী সিস্টার || চলে গেলে ----- যেতে দাও, হয়তো কখনো যদি দেবদাস হয়ে কেউ বুকটাতে অকারণ চোট পায় পার্বতী নামে কেউ ছিল তার জীবনে একটি পেলেই, হু হু বাবা, একটি পেলেই সে যে ভুলে যায় মিষ্টার প্রেয়সীরা আজকাল বলে বলেনাতো ভালবাসি বলে শুধু শাড়ী দাও দাও টাকা দাও দাও দাও দিয়ে দাও, গেলাসকে প্রিয়া ভেবে যত খুশী তার সাথে প্রাণ খুলে ভক্ ভক্ করে যাও, খরচ চাই----ও মিষ্টার || কান হলো ঝালাপালা, অনাহারে শিশু কাঁদে শেষ নেই আজ এই কান্নার বোতলের গুণে জানি------ মাতাল এ মনটার . বাজবে না কোন হাহাকার | এমন বন্ধু আর কে আছে---
ও মালিক সারাজীবন কাঁদালে যখন আমায় মেঘ করে দাও | তবু কাঁদতে পারবো পরের দুঃখে অনেক ভাল তাও | মানুষ যেন কোর না আমায় মেঘ করে দাও || ফসল হারা শুকনো মাটির বৈশাখেতে তৃষ্ণা পেলে সাগর থেকে জল এনে যে বৃষ্টি ধারায় দেব ঢেলে আর রামধনুকে বলবো আমায় রাঙিয়ে দিয়ে যাও || আকাশটা যে হবে কাগজ তাতে বিজলী আখর দিয়ে আরেকটা নয় মেঘদূত হোক লেখা আমায় নিয়ে, আমি মজনুর চোখে হবো না মেঘ এই কি তুমি চাও ? মানুষ যেন কোর না আমায় মেঘ করে দাও |
তোমার সমাধি ফুলে ফুলে ঢাকা কে বলে আজ তুমি নাই তুমি আছ মন বলে তাই তোমারই অমন নাম জয় গৌরবে | স্মরণে যে চিরদিন জানি লেখা রবে মরণে হারাতে তোমাকে যেন পাই তোমার জীবন যেন কাহিনীর মত, হে বিজয়ী বীর ছিল জয় তব ব্রত ধূপেরই মত যেন মরণে সুখে, তোমার জীবন তুমি দিলে হাসি মুখে এ কথা কখন যেন না ভুলে যাই |
কথা- গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার শিল্পী- শ্যামল মিত্র ছবি - সাগরিকা
আমার স্বপ্নে দেখা রাজকন্যা থাকে সাত সাগর আর তের নদীর পাড়ে ময়ূর পঙ্খী ভিড়িয়ে দিয়ে সেথা আমি দেখে এলাম তারে ----- সাত সাগর --- সে এক রূপ কথারই দেশ ফাগুন সেথা হয় না কভু শেষ তারারই ফুল পাপড়ি ঝড়ায় যেথায় পথের ধারে, সাত সাগর--- সেই এক রূপ কথারই দেশে যে রঙ আমি কুরিয়ে পেলাম প্রাণে সুর হয়ে তাই ঝড়ে আমার গানে তাই খুশীর সীমা নাই বুঝি বাতাসে তার মধুর ছোঁয়া পাই জানি না আজ হৃদয় কোথায় হারাই বারে বারে | সাত সাগর---
কথা - গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার সুর ও শিল্পী - শ্যামল মিত্র ছবি- দেয়া নেয়া
গানে ভুবন ভরিয়ে দেবে ভেবেছিল একটি পাখি হঠাৎ বুকে বিধল যে তীর তার স্বপ্ন দেখা হল ফাঁকি, তাই গান শোনাতে হায় কন্ঠ কেঁপে যায় তারে হাসি মুখে যেতে দাও শেষ গান শুনে নাও মনে রেখ মনে রেখ তার এই শেষ গান | যার গান সুনে একদিন কন্ঠে পরালে মালা আজ তোমাদের সভা হতে তার বিদায় নেবার পালা ঝরে কত তারা অলখে মনে রাখে বলো কে ছিল কত সুর বুকে তার জানিবে কে আর মনে রেখো মনে রেখো এই শেষ গান |
কথা- গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার সুর ও শিল্পী- শ্যামল মিত্র ছবি - দেয়া নেয়া
জীবন খাতার প্রতি পাতায় যতই লেখ হিসাব নিকাশ কিছুই রবেনা লুকোচুরীর এই যে খেলা প্রাণের যত দেয়ানেয়া পূর্ণ হবে না কন্ঠ ভরা এগান শুনে ছুটে তুমি এলে দ্বারে চোখে দেখে এত করে ও চেনোনি তো কভু তারে অবহেলা সহে তবু আমায় তুমি নাওগো ডেকে, সেতো হবে না | সে আঁখি হয় না খুশী আকাশ ভরা তারা দেখে সেই হাসি কাঁচের ঝাড়ে মোমের বাতি জ্বেলে রেখে জানি আমি আমার নয় এ গান আমার ভালবাসা নিজের ভুলে পথের ধূলায় পরশ মানিক ফেলে আসা, তোমার প্রাণের ঐ ঠিকানায়, দেখেও আমি তবু কিগো ডেকে নেবনা |
কথা- গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার সুর ও শিল্পী- শ্যামল মিত্র ছবি - পান্না হীরে চূণী
যেমন শ্রীরাধা কাঁদে শ্যামের অনুরাগী তেমন করে কাঁদি আমি পথের লাগি কোথায় আছে সেই নিশানা বলতে কেগো পারে | গোলক ধাঁধায় মরছি ঘুরে গহিন আঁধিয়ারে পথকে আমার দোষর করে হয়েছি বিবাগি জানিনা পথ চিনি নাতো কোথায় এসে মেশে আঁধার ঘুরে সূর্য্যি কিগো উঠবে আবার হেসে আমার ব্যথার সুজন কোথায় কে হবে সোহাগী