আর যে পারি না সহিতে---- সীমাহীন পথে ক্লান্তি আমার কত যে হবে বহিতে পথ চেয়ে চেয়ে দীপ নিভে আসে আমি কাঁদি আর নিয়তি হাসে ধূপের মত হবে আর কতো নিজেরে ওগো দহিতে !! শুধু পলে পলে ঝরে গেছে মালা আমি জানি মোর বুকে কি যে জ্বালা তোমার আলোয় নিলেনা তো ডেকে আঁধারে দিলে না রহিতে ||
কথা- গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার সুর -রবীন চট্টোপাধ্যায় শিল্পী- সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় ছবি - পথে হলো দেরী
এ শুধু গানের দিন এ লগন গান শোনাবার এ লগনে দুটি পাখী মুখোমুখি নীড়ে জেগে রয়, . কানে কানে রূপ কথা কয় এ তিথি শুধুগো যেন হৃদয় চাওয়ার | এ লগনে তুমি আমি একই সুরে মিশে যেতে চাই প্রাণে প্রাণে সুর খুজে পাই এ তি থি শুধুগো যেন তোমায় পাওয়ার ||
কথা- গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার সুর -রবীন চট্টোপাধ্যায় শিল্পী- সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় ছবি - পথে হলো দেরী
কিছুক্ষণ আরো না হয় রহিতে কাছে আরো কিছু কথা না হয় বলিতে মোরে এই মধুক্ষণ, মধুমাস হয়ে না হয় উঠিত ভরে সুরে সুরভিতে না হয় ভরিত বেলা মোর এলো চুল নিয়ে বাতাস করিত খেলা ব্যাকুল কত না বকুলের রাশি, রয়ে রয়ে যেতো ঝরে কিছু নিয়ে দিয়ে ওগো মোর মনোময় সুন্দর হোতো না কি বলো একটু ছোঁয়ার পরিচয় ভাবের লীলায় না হয় ভাবিতো আঁখি আমারে না হয় আরো কাছে নিতে ডাকি না হয় শোনাতে ধরমের কথা, মোর দুটি হাতে ধরে
কথা- গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার সুর -অনুপম ঘটক শিল্পী- সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় ছবি - অগ্নি পরীক্ষা (এই গানটির কথা আমাদের ঢাকা থেকে পাঠিয়েছেন নুরুস সাফা, যাঁর ইমেল -nurus.safa@gmail.com )
মিতা মোর কাকলী কুহু সুর শুধু যে ঝরাতে চায় আবেশ ছড়াতে চায় প্রাণে মোর।
মৌমাছিদের গীতালী, পাখায় বাজায় মিতালী মিড় দোলানো সুরে আমার কণ্ঠে মালা পরাতে চায় হায় মিতা মোর কাকলী কুহু সুর শুধু যে ঝরাতে চায় আবেশ ছড়াতে চায় প্রাণে মোর।
বাতাস হলো খেয়ালি, শোনায় কি গান হেঁয়ালি কে জানে গো কার বাঁশী আজ কি সুর প্রাণে ধরাতে চায় হায়। মিতা মোর কাকলী কুহু সুর শুধু যে ঝরাতে চায় আবেশ ছড়াতে চায় প্রাণে মোর।
কথা- গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার সুর -অনুপম ঘটক শিল্পী- সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় ছবি - অগ্নি পরীক্ষা
কে তুমি আমারে ডাকো ----- অলখে লুকায়ে থাকো মনে তো পড়েনা, তবু ও যে মনে পড়ে---- হাসিতে গেলেই কেন হৃদয় আঁধারে ভরে সমুখের পথে যেতে পিছনে টানিয়া রাখো নতুন অতিথি ওই দাঁড়ায়ে রয়েছে দ্বারে, তবু ফিরাতে হবে যে তারে ভুল করে মালা যদি দিতে চাই কারো গলে--- কেন কাঁপে হাত বলো বাধা পাই পদে পদে আমারই আকাশ শুধু মেঘে কেন ঢাকে ||
আমার জীবনে নেই আলো আছে আলেয়ার হাতছানি বলিতে পারিনা মুখে আমারে বোঝনা তাও জানি ঝরে যাওয়া মালা শুধু জানে গো কি যে ব্যথা বাজে এই প্রাণে গো যে প্রদীপ নিভে যায় আঁধারে সে যে আমার ভাগ্য নেয় মানি সম্মুখের পথে তুমি চলিতে যে ছায়াটি পিছনেতে রেখে যাও তারই মাঝে মিশে আমি থাকি গো তাই আমাদের দেখিতে তুমি নাহি পাও যে স্রোত নদী ঐ বয়ে যায় তার দুটি তীরে দুটি কুল আছে হায় সেই স্রোত কার মন রাখে গো তারে দুটি কুল নিতে চায় টানি
যদি চাঁদ আর সূর্য্য একই সাথে ওঠে কে কার তুলনা হবে বলো যদি মল্লিকা মাধবি একই সাথে ফোটে কে কার তুলনা হবে বলো দুটি পাখি একই গানে একই কথা বলে যায় দুটি নদী পাশাপাশি একই দিকে বয়ে যায় যদি মৌমাছি প্রজাপতি একই ফুলে জোটে কে কার তুলনা করে বলো দুটি মন একই গানে একই মন হয়ে যাক দুজনের এ মিতালি চিরকালই রয়ে যাক যদি হাসি আর বাঁশীতে থাকে এই ঠোটে কে কার তুলনা হবে বলো
বাঁশী বাজবে না কেন রাধা নাচবে না কেন ফুল ফুটবে না কেন চাঁদ উঠবে না কেন মাতাল হয়ে ভোমরা না হয় আসুক ফুলের কাছে ললিত বসন্ত রাগে বাঁশীতে যে সুর লাগে ললিতা বিশাখা চলে রাধা আজ সাথে হায় বাঁশী শুনে হয় যে মনে কৃষ্ণ যে তার আছে || পরাজয় আনন্দ জাগে, দোলে তনু অনুরাগে কলঙ্ক ------ কিঙ্কিনী তোলে যে সুর রিনিঝিনি আহা রাধার মনের রঙ লেগেছে কৃষ্ণচূড়া গাছে |
এ গানে প্রজাপতি পাখায় পাখায় রঙ ছড়ায় এ গানের রামধনু তার সাতটি রঙের দোল ঝড়ায় সীমানা ছাড়িয়ে যাই যে হারিয়ে গানে আমার কে যে দিলো সুর সে তো জানিনা আমার এ গান সুনীল সাগর কুলে মুকুতা খোঁজে শুধু যে ঝিনুক তুলে | লা--- লা--- লা--- লা--- সে কার বাঁশীতে চায় সে হাসিতে কাছে আমার আসে কোন দূর সে তো জানিনা