কবি গুরুদাস পালের কবিতা ও গান যে কোন গানের উপর ক্লিক করলেই সেই গানটি আপনার সামনে চলে আসবে।
|
. বলি হায়রে মশারি
. করলে আজ কি কেলেঙ্কারি
. ভেবেছিলাম তুমি হবে
. ( মোদের ) পারের কান্ডারী
( এখন ) করছ নিজের পকেট ভারী
. মোদের দিকে নজর নাই
. বাবারে------
. তোমার চতুর্দিকে ফাঁক
. মশারা ঢুকিয়ে দেছে নাক
( তাদের ) এক হাতে দুধের বাটি
. আর হাতে তামাক
. দুটোর চাপে তোমার দেমাক
. ভাঙছে তোমায় তুমি নাই
. বাবারে-------
. ( তোমার ) চার কোণেতে হায়
. কেবল বোঝাই ছারপোকায়
. তোমার ছাযায় থেকে আমাদের
. রক্ত চুষে খায়
. কাম্ ড়ে কাম্ ড়ে আমড়াচোষা
. করল মোদের বংশটাই |
. বাবারে---------
. এবার আসছে ইলেক্ শন
. ( মশারি ) খুব থেকো সাবধান
. রগড়ানিতে বিগড়ে গেছে সব
. হিন্দু-মুসলমান
. তারাই দেবে এর সমাধান
. করে তোমায় রামছাঁটাই
. বাবারে--------
. ******************
. সুচিতে...
মিলনসাগর
এ তো আমার কথা নয়রে বাপু, ( এ যে ) রামায়ণের নেকায় বলে ||
মশাই আমি একটু সাহেব ঘেঁসা, তাদের মন জোগানো আমার পেশা
ওঠা বসা মেলা মেশা রং-তামাশা চলে ||
আশা করি ছলে বলে কৌশলে
টিকি অবধি বিকিয়ে দেব, আমার শ্বেত প্রভুদের শ্রীকমলে ||
আমি নাম ভাঙানোর গুরুমশাই, চতুর্বর্গ জ্ঞানের গোঁসাই
বুদ্ধশিষ্যের অস্থি ভাসাই বারাণসীর জলে ||
ইতরজনের সাইকোলজি বুঝতে পারার ফলে
আমার হোক না গাড়ির চাকা ভাঙা, হটরে হটরে তবু চলে ||
আমি একজন মহানচেতা, ভয়ঙ্কর এক দেশনেতা
আমার মহাপ্রতাপে তা মালুম পায় সকলে ||
যখন ফুটপাতে লোক টেঁসে থাকে খিদের ধকলে
পথের ধুলো উড়িয়ে তখন আমার স্টুডিবেকার গাড়ি চলে ||
আমি একজন স্বদেশ ভক্ত, আমার দুটি হাতে নারীরক্ত
একটু শক্ত না হলে কি তখ্ ত রাখা চলে ||
বাংলা যে হল বিভক্ত সে মোর মন্ত্রণারি ফলে
করে ঘরে ঘরে রক্তারক্তি, লোকে পড়ল মোদের গ্যাঁড়াকলে ||
. ******************
. সুচিতে...
মিলনসাগর
রক্ত নদীর পরপারে ওই
দিকে দিকে অত্যাচারী ক
অন্তরের এই ঘুমন্ত নৃসিং
লক্ষ লক্ষ হাসান হোসেন কা
হত্যাকারী এজিদ সেনা ফি
রক্ত দিয়ে রাঙিয়ে দে না
নতুন করে লেখ না এবার
কুরুক্ষেত্রে ঘুরছে আজও
লক্ষ লক্ষ পাঞ্চালীর আজ
গাই না আমি গানের ছন্দ
মনের জড়তা সব যাক না
মজুর কিষাণ মধ্যবিত্তের
জাগরণের জোয়ারে সব হো
বুকেতে হাত দিয়ে সবাই স
দশ বছরের শিশুর ওপর
নির্বিচারে নরনারী ছাত্র-ছাত্রী হত্যা
এই যদি হয় শিশুরাষ্ট্রের আইন নিরাপত্তা |
তবে আমি সভার মাঝে উচ্চ কন্ঠে কহি
পাঁচশো হাজার অসংখ্যবার আমি রাজদ্রোহী |
তাতে যদি যেতে হয় ওই আলিপুরের জেলে
গর্ব করে বলব আমি বাঙলা মায়ের ছেলে |
কিংবা যদি বন্দুকে হয় জীবন অবসান
মরার আগে গেয়ে যাব এই রক্ত ঝরার গান |
আমার পরে থাকবে য়ারা দেশ-বিদেশ ঘুরে
আকাশ-বাতাস কাঁপিয়ে দেবে মর্মভেদী সুরে |
[ প্রথম পাঁচ লাইন মাটির দুর্গ পত্রিকার আশ্বিন ১৩৯৩ সংখ্যায় পাওয়া
গেছে | পরের অংশ সজল রায়চৌধূরীর গণনাট্য কথা থেকে সংগৃহীত |
সম্পূর্ণ গানটি পাওয়া যায়নি | --- মালিনী ভট্টাচার্য এবং প্রদীপ্ত বাগচী ]
. ******************
. সুচিতে...
মিলনসাগর
বাবারে, ও বাবারে কোন দিকে বা যাই
গুরুদাস পাল
আমি কত্তা ভজার দলে
গুরুদাস পাল
. আমি কত্তা ভজার দলে
বাইরেতে বোষ্টুমি আমি (
আমি লম্বা টিকি মাথায় রা
আমার কাজে নেইকো ফাঁকি
বাস্তুহারার ---- ক্যাম্পে গিয়ে
যদি কচেবারো করতে পারি
আমি হিংসার ওপর বড্ড
বাক্যচ্ছটায় পটিয়ে লোককে
গরিব গুরবোর ওপর ওই
সেটা তোমারা বুঝলে কিনা
আমি দিব্যি করে বলতে পা
ওরা শান্তি রক্ষার ধ্বজাধা
মাঝে মাঝে দুষ্টুলোকের কে
যত হাড়হাবাতের হুড় থামা
লোকের মশাই এঁড়ে বায়না,
না খেলে কি বাঁচা যায় না
চোদ্দ বচ্ছর শুকিয়ে লক্ষ্ণণে
কলকাতার খবর
গুরুদাস পাল
পুঁটি মাছ ড্যাঙায় উঠে ফুট কাটে
গুরুদাস পাল
[১৯৫১ সালে “বরযাত্রী” চলচিত্রে “পুঁঠি মাছ ডাঙায় উঠে ফুট কাটে” গানটি তিনিই গেয়েছিলেন।]
( এবার ) ব্যাঙ যাবে সাপের সভাতে
গুরুদাস পাল