কবি গুরুদাস পালের কবিতা ও গান যে কোন গানের উপর ক্লিক করলেই সেই গানটি আপনার সামনে চলে আসবে।
|
কবির সাহেব বালুর চরে বাঁধল সাধের ঘর
পড়শি কোথায় থাকবে নিজের ভাই তো হল পর ||
সংকটের আজ কালো ছায়া সমগ্র বাংলায়
মোদের সংকট গাইতে এসে জমজমে সভায় ||
গায়েন বায়েন দোহারগুলো সহ যেন খাপছাড়া
যুক্তফ্রন্টের ভিতরে ঠিক চলছিল এই ধারা ||
আপনাদেরই চাপে মোদের দোষত্রুটি শোধরাবে
তাই বলে কি কেউ এ গানের দল ছেড়ে পালাবে ||
চলবে এ গান কেউ মাঠে ঘাটে সংগ্রামের ময়দানে
বাজবে এ সুর শোষক শ্রেণীর ঘৃণ্য কবরস্থানে ||
মরার পরে চলবে এ গান লোকের মুখে মুখে
তৃপ্ত হবে আত্মা মোদের সংগ্রামী এক সুখে ||
. ******************
. সুচিতে...
মিলনসাগর
( যখন ) পিপীলিকার ওঠে পাখা
যায় না তাকে ধরে রাখা
. ( করে ) আগুনের দিকেতে রওনা |
তেমনি ধারা মতিগতি
যারা দেশের কোটিপতি
. ( গিলছে ) জমি জমা শিল্প কারখানা |
( ওরা ) স্বপ্ন দেখছে মনের ভুলে
কাঁচকলা গাছ আঙুল ফুলে
. ডালে ঝুলে বেদানা |
( যেদিন ) স্বপ্নের ঘোর যাবে কেটে
( দেখবে ) চলে গেছে কালের পেটে
. ( তাকে ) ব্রহ্মান্ড ঘেঁটেও পাবে না |
বন্ধুরা সব কানে কানে
বলতেছে দেখ এখানে-----
. হাওয়া বুঝে করবে রচনা |
হোতা শ্রোতা কর্মী যারা
প্রগতির পূজারি তারা
. ( যেন ) কারো প্রাণে আঘাত লাগে না |
কেটে পড়ার রাস্তা খুঁজি
আমি আর কতটুকু বুঝি
. বলব আমি শুনবে কজনা
( শেষে ) গড়বড় কিছু হলে পরে
. সবাই যদি দুমড়ে ধরে
. ( তো এই ) চিমড়ে হাড়ের নাগাল পাব না |
( যখন ) বিগড়ে যায় এই জনতাতে
. চিয়াং ছোটে ফর্মোজাতে
. মুসোলিনির পাত্তা থাকে না |
গণজাগরণের চোটে
হিটলার ছড়ক গাছে ওঠে
. ( শেষে ) অন্তিমেতে করে রহনা |
এই তো দেখুন হাতের কাছে
প্রফুল্ল বাবুরা আছে----
. উঠল গাছে পাড়তে বেদানা |
( শেষে ) আঁকশি সুদ্ধু হল হাওয়া
. যাচ্ছে যে সব খবর পাওয়া
. ( ওদের ) ভাঙা ঘর আর ছাওয়া যাবে না |
. ******************
. সুচিতে...
মিলনসাগর
জলের স্বভাব যেমন ধারা নিম্নদিকে যায়
আগুনের ওই স্বভাব যেমন সবকিছু পোড়ায় |
ছারপোকার ওই স্বভাব কেবল রক্ত চুষে খায়
কাঠেতে রাখে না বস্তু ধরলে উইপোকায় |
. পাতিকাক পুষে ঘরে
. যতই পড়াও না তারে,
. সে শুধু কা কা করে
. রাধাকৃষ্ণ কবে না |
সাপের স্বভাব কেবল মারে বিষাক্ত ছোবল
ছেলেদের ওই স্বভাব কেবল পাকায় গন্ডগোল |
বিড়ালগুলোর স্বভাব কেবল হাঁড়ির দিকে চায়
কখন শিকে পড়বে ছিঁড়ে তারই লালসায় |
. বুনোওল খেলে পরে
. গলাটা কিট কিট করে
. ( যখন ) সিঁদেল চোর ধরা পড়ে
. কবুল করে না |
জমিদারের স্ববাব করে চাষীর সর্বনাশ
খাতা ব্যবসায়ীদের স্বভাব খোঁজে চৈত্রমাস |
ধনীর স্বভাব গরিব মারার কলকাঠি বানায়
বিভেদ বিষের আগুন নিয়ে খেলছে এ বাংলায় |
হিন্দু আর পাঞ্জাবিতে
. এই সেদিন বাগমারিতে
. ( ছিল ) লাগ লাগ লাগিয়ে দিতে
. চিত্তেতে বাসনা |
. ( ওহো মরি ) হায় হায় রে |
. ডুবল গ্রাম আর বস্তি শহর ---- গেল ভেঙেচুরে----
. জলপাইগুড়ি কুচবিহার আর পশ্চিম দিনাজপুরে----
. ( ওহো মরি ) হায় হায় রে ,
. মরল মানুষ মরল গরু মরল বেড়ালছানা
. নিঠুরা প্রকৃতি কারও মানল না গো মানা
. ( ওহো মরি ) হায় হায়রে |
. ( একটা )সমাজ বিধ্বস্ত হল কে কার খবর রাখে
. ( আমাদের ) রক্তচোষা কর্তারা সব নির্বিকারে থাকে
. ( ওহো মরি ) হায় হায় রে |
( এরা ) মানুষ মারার গুরুমশাই বাঁচানোর কেউ নয়
. শোষক শ্রেণীর রাষ্ট্রয়ন্ত্র ------ ওই রকমই হয়
. ( ওহো মরি ) হায় হায় রে |
. বড়ো বড়ো অফিসার সব ( যারা ) দায়িত্বশীল ছিল
( যে যার ) প্রাণ বাঁচানোর তাগিদে সব ‘প’ য়ে আকার দিল
. ( ওহো মরি ) হায় হায় রে |
( এরা ) মোটা মোটা টাকার কাঁড়ি মাসিক ট্যাঁকে গোঁজে
. দেশের দুর্দিন দেখে পালাবার পথ খোঁজে
. ( ওহো মরি ) হায় হায় রে |
( এখন ) ঠুঁটো জগন্নাথের মতো ----- পুলিশ মিলিটারি-----
( যারা ) আপৎকালে দেশ বাঁচানোর নিল ঠিকাদারি
. ( ওহো মরি ) হায় হায় রে |
. এদের হাতে থাকলে মোদের ভবিষ্যতের ভার
( হবে ) মানব সমাজ সভ্যতা সব অচিরে ছারখার -----
. ( ওহো মরি ) হায় হায় রে |
( এরা ) সিরনি খেয়ে তলে তলে ডুবিয়ে দেবে ধরা
. এদের পাপে পরিপূর্ণ আজ মাতা বসুন্ধরা
( ওহো মরি ) হায় হায় রে |
. জাতির কলঙ্করেখা ধুয়ে মুছে দিতে
. বাংলার বিপ্লবী সেনা জাগো চারিভিতে
. ( ওহো মরি ) হায় হায় রে |
. শোষিতের ঘরে ঘরে ক্ষুধিত পাষাণ
. বারেক হুঙ্কারি ওঠো --- তরুণ জোয়ান
. ( ওহো মরি ) হায় হায় রে |
. অনাচার অবিচার দুর্নীতির মূলে
( এসো ) মরণ আঘাত হানি ভেদাভেদ ভুলে
. ( ওহো মরি ) হায় হায় |
. আগে চলো আগে চলো চলো উড়িয়ে নিশান-----
. হোক না মরণজয়ী ---- গণ অভিযান------
. ( ওহো মরি ) হায় হায় রে |
. ধরিত্রী অলক্ষ্যে ডাকে আয় ওরে আয়
. খেয়া পারে যাবি যদি বেলা বয়ে যায়
. ( ওহো মরি ) হায় হায় রে |
. ******************
. সুচিতে...
মিলনসাগর
আয় না রে ওরে লাঞ্ছিত
আয় নিপীড়িত বাঞ্ছিত
যুগ যুগ যত সঞ্চিত
. ঝর না আঁখির জল |
সে জলে বিজলি জ্বলিবে রে
শোষণ পাহাড় টলিবে রে
সাধনার ফল ফলিবে রে
. ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল ||
ওরে এমনি করে চলবে কদিন
. দিন যে তোদের ঘনিয়ে এল |
কত বড়ো বড়ো খুনে ডাকাত কোথায়
. কত তলিয়ে গেল |
( ওরে ) হিটলার-তেজো-মুসোলিনি
. যারা তোদের বাবার বাবা
. কর্মদোষে মরল যখন
. তাদের বাঁচাল কে বা
তেমনি ধারা মরবি তোরা
. জাগছে এবার বিশ্বজোড়া
জাগছে মজুর জাগছে কিষান
. তোদের হাসির দিন ফুরাল |
( ওরে ) বালির বাঁধে জোয়ারের জল
. কতকাল আর রাখবি রুখে
. কতকাল আর কাটবে তোদের
. এমনি ধারা মনের সুখে |
তোদের ডান্ডাবাজির খোড়োচালে
. ওই দেখ আগু উঠেছে জ্বলে
. ধীরে ধীরে যাচ্ছে জ্বলে
. গহিন আঁধার কাল |
. ******************
. সুচিতে...
মিলনসাগর
(পড়ে) সংকটে কী পটঘটি ঘটল এ ঘটে
গুরুদাস পাল
(পড়ে) সংকটে
. কী পটঘটি ঘটল
সাপের সংকট যেমনধারা ছুঁচো য
বাপের সংকট যেমন, যদি অন্ধ হ
চোরের সংকট যেমন ধারা চাঁদনি
আইবুড়ো মেয়েদের সংকট যেম
কানার সংকট খানার ধারে যেমন
কেরানিদের সংকট যেমন কাবার
চালে সংকট ডালে সংকট, সংক
সুদখোরের সংকট যেমন খাতক
প্রফুল্ল ঘোষের সংকট যেমন মন্ত্রী
স্বপ্ন দেখছে ওই বুঝি সব আসছে
(ভাইরে) মৃত্যুকালে পাপী তো কৃষ্ণ বলে না
গুরুদাস পাল
স্বভাব তো কখনো যাবে না
গুরুদাস পাল
যতই মাজো ঘষো তবু
ছুঁচোর গায়ের গন্ধ কভু
.
মাকালে চিনি মাখালে
মিষ্টি হয় না কোনো কালে
.
কুকুরে কামড়ালে পরে
জল দেখে সে ভয়ে মরে
চেষ্টা করে বাঁচার তরে
আক্ষেপ তার গলার স্বরে
রোজা বদ্যি কত ধরে
জল পড়ায় যদি কাজ করে
.
জার্মানিতে হিটলার ছিল
কত না তাবিজ বাঁধিল
. আইন কানুন গুলি জেলখানা ;
কত সব বিদ্যুৎ বাহিনী
শেষ পর্যন্ত কেউ বাঁচেনি
. ( আমার ) কত্তারা কি খবর রাখে না |
হায় হায়রে---আমার সুবর্ণ বাংলায়
গুরুদাস পাল
হায় হায়রে---
. আমার সু
. অগণিত নরনারী
. ( ওহো ম
( আমরা ) থাকি দূরে সে খ
( আর ) বেতার প্রচারে কি
. ( ও
. দুরন্ত
( ও তার ) প্রলয় স্রোতে হা
. ( ও
. তিস্তার দুরন্ত বা
. মহানন্দে মহানন্দা
কাঁঠালের আঠাতে আমার
গুরুদাস পাল
কাঁঠালের আঠাতে
. জটা হল
রেখে মাথায় খাচ্ছ
. কোয়া তু
. খেটে মরি
. মোর ঘরে
অপোগন্ড পোষা হা
. ভুঁড়ি দুলে
থুকথুক করে থোকা
জটার ভেতর উকুন
মেজাজ তাদের এম
. বাবার না
উকুন তুমি সুখে থা
প্রহরীদের হাতে রা
পাকতে পাকতে আ
. ( ওঠো ) দেদা
ভাঙরে ভাঙ ওই রু
. ভেদ ক
মুছিয়ে দিতে লক্ষ মা
. তপ্ত আঁ
অত্যাচার আর সই
. মুখ বুজে
বেদনার বোঝা বই
. ছিঁড়ব
তরুণ অরুণ উঠেছে
. নতুনে
দিকে দিকে ওই ছুট
. প্রভা
যাচ্ছে সবার ঘুম টু
. মুক্তি
এক সাথে সব আয়
. সব