পাতা খবর নিচ্ছিলো হাওয়ার বাসের অপেক্ষা করছিলো মেয়েটি দু’জনেই ক্যাম্পিং-এ যাবে বিকেলের ঘাড়ে চড়ে সাত ডিগ্রি চেরিহিলে ঢুকে পড়লেও দু’জনে দ্বিধায়, তাঁবু কি এখানে পড়বে ?
সবুজ কি পোষাক বদলায় ? বোঝা যায় না স্রোত কি পাথরখণ্ড স্পর্শ করে ? দেখা যায় না হাতঘড়ি, জোড়ারুটি আর ম্যাচবাক্স ঘুঙুরের চোখের মতো দেখছে পিঁপড়ে ও ঘাসে যা চাঞ্চল্য ক্যাম্প শুরু হয়ে গেলো!
হাওয়া খবর নিচ্ছিলো পাতার বাস মেয়েটির তাপমাত্রার ভেতর যে আগুন-বরফ প্রস্তুত করছিল টার্কি ও সালাদ ক্যাম্পিং চলছে
ভোরটি হুইলচেয়ারে ব’সে বাসে উঠলে ব্রেকফাসেট টেবিলের জন্য চিজ সংগ্রহ করে মেয়ে।
আমার দ্বিতীয় বেলাটি ভাসতে-ভাসতে জল থেকে উঠে এলো ও কৈবর্তের বউ, গুগলি না শামুক তাঁতের মধ্যে ভিজে যাওয়া টং আর টংয়ের ঢালে গড়িয়ে পড়া একটা আকাশ ধরতে-ধরতে নৌকাডুবি
কোম্পানীর নিঃশ্বাসের ফুরসতে আড়াইশ’ বছর পর উপনিবেশবাদ নিয়ে ঘর ফাটাচ্ছে মশলা-তস্কর ফুটপাতে সাতকড়া আর গলিতে মুরগির ঝোল বড়ো ইচ্ছে একটি ট্যানেন্ট বিয়ার!
মস্ত চাতালে হাঁটছেন মহাশয়-প্রধান লেকে রাজহাঁস, গৃহে অসুস্থ হ্যামলেট হে বুড়ো চিল, হে ভেনিসের বনিক তাঁর নামে কিছু রক্ত-মাংস জমা করো ট্রাফালগার স্কোয়ারে ভোজ হবে।
ম্যাজিক দেখিয়ে যাদুকরও ফুটে গেছে তারও কেউ এ শহরে পাষাণে শায়িত যে এমন ঘড়ি তারও কাঁটা পশ্চিমে হেলানো জানালায় বাদুর এবং টেমসে প্রমোদতরী মোমের মধ্যে ফিনকি দিচ্ছে মেঘ রানীর টমটম প্রতঃভ্রমণে বেরুবে।
মাঠ তো পারসেপোলিসেও ছিলো ভুট্টা ও আঙুরের। গলাগলি নীল এবং সবুজ চুম্বনের দাগগুলো পাথরে ধরেছিলো আর তরবারি সিঁড়ির গোড়ায় রেখেছিল জয়চিহ্ন--- মৃত্যু যেন ঠাণ্ডা অভিনয়।
ঘ্রাণ নিয়ে যারা এসেছিলো পুবের দেয়ালে তারা ফোটে মেঘেদের সাদা লোম আর গাঁদার হলুদ ছোপ গত মৌসুমের জ্যোত্স্না নিয়ে খেলে --- ফুটো হচ্ছে চাকা ফালি হয় নদী ভাঁড় থেকে মাছি তাড়াতে-তাড়াতে ময়রাও হাঁক দেয় : রিক্শা যাইবা . . .
পশ্চিম দেয়ালে টিপ মুছে ট্রাম লাইনে যে উবু হয় সে কি বনলতা সেন ? নার্সিং হোমের ছায়া আরেকটু দীর্ঘ হ’য়ে সুচিত্রা সেনের মুখ ঢেকে দিলে হয়তো বা কেউ বলে বাঘ এবং হরিণেরা একসঙ্গে জ্যোত্স্না দেখে না!
যতো, গুপ্তঘর ততো বরাবর --- প্রণয়ে প্রথম যদি অন্য কলহের একটি পদ্যের নাম অপর ভোজের কাটা ঘুড়ি যার-যার, চাকার নিজের অতীতের একটি তো অন্য ভবিষ্যতে গুপ্তঘরে বরাদ্দ নানান
গর্ভের যা তা শূন্যের শর্তের যা তা পূর্ণের অন্দরে যা তা বিরহে মর্তের যা তা আনন্দে গুপ্তঘরে নানা সহচর
ফিরে যাচ্ছে কাঁচা মেঘ . মুখে তার লবণের দানা ফিরে যাচ্ছে ভরা ফেনা . নাকে তার তীরের বাহানা ফিরে গেলে যাত্রাপথ . নত হয় অসমাপ্ত স্বর ফিরে গেলে পরমায়ু . চিত্রময় মিত্র গুপ্তঘর একটি তো সিরাজীর কবর।