নানা মানুষ জমে, জমায় নানা কথার বেসাতি | সেই হাটে এই নিত্য ভ্রমণ কখন যে কে রয় সাথী! কেউ বলে, ঠিক, ---কেউ বলে, ভুল, ---কেউ বলে, হ্যাঁ, তা বটে | কোথায় নদী বেঁকবে কখন, ---তারপরে যে কী ঘটে মনের মধ্যে সেই কথাটাই উঠছে-পড়ছে নিরন্তর বর্তমানই অন্ধ চেনা, ভবিষ্যৎ তো দিগন্তর!
আকাশ জুড়ে মেঘ করেছে, বিষ্টি এলো কোন দেশে--- কী জানি কোন গাছের ছায়া একটি নদীর কোণ ঘেঁষে! মাটিতে জল, আকাশে মেঘ, হঠাৎ কেমন অন্ধকার | এদিকে এই আপিশ-ফেরৎ ভাঁটির ত্বরা, ---ছন্দ তার অধরা রয়, পোষ মানে না প্রাচীনপন্থী পদ্যেতে | বস্তুবোধের কনুই লাগে হঠাৎ বুকের মধ্যেতে |
বৃহৎ পরিবহন, বিপুল, চলাচলের গর্জনে শরীরটাকে সামলে চলার ক্ষিপ্রকলা অর্জনে মন জেগে রয় লক্ষ্য থাকে চেনা বাড়ির প্রতীক্ষায় | প্তিবেশের নগদ দাবি মিটিয়ে অন্য সমীক্ষায় | দেবার মতো মনের মধ্যে থাকে না মন কিঞ্চিৎ-ও | পিণ্ডপ্রমাণ এই পরিমেল সূক্ষ্ম মানণবঞ্চিত |
প্রতিবচন, পুনর্বচন---শূণ্য হৃদয় চলন্ত,--- দু-পারে তার কমলারঙের বৈকালী রোদ পড়ন্ত | ঠেলাগাড়ির দোলন-লাগা শিশুর চোখে এ সংসার প্রশ্নবিহীন প্রাপ্তি শুধুই, নেইকো কাঁটা সমস্যার | অথচ ঠিক পাশেই আছে যে-জরতী স্তব্ধতা--- বিক্ষত সে | কেবল বোঝা | শুষ্কতা আর রুক্ষতা |
বিদ্যুদ্ বেগ---নিকটবৃত্ত---চেনা মহল নিরুত্সুক | দিন কেটে যায় স্বল্পচেতন,---এমন সময় অসীম সুখ কী ঝর্ঝর নামলো মনে---আর এক ছায়ায় নদীর ঘাট, আকাশ জুড়ে মেঘ করেছে, বালির চরে পাখির হাট | সবুজ শাড়ির ভঙ্গিমা, সে কী আশ্চর্য অনুপ্রাস অনের যোজন বালির পরে পাহাড়ি জল, চিকন ঘাস |
বিশ হাজার কচি ছেলেমেয়েরা শুধু এই কলকাতা শহরে ঝি চাকর হয়ে আছে শুনলুম | খবরটা বাড়ছেই বহরে |
মন কারো ভাল নেই সত্যি | তবু বেঁচে থাকাটাই লক্ষ্য | ঈশ্বর নিশ্চয়ই দেখছেন দুটি শ্রেণী ভক্ষক ও ভক্ষ |
সময়টা অতিশয় বেয়াড়া তাহলেও আষাঢ়ের গুমোটে কালিদাস-বন্দনা চলবেই ছিটেফোঁটা বিষ্টি সুযোগে যদিও মেজাজে নেই ফূর্তি রেখা ও শিপ্রা মনে পড়বেই |
কবিতার সুখ-অসুখ আলাদা বাস্তবে ফ্যালো কড়ি, মাখো তেল প্রতিবাদে কী যে ঘটে জানা তা--- ন্যাড়া তাই খোঁজেই না পাকা-বেল | হাঁটাহাঁটি শুধু নিজ এলাকায় মাথাটা বাঁচিয়ে যাতে বাঁচা যায় |