ধুলোয় ধুয়ে গেছে অনেক কবি,অনেক কবিতা ঠোঙা হয়ে ঘুরেছে পথে-পার্কে, পাঠ্য বইয়ের দুই মলাট মাঝে জায়গা হয়নি তাই তারা এখন বিপরীত ঘোড়ার ডিম! সমাজ-সম্মান-স্যালুট কিচ্ছু পাইনি শুধুই পাতার পর পাতা ভেবে খেয়েছে সময়, নেয়েছে ঘামে কিন্তু দাম?? থেঁতলে যাওয়া বেগুন-টম্যাটোর মতোই অপাঙতেয়-অচিন।
গোধূলি জানে, দিগন্তে ঢলে পড়লে সূর্য লাল হতে হবে তাকে । সাজানো পৃথিবীর নাটকীয় ব্যাঙ গুলোও বোঝে বর্ষার সাথে তাদের 'গ্যাঙোর গ্যাঙোর'-এর সম্পর্ক । আনুপাতিক ভাগহারের পাটিগনিতে ফুটপাতের বাচ্চাগুলোর প্রত্যাশিত চকলেটের মান শুণ্য-- তাও মেনে নিয়েছে তারা । ডাকতে থাকা কুকুর আর চলতে থাকা হাতি ---সে গল্প অনেক পুরানো । মাঝখানে, পাঁচবছর অন্তে প্রতিশ্রুতির র্পাচফোড়নে মন-পিত্তি জ্বলা ব্যাপারটা পনেরো বছরের অভিঞ্জতায় পরিপক্ক ।
আমি শপথ নিলাম- সকালের নির্মলতাকে সাহ্মী রেখে, ভাসব না আর তোমার কথার কুয়াশা জালে। তালে ঠিক রেখেই চলব, তবে আর মাতাল হব না তোমার মরমি চাওয়াতে। জ্যোৎস্না রাতের নীল রূপকথাময় রাতে আমি শপথ নিলাম- ক্লান্ত কফি কাপে আর মুখরোচক খাবারে সাথে চাইব না তোমার এস.এম.এস.। খোয়া বিছানো রেললাইন দিয়ে আর তোমার সাথে হাটব না বলে আমি শপথ করছি- চলন্ত ট্রেনের শত শত অচেনা যাত্রীদের সামনে, যারা কিনা চিনছে আমার এই পাগলামিটা। তবে আর পাগল হব না তোমার রেশমী চুল, হরিণী চোখের কোমল ভ্রুকুটিতে। তাই, এই কবিতা ছুয়ে শপথ নিলাম আমি।
প্রতিহ্মণেই গলা মেলাচ্ছি একটি অতি অপরিচিত ভবিষ্যতের সাথে । শব্দ পরিবর্তন হচ্ছে, স্বপ্ন বেঁকে বসছে অভাবনীয় বিশ্বাসের দাঁড়ি পাল্লায় । কড়মড়ে বিস্কুটের মতো ভাঙছে বিশ্বাস । শুধুই ভাঙছে । মেরুর গোরা কিংবা মধ্যের পোড়া রঙের সভ্যতা গুলোর লং মার্চ ঘুম ভাঙছে ভিন্ন গ্রহের।
অসময় পেরোলে সময় আসে মেঘ পেরোলে রোদ। ঝরণা পেরোলে নদী আসে রাগ পেরোলে বিহ্মোভ। পাতাল পেরোলে মাতাল লাভা আসে আগুন পেরোলে ছাই। আমাকে পেরোলে তুমি আসো তোমাকে পেরিয়ে আমার আর কিছু নাই।
পূন্যার্থীর ভিড়ে শেষটাই আর অপরাধীদের প্রথমে- চলছে নৌকা তুলছে যে ঢেউ কত ভুল মেখেছি জীবনে? দুধ ভাত খাব-খাওয়াবো বলে মদ মাতালের পথে হাঁটছি- গড়া এ দেশ বিদ্বেশ বিষে গাইতি খুচিয়ে ভাঙছি । জানি এ ভুল চড়াবে শুল তবু মাথা রাখি ঠান্ডা- লুকিয়ে মিথ্যা উচু করে রাখি মেকি সত্যের ঝান্ডা । বিদ্রোহী বিপ্লবী কিছু নয়,চোরা পথে করি কারবার- প্রশাসন কিছু চাটছে তলা হচ্ছি বিকার,করছি আমি নোংরামির'ই নারী পাচার । নোংরামি নয়,সব সুন্দর! আহার দেয় যে লক্ষী- ফুটো থালা হাতে ঘুরত যারা আজ তারা আমার রক্ষী । কাজ পেয়েছি, কাজ দিয়েছি হোকনা সে কালোপথ- সাদা পোষাকে চুরি করে আমি গড়ছি ইমারত,চড়ছি বিলাস-রথ ।
আমি তোর, ঘুম ভাঙানিয়া পাখি হব হব তোর রাত-ঘুমের রুপকথা। ডানা মেলে উড়ে যাব আমরা জুড়ে যাব দু'জনা। জোনাকির মত জ্বলব আমরা- তবু জোনাকির মত নিভব না। দুর দুই মেরু হলেও যেন আমরা একই পরমাণুর দুই কণা।