সব তামার পয়সা আমি বিলিয়ে দিয়েছি বন্ধু সন্তদের হাতে চুমু খাবার মতো আবার আসতে বলেছি ওদের, দুপুর রোদে চোখের জল যেরকম সাদা শহর ছিঁড়ে ফেলে, এবং লাল পাপড়ির স্রোতের ওপর জারজ শিশু ভেলা ভাসায়, আঃ আমি এই নেশায় লিপ্ত হয়ে তোমাকে চেয়েছি কিম্বা চাইনি অথবা তোমায় প্রহার করে ফুরিয়ে দিলাম পুংক্ষমতা
আমরা এই কবিকে আমাদের ওয়েব সাইটের "কবিদের সভা"-র অন্তর্ভুক্ত করতে ইচ্ছুক | যদি কেউ আমাদের এই কবির ১। জন্ম-তারিখ, ২। সংক্ষিপ্ত পরিচয়, ৩। একটি ছবি এবং ৪। তাঁর যোগাযোগের ঠিকানা জানান, তাহলে আমরা কৃতজ্ঞতা- স্বরূপ, প্রেরকের নাম ঐ পাতায় উল্লেখ করবো |
. তোমার যোনি-স্বভাবের কথা ভাবছি আমি, অসম্ভব একগুঁয়ে . তোমার যোনির কথা ভাবছি, খরদুপুর আমাকে ছিঁড়ে . ফেলার এই সুখের কুঁড়ি আমার মুঠোর মধ্যে, গরমের . দিনের ফুল, আমার মগজে এখন পুরনো . সৌন্দর্যবোধ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে | অন্ধকারে জঠরের চেয়ে সুগম ও ঠোঁটের মত রক্তাক্ত তোমার যোনি, ভাবছি ঈশ্বরের কথা তাঁর জন্ম ও ধারণা মৃত্যুর মতো গহন যোনির মধ্যে ভাবছি তাঁর কথা . আমি সেই আদিম পশুর কথা ভাবছি যে শুধু নষ্ট করে যেখানে খুশী যা খুশী . এর যা ইচ্ছে | তুমি গোধূলিবেলার শত্রু, গলেপড়া ঝড় |
. তীব্র নেশা করছি শালা, কিছক্ষণ ভৌতিক করার মধ্যে শরীরের জল জমে যাচ্ছে, দেখ তোর চুরমার পৃথিবী কিভাবে সেঁধিয়ে যাচ্ছে, সাতটা পাইপের মুখ একসঙ্গে ফাটে, তার ধোঁয়ার ঘ্রাণ সর্বশেষ বোমারুকে "টিট" দিচ্ছে, ঠোঁট ও পাপড়িগুলি ধারালো দাঁত বের করে চামার ভেসে হেসে খুন হয় ডাঃ সুজুকি, বুদ্ধ, মলয় ও শৈলেশের কবরের পাশে আমার এই কবিতা পড়া হলে মৃত গণিকার পাশে পড়া হলে আমার এই নেশা --- ZEN |
. চুড়ান্ত বিস্ফারিত তোমার ভ্রুণ বেয়াইনিভাবেই আমার হাতের মধ্যে নেশায় আবার ফাটে | আমিই আমার শিকড় এবং খাদ্য আমিই মাটি পৃথিবীর নোনা জল, আমিই গাঁজা আমাকেই খাই, দেখো আমার সবুজ শরীরের মেরুন হাত-পা, মেরুন চোখ, মেরুন তলপেট এবং ফ্যাকাশে লিঙ্গ হলুদ রক্তস্রোতে কিরকম পত্পৎ শব্দ করে ভালবাসার খিস্তি দিচ্ছে, নতুন বারুদের গন্ধে ঝিমিয়ে আসছে শরীর, হয়ত জীবন
আমি মুদ্রা ভালবাসিনা তাই মুদ্রিত শাড়ি- পড়া মেয়েদের অনুসরণ করতে অসুবিধা হয় তারা যখন বিশেষ পুরুষের পাশে রাস্তা হাঁটে পুরুষ জানেনা নিতম্বের মেলানো ছায়া কিভাবে শহরের অন্ধকার ঘনীভূত করে শতাব্দীর ব্যবহৃত আত্মায় আরেকটি জ্যোতিহীন পাথর চাপিয়ে দেয় পুরুষ জানেনা তার লোল চোখ লকলকে জিব চেটে নিচ্ছে মণিহারী সিন্দুকের ডালা সে যখন কথা বলে জ্যোতি থেকে ভালবাসা বিচ্ছিন্ন হয় পুরুষ জানেনা একটি মাংসাশী চুম্বনের পাশে সে যখন নেংটো হয় একটি বিরাট সরীসৃপ তাকে গিলতে উদ্যত পরপর পাঁচটি নারীকে খুন করার পর আততায়ী ফাঁসীর অপেক্ষা করছে সে কি জেনেছিল মুদ্রিত শাড়ির গোপন অন্ধকার কিংবা বলা যায় ঐ সরীসৃপই গিলেছে খুনীকে আমি মুদ্রা ভালবাসিনা আমি খুনী কে চিনিনা |