হাংরি জেনারেশন-এর কবি
সমীর রায়চৌধুরীর কবিতা
যে কোন কবিতার উপর ক্লিক করলেই তা আপনার সামনে চলে আসবে।
www.milansagar.com
*
হণির জন্মদিন
(হাংরি বুলেটিন, ১৯৬২)
সাতলক্ষ যুবতীর পোঁদে লাথি মেরে
. ভেবেছিলাম কাতরানি গড়াবে প্রচুর,
মধ্যরাত্রে শূণ্য খোলা রাজপথে যুগ্ম শিশ্ন তুলে ধরে আমি ও সুনীল
কলকাতা চুরমার করো
. বহুবার ছুটে গেছি মেটিয়াবুরুজে |
ন্যাংটো করে অভিলাষ কুমারীর দেহ খুঁড়ে সন্দীপন ভেঙেছে প্রাসাদ,
সমরেন্দ্র বিলিয়েছে রূপসী বেশ্যার গৃহে কোম্পানির বিজয় টনিক---
শক্তি যে কিঞ্চিৎ ভীতু
. সে-ও তবু হাওয়ায় ছুঁড়িয়াছে লাথি,
সঙ্গোপনে ফুলকুমারীর প্রতি ;
মসৃণ চাবুক হাতে বাগনানে ভয়ংকর কাফ্রী হয়ে গেছি |
আমরা সদলবলে দ্রৌপদীর দীর্ঘবস্ত্রহরণের ঐ লিঙ্গ প্রধান প্রহসনে
মনোবেদনার জন্য মহিলার তলপেটে চেয়েছি বাগান |
অকস্মাৎ ঘুম ভেঙে প্রত্যুষের বিছানায় দেখি---
নীলপদ্ম রেখে গেছে প্রতিহারী আস্ফালন মায়াবী প্রহার,
করুণ ফোয়ারা বেয়ে ঝরে পড়ে আশ্চর্য প্রসার ;
অকস্মাৎ ত্রুটিহীন পরিচর্যা দাবী করে আমাদের প্রসূত সন্তান---
প্রত্যেকের ঘরে ঘরে তন্ন তন্ন করে খুঁজে দেখি |
. *************************
.
উপরে
.
হাংরি জেনারেশনের কবিদের সূচির পাতায় ফেরত যেতে এখানে ক্লিক করুন
.
হাংরি জেনারেশনের কবিতার মূল পাতায় যেতে এখানে ক্লিক করুন
মিলনসাগর
১।
হ
ণির জন্মদিন
২।
হ
ণির ভিতর দিয়ে দেখা যায়
আমরা এই কবিকে আমাদের ওয়েব
সাইটের
"
কবিদের সভা
"
-র অন্তর্ভুক্ত
করতে ইচ্ছুক | যদি কেউ আমাদের এই
কবির
১। জন্ম-তারিখ,
২। সংক্ষিপ্ত পরিচয়,
৩। একটি ছবি
এবং
৪। তাঁর যোগাযোগের ঠিকানা
জানান, তাহলে আমরা কৃতজ্ঞতা- স্বরূপ,
প্রেরকের নাম ঐ পাতায় উল্লেখ করবো |
*
হণির ভিতর দিয়ে দেখা যায়
(হাংরি বুলেটিন, ১৯৬২)
জাহান্নামে যাক গ্রহ নক্ষত্রসমুহ ভেঙে পৃথিবীও যাক জাহান্নামে,
লাথি মেরে সব ভেঙে চুরমার করে দিলে কাল আমি সহাস্যবদনে
হাততালি দিয়ে মঞ্চে কোনরূপ গ্লানিহীন নুরেমবার্গের আদালতে
তুড়ি মেরে কাঠগড়া গুঁড়িয়ে তোমাদেরও পারতাম ভেল্কিসুবিস্তারে |
সৌরমণ্ডলের পথে তছনছ পৃথিবীর অন্ধকার ফেরী আবর্তন
কোনোরূপ রেখাপাত সম্ভব ছিলোনা গ্রন্থে হৃদয়ে মেধায়,
আমার শরীর ঘিরে ইহুদির হিন্দুশিখমুসলিমের
. আততায়ী আদর্শের ঘৃণ্য রক্তপাত---
আমাকেও জয়োল্লাস দিয়েছিল মুত্রপাতে পোষা রাজনীতি |
তোমাদের আস্ফালনে বিনয়ী মুখোশ ঘিরে আমার হণির জন্মদিন
আমারই মুখোশ ধরে টান মেরে ছিঁড়ে ফেলে আর্ত চিত্কারে---
ধান উত্পন্ন হওয়ার গন্ধ এখন পেয়েছি শুঁকে কৃষকের উর্বর শরীরে,
কুমারী মহিলাদের মসৃণ উজ্জ্বল দেহে বহুবার হাত রেখে উত্তর নিরিখে
পরাগ চমকে ওঠে, স্পর্ষ করে নারীর সমগ্র দেহ জুড়ে
আশ্রয়ে ছড়ানো আছে পীত এক ধরনের মিহিরুখু বালি |
ক্রমে এই সমস্তই নাভির ভিতরে আনে রুদ্ধ আলোড়ন,
জেগে ওঠে মৃগনাভি, চেয়ার টেবিলে গ্রন্থে অম্লান মাঠের ভিতরে
ধূ ধূ রিক্ত প্রান্তরের দিকে শাবক প্রসব করে রঙিন প্রপাত,
চারিদিকে ফলপ্রসূ হয়ে গেছে রাশি রাশি প্রতিহারী ধান---
মনে হয় বহুক্ষণ মাঠে মাঠে গড়াগড়ি দিয়ে বিছানায় উঠে আসে নারী
. ক্ষুধার্থ শিকড়গুলি ঢুকে যায় নীড় আস্বাদনে ;
তখনই উত্পন্ন হওয়ার গন্ধ জাগে, কৃষকের উর্বর শরীরে |
প্লুত আবছা আঁধারে আজ তাই বারংবার মনে হয় পৃথিবীর সহজ সুদিন
ফিরে এলে সুধাশান্তি,
আমার হণির জন্য তোমাদের কাছে আমি ঋণী চিরদিন |
. *************************
.
উপরে
.
হাংরি জেনারেশনের কবিদের সূচির পাতায় ফেরত যেতে এখানে ক্লিক করুন
.
হাংরি জেনারেশনের কবিতার মূল পাতায় যেতে এখানে ক্লিক করুন
মিলনসাগর