তাকে চলে যেতে বলেছি আমি অনেকদূরে, নির্জনতার কাছে | যেখানে কোন নারী জন্মায় নি আর পাখীরা নিশ্চুপ আজও |
তাকে চলে যেতে বলেছি আমি অনেকদূরে, কাঁটা বনের কাছে | যেখানে ঘাসের বদলে পড়ে থাকে দু’চারটে নুড়ি পাথর | সেইখানে চলে যেতে বলেছি তাকে, যেখানে জ্যোৎস্না মিশে যায় ঝিঁ ঝিঁ র শব্দে-----
তাকে চলে যেতে বলেছি আমি অনেকদূরে, সেই নির্মম গ্রহে |
ঝিলিক রোদ্দুর, গাঢ় বর্ষা ধীরে ধীরে আমি সবই নিয়ে যাবো চলে | কোনো কিছুই রখবো না আর . তোমার দেরাজে ও ঘরে, শিফন শাড়ি অথবা আকাশের চাঁদ | স্ব-ইচ্ছায় সবই আমি নিয়ে যাবো চলে একান্ত গোপন কদমফুল, . রাত্রিমান ভাস্কর্য | আমি নিয়ে যাবো প্রথম আলো, সমীরণ হাওয়া . অনুপশুভ্র উত্পলখানি | ধীরে ধীরে আমি নিয়ে যাবো চলে আধপোড়া অভিমান আর ভস্মস্তূপ |
যতিচিহ্ন রেখে আরো একবার আমরা চলে এলাম ভিন্ন ভিন্ন পথে | যেভাবে হেঁটেছি পূর্বে ঠিক সেইভাবে এখন আর দিন যায় না | কাঁথামুড়ি-রাতেও তুমি নেই সাথে | বড় শীত শীত ভাব | অন্ধকার | হিমঘুমে যে স্বপ্ন তার রঙও সবুজ নয় | . এখন দিনযাপন অন্যরকম | . বিষন্নতার সাথে কুলকুচি | . কিন্তু স্মৃতিপথের তো কোনোই . নিয়মশৃঙ্খলা নেই | সারাক্ষণই . জলপরি ওড়ে তোমার মুখে, . পদ্মবনে হাসে চাঁদ | সেদিনের . ভাঁজে ভাঁজে অনুরণন আজ . কিন্তু ফুসফুসে তীব্র ক্ষরণ |
শব্দেরা স্মৃতিভ্রষ্ট দূরবর্তী দূরে আজ, অক্ষর কাঁদে একা | চারপাশে যে দু’চারটে পালক উড়ে বেড়ায় রোদ্দুর অথবা চাঁদ কেউই কি পারে . তাকে দিতে অন্য চিত্রকর ?
বিশ্বাস বাড়ির পুকুরে অভিমান বেঁচে ছিল গতকালও, আজ সকালে কে বা কারা হত্যা করেছে তাকে | রাস্তা বন্ধ, মানুষ টানটান, অন্ধগলিতে দীর্ঘশ্বাস | সংক্ষিপ্ত কারণ খুঁজে বার করি, একটু সরে দাঁড়াবেন ?
যেন ঠিক থাকে সব, উঠোনে পুব দিকে দেবদারু গাছ, পাঁচিলে শালিখ দুটি, কপালে-টিপ-মা, যেন ঠিক থাকে সব | মেঘ বৃষ্টি রোদ, শিরা উপশিরা নক্ষত্রপালক, ফিরে এসে যেন দেখি সবই ঠিক ঠিক |