তিক্ততপ্ত পানপাত্রে জীবনের স্বাদ নিতে চাই |
. সে শুধু অবাক চোখে
দেখেছিল মানুষের হাসিকান্না জন্মমৃত্যু খেলা,
. দেখেছিল
. আকাশ পৃথিবী জুড়ে
. ছায়া আর আলোকের মিষ্টি লুকোচুরি,
. সত্যি আর মিথ্যের ছলনা,-----
. সে এখন চোখ বুজে আছে |
. তার ভাষা নিরাশায় ভরা |
. শুধু বলে :
. বড়ো বেশি দেখা হয়ে গেছে,
. অতো বেশি দেখা ভালো নয় |
. এবার আমাকে তুমি অন্ধ করে দাও |
. **************
. সূচিতে...
মিলনসাগর
. খুঁটি-বাঁধা
. গোটা ছয় নির্বোধ ছাগল
অসহায় চেয়ে আছে অত্যাসন্ন নিয়তির দিকে |
. আমরা নির্বোধ নই,
. তাই চেয়ে দেখি
. শিল্পে আর স্বাদু মাংসে
. ভুবনডাঙার পথ
নির্বিকার চলে গেছে জনপদ পেরিয়ে পেরিয়ে |
. **************
. সূচিতে...
মিলনসাগর
. সেদিন তোমার দুখজাগানিয়া
সত্যিই কি তোমার ব্যথার আড়ালে দাঁড়িয়ে থাকে ?
. পাগল ভাই
. মকররাজের মহতী বিনষ্টিকে আমি বুঝি,
মৃত্যুর মধ্য দিয়ে রঞ্জনের জয়যাত্রার রহস্যও দুর্জ্ঞেয় নয় |
. কিন্তু নন্দিনীকে
. আমি কিছুতেই বুঝতে পারিনে |
. মনে হয় বড়ো নিষ্ঠুর !
. যাকে সে ভালোবাসে
. তার জন্যে সব সমর্পণ করে বসে আছে |
. কিন্তু
. যে একদিন তাকে পেতে চেয়েছিল
. অথচ পেলো না,
. যে সারাজীবন সেই না-পাওয়ার বেদনাই
. বুকে বয়ে বেড়াচ্ছে
. সেই হতভাগাকে কি তার কিছুই দেবার নেই ?
. পাগল ভাই,
. আমার মনে হয়
. এই জগৎটা হারজিতের বাজিখেলা |
. সে খেলায় যে পরাজিত
. সেই তো সর্বহারা !
. জানি একদিন রক্তকরবীর পালা শেষ হবে,
. পাতালের সুড়ঙ্গ-খোদাইকরের কাছে
. আসবে মুক্তির আকাশে পৌষের ডাক |
. কিন্তু
. চাঁদের উল্টো পিঠে যে অন্ধকার
সেই অন্ধকারে তোমার করুণ মুখখানি আর দেখতে পাব না |
. হঠাৎ
. নিজের বুকের দিকে তাকাই----
. দেখি অন্ধকারের একপ্রান্ত থেকে
. তোমার সকরুণ গান ভেসে আসছে :
. ‘ওগো দুখজাগানিয়া----|’
. **************
. সূচিতে...
মিলনসাগর
‘সোহাগ চান্দ্ বদনী ধনি, ভালো নাচো তো দেখি |
. বালা নাচো তো দেখি
. বালা নাচো তো দেখি
. চান্দ্ বদনী ধনি, নাচো তো দেখি |’
. **************
. সূচিতে...
মিলনসাগর
সবুজ প্রাণের স্বপ্ন দোল খায় ফসলের মাঠে |
প্রসন্ন নদীর বুকে খেয়া-নৌকা করে পারাপার,
বৃক্ষদেবতার নামে হাট বসে সোমে ও শুক্ কুরে ;
কত লোক, কত পণ্য, পাঁচ গাঁয়ের ক্রেতা ও বিক্রেতা
দর কষাকষি করে, ওরি সাথে করে আত্মীয়তা |
পাঠশালার পালাশেষে ডাক দেয় খেলার সাথীরা----
শৈশবের সেই স্বপ্নে ফিরে যাওয়া যাবে না কখনো |
. **************
. সূচিতে...
মিলনসাগর
সেই দুটি পাখি
"জগদীশ ভট্টাচার্যের শ্রেষ্ঠ কবিতা" থেকে
জগদীশ ভট্টাচার্য
ভুবনডাঙার পথ
"জগদীশ ভট্টাচার্যের শ্রেষ্ঠ কবিতা" থেকে
জগদীশ ভট্টাচার্য
পাগল ভাই
"জগদীশ ভট্টাচার্যের শ্রেষ্ঠ কবিতা" থেকে
জগদীশ ভট্টাচার্য
. কবির রক্তকরবী
. একদিন তুমিও তাকে
. কি
. হারজিতের বাজিখেলা থে
. পাগল ভা
. তুমি কি সত্যি
. কাছের পাওনাকে নিয়ে
. সে দুঃখ কেব
আর দূরের পাওনাকে নিয়ে
. তা-ই শুধু মানু
. তাই বুঝি মানুষের ওই
. সমুদ্রের অগম পা
তুমি কেবল হৃদয়-বিদারণ
. কিন্তু
. দুখের পারাবারে চোখের
লাতুর টিলা
"জগদীশ ভট্টাচার্যের শ্রেষ্ঠ কবিতা" থেকে
জগদীশ ভট্টাচার্য
‘আমি কি হেরিলাম জলের ঘাটে গিয়া,
. নাগরী গো,
আমি কি হেরিলাম জলের ঘাটে গিয়া |’
. শ্রীভূ
. ধামাইল গী
লাস্যময়ী রমণীর প্রিয়
. সুচারু ললি
. ছায়াঘন পল্লীতে
. উৎস
করিমগঞ্জ শহরের কল
. আমাদের অ্যা
. স্পিডোমিটারের
. পৌঁছে গেল লা
. অতীতে
. সে টিলার
. বেদনায় মৌনী
. স্মৃতির সরণি
. আঠারোশ’ সাতান্নোর
. প্রজ্বলন্ত উত্তর ভারত |
. বিদ্রোহের বহ্নিশিখা
. পূর্ব-সীমান্তের বুকে স্ফুলিঙ্গ ছড়ালো |
চট্টগ্রাম কোষাগার নিঃশেষে লুন্ঠন ক’রে,
. বিদ্রোহীর দল
. ত্রিপুরার অরণ্য পেরিয়ে
. সিলেটের লাতুর টিলায়
. তৈরী হল সম্মুখ-সমরে |
. কোম্পানির পদাতিক সেনা
. জমায়েৎ হয়েছিল ঢালু নদীতটে |
. বিদ্রোহীর অব্যর্থ গুলিতে
. প্রথমেই সেনাধ্যক্ষ ব্রিটিশ মেজর
. হল ধরাশায়ী |
. তবু সেই খন্ডযুদ্ধে
. বিদ্রোহীরা হল পরাজিত |
. ইতিহাস জানে
. পরাজয় পরাজয় নয় |
. জয়ে আর পরাজয়ে
. মানুষের ইতিবৃত্ত ক্রমিক মুক্তির পথে
. ধ্রুবতালে চলেছে এগিয়ে,
. তারই সাক্ষী লাতুবক্ষে মালগড় টিলা |
. সংগ্রামের স্মরণিকা থেকে
. নেমে আসি সমতল শ্যামল মাটিতে |
. ফাল্গুনের মুকুলিত আমের শাখায়
. বিরহী কোকিল
. দোসরকে ডেকে ডেকে সারা |
. অদূরে বাংলাদেশ, তারি কোনো প্রচ্ছন্ন শাখায়
. শোনা যায় কুহু
. পাখির ডানায় ভাসে সীমা
. মানুষের ভৌগলি
. অর্থহীন ওদের
. শহরের ফেরার
. পলাশের ডালপালা আবীরের
. তারি তলে কেউ যদি বিছায়
. শুরু হবে বৌ-নাচ রূপকথার
সাতপুরুষের বাস্তু স্নেহম
কেবলি পিছনে ডাকে, ‘ও
পাড়া-গাঁর অন্ধকারে গাঢ়
হরেক পাখির ডাকে ভো
বৈষ্ণবের আখড়ায় খঞ্জনী
পুকুরের চারপাড়ে নানাব
গোয়ালে শ্যামলী বাঁধা, বাঁ
হালের বলদগুলি চেয়ে থা
গাঁয়ের রাখাল আসে, গো
স্মৃতির শৈশব
"জগদীশ ভট্টাচার্যের শ্রেষ্ঠ কবিতা" থেকে
জগদীশ ভট্টাচার্য