কবি জগদীশ ভট্টাচার্যর কবিতা
www.milansagar.com
*
একদিন অবসিত হবে ;
দেখা দেবে আলোকিত বিশ্বস্ত প্রভাত |

সেদিন আমার কথা
মনে রেখো  |
মনে রেখো
একদিন তোমাকেও হারাবার দিন এসেছিল------
দিই নি হারাতে |

**************
.                                                                                              
সূচিতে...     




মিলনসাগর
*
.                  জীবনের অন্তিম যাত্রায়
.     মানুষের কাঁধে  কাঁধে চলেছে পথিক
.                 সংরাগে ,সংগ্রামে
.          মহামোহময় লীলা সংসারের
হেলায় পিছনে ফেলে মহানন্দে চলেছে এগিয়ে |
.                    তাই দেখে
.       মায়াবন্দী মানুষের শ্বাশত জিজ্ঞাসা-----
.               ‘কে যায় মশাই ?’

.                   **************
.                                                                                     
সূচিতে...     




মিলনসাগর
*
আকাশে দুচোখ তুলে দেখে নিল সুবর্ণসন্নিভ
আদি-উৎস বিশ্বজীবনের |  নির্জ্ঞান প্রাণের লীলা
সংযত সুন্দর হল আলোকিত প্রজ্ঞার স্পন্দনে |
তবু সেই স্বৈরাচারী আরণ্যক ফিরে ফিরে আসে
চেতনার অন্ধকারে |  ছদ্মবেশী শক্তি তার ভয়ংকর |
তাকে দেখে প্রকঙ্পিত অন্তরের আলোর সারথি |

.                   **************
.                                                                                     
সূচিতে...     




মিলনসাগর
*
দুটি স্তনে স্পন্দনের কী অপূর্ব দোলন-বিলাস !

সে দোলা বিশ্বের বুকে প্রেমময় আনে প্রাণগতি,
সে দোলা সৃষ্টির বুকে উচ্চকিত জাগায় স্পন্দন,
আঁধির মুকুরে  তার হেরি আমি কল্পিত নন্দন ;----
সুন্দরের পদতলে প্রিয়া মোর সৌন্দর্য-প্রণতি |

প্রেমস্বর্গ-যাত্রিকের পুণ্যতীর্থ প্রিয়ার তনিমা,
প্রহেলিকা পুরুষের, কল্পনার ধ্যানের প্রতিমা |

.                 **************
.                                                                                     
সূচিতে...     




মিলনসাগর
*
যে কখনো মরণেরে মনে মনে করেনি বরণ ;

তার তরে মৃত্যু সে তো মুক্তি নয়, আত্মার বিনাশ,
জীবন জীবন নয়, মিথ্যাময় বিস্মৃতি-কীহিনী,
কালের প্রবাহে চলে সর্বগ্রাসী নিত্য-প্রবাহিনী
সে কাল-প্রবাহ তর জীবনেরে করে পূর্ণগ্রাস |

যে কভু বাসে নি ভালো, পড়ে নি যে কোনোদিন প্রেমে,
তার তরে মরণের চির-সন্ধ্যা আসে ওই নেমে |

.                 **************
.                                                                                     
সূচিতে...     




মিলনসাগর
বিদায় বেলায়
"জগদীশ ভট্টাচার্যের শ্রেষ্ঠ কবিতা" থেকে
জগদীশ ভট্টাচার্য
  
‘কে যায় মশাই ?’
"জগদীশ ভট্টাচার্যের শ্রেষ্ঠ কবিতা" থেকে
জগদীশ ভট্টাচার্য
  
সব ক্লান্তি মুছে ফেলে নতুন
.                      চারপাশে
.         রজনীগন্ধার গুচ্ছ স
.              পুষ্পকে স্তবকে
.           সারা দেহ পুলে ফু

.                 গৃহীরা বেরি
.                     প্রশ্ন করে
.                  ‘কে যায় ম

.                       জ্ঞাতি
.               পরিচিত পরি
.                   তবু সে মা
.                       তাই ও
ভূমিতলে নত হয়ে কৃতাঞ্জলি
.         রাতের আঁধারে
.            দিনের  আলো

হে আদিম মাতামহী, অর
আমাকে পুযেছ

তুমি | সেদিনের সহযাত্রী
অতিকায় বীভৎস ভয়াল,
কালের ফসিল | যুগান্তরে
পশুচারী মানুষের অনুগত
কেউ বা অভয়ারণ্যে স্বকী

মানুষ মানুষ হল ঊর্দ্ধবাহু
ভয়
"জগদীশ ভট্টাচার্যের শ্রেষ্ঠ কবিতা" থেকে
জগদীশ ভট্টাচার্য
  
আমার প্রিয়ার তনু অষ্টাদশ
গর্বিত স্রষ্টার চোখে প্রিয়া মো
কৌতুহলী পুরুষের মনোমাঝে
অজ্ঞাত রহস্য নিয়ে লীলালাস্যে

আমার প্রিয়ার তনু পরিস্ফুট
নবীন ননীর মত বরতনু অতি
ফুলের মতন তনু------ তারো
আমার প্রিয়ার তনু সুন্দরের

বক্ষে তার যৌবনের উদ্বেলিত
সে নহে স্রষ্টার দান, স্রষ্টা তাই
বিস্ময়-বিহ্বল হয়ে চেয়ে থাকে
প্রথমা
"অষ্টাদশী" থেকে
জগদীশ ভট্টাচার্য
যে কভু বাসে নি ভালো,
যে কভু প্রেমের লাগি প্রাণ
অথবা প্রিয়ার স্বপ্নে পরি
তার তরে মরণের অমাব

চুপে চুপে ভালোবেসে যে
ভুলে নাই জনতার কামনা
ভুলে নাই ক্ষুধাতুর মুহূর্তে
ভুলে নাই জীবনের লোভ

অথবা যে ভালোবেসে অ
তৃপ্তিহীন যৌবনের ভোগপা
অকস্মাৎ অকারণে পরিপূ
প্রেমে,
ষোড়শী
"অষ্টাদশী" থেকে
জগদীশ ভট্টাচার্য