কবি জসীমউদ্দীন এর জন্ম অবিভক্ত বাংলার ফরিদপুরের তাম্বুলখানা গ্রামে। পিতার নাম আনসার
উদ্দিন মোল্লা মাতার নাম আমিনা খাতুন। পিতা পেশায় একজন স্কুল শিক্ষক ছিলেন।
জসীমউদ্দীন ফরিদপুর ওয়েলফেয়ার স্কুল ও পরবর্তীতে ফরিদপুর জেলা স্কুলে লেখাপড়া করেন। সেখান
থেকে তিনি তার প্রবেশিকা পরীক্ষায় ১৯২১ সনে উত্তীর্ন হন। তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বি. এ.
এবং এম. এ. পাশ করেন ১৯২৯ এবং ১৯৩১ সালে। ১৯৩৩ সালে তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের রামতনু
লাহিড়ী গবেষণা সহকারী পদে যোগদেন। ১৯৩৮ সনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা বিভাগের প্রভাষক
হিসেবে যোগ দেন। ১৩ মার্চ ১৯৭৬ সালে ঢাকায় তাঁর মৃত্যু হয়। পরে তাঁকে তাঁর নিজ গ্রাম বিমলগুহে
সমাধিস্থ করা হয়।
১৯৬৯ সনে কলকাতার রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কবিকে সম্মান সূচক ডি লিট উপাধিতে ভূষিত করেন।
এ ছাড়া ১৯৫৮ সালে (পূর্ব পাকিস্তান) ভূষিত হন "প্রেসিডেন্টস এওয়ার্ড ফর প্রাইড অফ পারফরমেন্স"
পুরস্কারে | স্বাধীন বাংলাদেশ সরকার ১৯৭৬ সালে তাঁকে "একুশে পদক" এ ভূষিত করেন |
জসীমউদ্দীন পল্লীপ্রকৃতির কবি হিসেবে খ্যাতি লাভ করেছেন | তাঁর কবিতায় গ্রাম বাংলার সহজ
সরল ছবিটি সুন্দরভাবে আমরা দেখতে পাই | বাংলা কবিতায় তিনি একটি নতুন সুর যোজনা করেন গ্রাম্য
কাব্যগীতিকার ধারাকে পুনরুজ্জীবিত করে |
তাঁর নকসী-কাঁথার মাঠ (১৯২৯), রাখালী (১৯৩০), বালুচর (১৯৩০), ধানক্ষেত (১৯৩২) প্রভৃতি কাব্যে তিনি
পুরানো বাংলা গীতিকার আদর্শে এক আধুনিক গীতিকা গড়তে চেয়েছেন | ছন্দে ও ভাষাভঙ্গিতে আছে
প্রাচীনের অনুসরণ, কিন্তু প্রতিমা রচনায় এবং নাটকীয় আততি সৃষ্টিতে আছে এক বর্তমান কবির
চৈতন্যস্রোত | তিনি আধুনিক কালের পল্লী কবি নন, তিনি পল্লী কাব্যধারার আধুনিক কবি | তাঁর অন্যান্য
কাব্যগ্রন্থের মধ্যে রয়েছে সোজন বাদিয়ার ঘাট, বালুচর, রঙিলা নায়ের মাঝি, বেদের মেয়ে
(১৯৫১) গীতিনাট্য, চলে মুসাফির (১৯৫২) ভ্রমণ কাহিনী ইত্যাদি |
মিলনসাগরে পল্লীকবি জসীমউদ্দীন এর কবিতা তুলে আগামী প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দিতে পারলে এই
প্রচেষ্টার সার্থকতা। আমরা কৃতজ্ঞ ঢাকার জনাব নুরুস সাফার কাছে যিনি আমাদের এই কবি সহ বিভিন্ন
কবিদের গান টাইপ করে পাঠান। তাঁর ইমেল - nurus.safa@gmail.com ।
উত্স: সুশীল কুমার মুখোপাধ্যায়, জসীমউদ্দীন : কবিমানস ও কাব্যসাধনা, বাংলা আকাডেমি ১৯৮৩
. উইকিপিডিয়া
আমাদের ই-মেল - srimilansengupta@yahoo.co.in
পল্লীকবি জসীমউদ্দীন এর মূল পাতায় যেতে এখানে ক্লিক করুন।
এই পাতার প্রথম প্রকাশ - ২০০৮
পরিবর্ধিত সংস্করণ - ২৪. ০৯.২০১৩
...