কবি জয়দেব বসুর কবিতা যে কোন গানের উপর ক্লিক করলেই সেই গানটি আপনার সামনে চলে আসবে।
|
বেহালা এখন নাকি ছেয়ে গেছে কংগ্রেসী মাস্তানে---
জয়দেব বসু
মারুন, কাটুন আর কুচিকুচি করুন আমাকে, আমি এভাবেই শুরু করব লেখা |
কবিতার ভার নিয়ে আমার সত্যি কোনো মাথাব্যথা নেই শৈলেশ্বরদা, ওগুলা ছাড়ান
দেন, মিডিলকেলাস আজো বাকি আছে চেনা ? তারচে’ দেখুন ঐ গঙ্গায় চলন্তা পানি
ন্যাংটো করে দিয়ে যাচ্ছে মানসিক প্রমেহ, অম্বল | তাছাড়া, সেদিন শুনি কল্লোলিত
কৃত্তিবাস, ক্ষুধার্তের পর এখনো অনেক নাকি বিয়রেই নেসা করে থাকে | সুতরাং,
ঐসব আধুনিকথার কথা ---- হেইডা বোধহয় আর চলিবেক নাই | এই কবিতাটি
মিলনসাগর থেকে কপি পেস্ট করে নেওয়া হয়েছে।
পারেন তো ক্ষ্যামা দিন | নাইবা বলুন কবি | যথেষ্টই ভালো আছি ধনঞ্জয় বৈরিগির
দিনগত কাজে | ‘দায়ে পড়ে যৌথকারবার’ তবু সমর্থন করি | এই পাপে আপামর
সাহিত্যিকদল প্রাণদন্ড দিলে পাব আন্তরিক শ্রেষ্ঠ রসিকতা | যতক্ষন তবু এই সি
পি এম পার্টি রয়ে যাবে, কলম ঘষ্ টানো আর যে কোনো কবিতা থেকে আমাকে
নিবৃত্ত করা নেহাতই অলীক | আমরা কাডার, এটা জানেন নিশ্চয় |
এতেই আমার সুখ, বাকি সব-----করকমলেষু----
. ******************
. সুচিতে...
মিলনসাগর
উনিশশো চল্লিশ
জয়দেব বসু
উনিশশো চল্লিশে চলো, দেখে আসি মেয়েরা কীভাবে চুল বাঁধে,
কীভাবে বিকেলবেলা ফুটবল মাঠ থেকে ছেলেরা মিলিয়ে যায় মিলনসাগরের
. ফাশিবাদ বিরোধী নাটকে,
অথবা দুপুরে সেই ছেলেটিকে চিনে নিই, শিক্ষকের পিছু পিছু দৌড়ে গিয়ে
. নতমুখ মেয়েটিকে
যে কিছুতেই ভুলতে পারেনি ; ভুলতে পারেনি হায় চরকাপেড়ে শাড়ি পরা
মেয়েটির কথা | সে মেয়েটি আজ বুঝি ঠাকুমা হয়েছে ?
কোথায় রয়েছে আনু, দুবরাজপুরে ?
কলেজদিনের কথা মনে করে এখনো আর্দ্র হয়না কি ?
লজ্জাবোধ করে থাকে শাড়ির ‘স্বদেশী’ পাড় ভেবে ?
উনিশশো চল্লিশে চল, নিয়ে চল, আজকে তোমার বেণী দেখে কি বলবো
সহসা শহর মেঘে ঢেকে গেল, এত তীব্র অতীতচারিতা
বহুদিন কলমে আসেনি | সেসব মেয়ের মতো বেণী বাঁধতে
আমাকে শেখাও আজ কীভাবে চোখের ঐ প্রশাসন দিয়ে
আমাকে বানালে তুমি সমর সেনের ত্যারচা প্রেমিক,
আমাকে শেখাও আরো কীভাবে তোমার গলা অধিকার করে নেয়
বেথুনে পড়তে আসা ফরিদপুরের পাকা মেয়ে !
আমিও শেখাব কিছু, ছিয়াশির মধ্যপাদে এখনো শেখার যা-যা বাকি,
শেখাব এপিক ঢং, রোজ যাতে ভিন্ন চোখে আমাকেই দেখো,
শেখাব আগুন চুরি, গ্রিক মিথ, ভোলক্যানোলজি, মিলনসাগর দেখো
শুধু আগে একবার পুরোনো বাতাসে মুখ ধুয়ে নিই,
বুকে নিই বাঙালি মনন, আনু, মিলনসাগরের এই আণবিক
বর্ষার দিনে আজ ফিরে যাব উনিশেশো চল্লিশ
. ******************
. সুচিতে...
মিলনসাগর
তখন সন্ধ্যা নিবিয়ে দিচ্ছে পথপ্রান্তর --- এমন সময়
দাঙ্গাধ্বস্ত গ্রাম থেকে তার আলুথালু দেহ ছুটে এল --- আঃ,
সে এসে দাঁড়াল তামসী মেঘের বুক ছিঁড়ে, তার
দুই চোখ থেকে শ্মশানকালীর বিষ ও ভষ্ম --- আমি ভয়ার্ত
কন্ঠে বলেছি ? “কে তোকে মেরেছে !” --- এক থুৎকারে
আমার সাহস ছারখার করে সে শুধু বলল, “তু”---
গঞ্জের নাম শ্রেণীসংগ্রাম, মেয়েটির নাম কু |
. ******************
. সুচিতে...
মিলনসাগর
তোমায় দেখি, মূর্ধা-তালু জ্বলে
তোমায় ভাবি, বাঙাল বুক টলে
তোমায় টেনে নামাই কাদায়, গাঁয়ের ঘরে তুলি
পরাই রাঙা শাড়ি, তোমার চিকণ অঙ্গুলি
আধেক তুলে আমায় শাসন করো
চাষাড়ে চুম্বনে মরো, মরো--- মরো---- মরো---
শহর থেকে এনেছি কবিওলা
বেজায় বোল-বোলাও
নাম---- জয়দেব, বেসুরো গান করেন :
“কী ভালো যে বাসি তোমায় জানেন শুধু লরেন্স”---
. ******************
. সুচিতে...
মিলনসাগর
লুপ্ত পূজাবিধি
জয়দেব বসু
উদর আঁট করে বসেছি ঠাকরুণ, খাদ্য দা
উপোস বমি পায়, পিত্তরক্ষায় পারলে দুই
শ্রাবণে বনময় অঝোর ঝড় কাঁপে, দাওয়া
এমন দুর্দিনে অতিথ্ ফিরে যায়, আকাশে
অস্থি বাঁকা করে পরাই গুণ, তবু বারংবা
এত কী গুণ ধরি, নিজের শিরদাঁড়া লম্বা ক
কুলুঙ্গিতে জমা নিকষ অমা, ওমা, নিষ্কাশনে
ভরেনা অঞ্জলি, আপন মনে জ্বলি, কী খাব
কুল্যে একটাই জন্ম, তন্ময় হয়েছি তাই, আ
তুলিকা টান করে বসেছি অভাজনে ভাত
. ******************
. সুচিতে...
মিলনসাগর
প্রণয়মঙ্গলা
জয়দেব বসু
তোমার কথা ভাবি
তোমার নাকছাবি
. রূপের গাঙে রূপ ভেসে যায় অনেক
. য় খাই কুরে