কবি জয়দেব বসুর কবিতা যে কোন গানের উপর ক্লিক করলেই সেই গানটি আপনার সামনে চলে আসবে।
|
---‘তুমি কিছুই বুঝবে না তার ;
বলছি তবু, ঐ আকাশ আর
এই মাটিকে, এই ধুলোকে
অনির্বাণ দিনগুলোকে
আবার আমি নতুন করে
গড়ে তুলতে চাই |’
. ******************
. সুচিতে...
মিলনসাগর
তরুণ কবির প্রতি
জয়দেব বসু
যখন আমায় নিঃশে
তখন আমি উড়াল দি
যখন আমায় দীপান্ত
আমি তখন তোমার
তরুণ, ওগো তরুণ,
আমার হাতে শিউরে
পচন ! তুমি পচন কা
পচন মানে, ভিন্ন কো
ফুটিয়ে তোলা সারে
এতে তোমার আছে
তরুণ, ওগো তরুণ,
আমার বুকে লতিয়ে
যখন তুমি নষ্ট ভাবো
তখন আমি নিজের
বিছিয়ে দিই তোমার
তোমার গানে বাজে
তরুণ, ওগো তরুণ,
অস্থি দিয়ে বজ্র বাঁধ
. ******************
. সুচিতে...
মিলনসাগর
২১শে ফেব্রুয়ারি বা ১৯শে মার্চ : তোমাকে
জয়দেব বসু
তুমি দেবী চৌধুরানি, আমি
আমি তোমার আশকারাতে
তুমি আমার গোসল-পানি, আ
তুমি আমার বেগুন দিয়া ইল
তুমি আমার নারানগঞ্জ, তুমি
আমি সারেং, অপেক্ষাতে তু
তুমি আমার কুন্ডলিনী, আমি
তুমি হইলে জয়নাব আর আ
ভালোবাসব সূফি মতে, বিয়ে
বদল করে, যদি আমার পুরু
কে ঈশ্বর ? পাত্তা দিই না,
ফজর কালে সোহাগ করি, আ
তোমায় দেখে অন্ধ ভোলা, উ
ঈশ্বরেরও অধিক তুমি, ঈশ্ব
. ******************
. সুচিতে...
মিলনসাগর
২
যন্ত্র ও ক্ষুধার মধ্যে যারা ম্যাপ খুলে বোঝাচ্ছিল :
পায়ে ধরে সাধা, রা নাহি দেয়-----
‘রা’ মানে তো সূর্য, সূর্য ওরা স্বেচ্ছায় দেবে না |
যারা স্বপ্ন দেখছিল সূর্য কেড়ে আনবার, যারা ফন্দি আঁটছিল,
কী ভাবে পা টিপতে হবে, হতে হবে মিসিবাবার ঘোড়া,
তারপর একরাতে শুন-শান কীভাবে সিন্দুক খুলে
সূর্য নিয়ে সট্ কান মারতে হবে, যদি কেউ দেখে ফ্যালে
কী ভাবে মারতে হবে ঘেঁটিবরাবর দাউয়ার কোপ,
মায়া করলে চলবে না, কীভাবে নিষ্ঠুর চোখে------
আমি তাদের অসহ্য প্রেমে পড়ে আছি ছোট্টবেলা থেকে |
বালকবয়স থেকে আমি তাদের প্রণয়ে,
যারা সূর্য কেড়ে আনবে তাদের চোখের দিকে চেয়ে
দিওয়ানা হয়ে গেছি, হয়ে গেছি ব্লেড দিয়ে শিরাকাটা নির্বোধ প্রেমিক,
সবাই আমাকে দুয়ো দেয় এ-জন্য. জ্ঞান দেয়, বলে : ভাই, একটু কম,
একটু কম জঙ্গীপনা করো |
বলে : ভদ্রতা জানো না ছেলে, তুমি তো দেখছি
রাস্তায় কোনদিন মার খেয়ে পড়ে থাকবে,
টাল খেয়ে পড়ে থাকবে, কেউ বাঁচাবে না,
পার্টিপার্টি দ্যাখা আছে, কেউ আসবে না |
সে-সব মন্টেগুদের কথা, সে-সব ক্যাপিউলেটদের----
৩
দীপাবলি
জয়দেব বসু
রুদ্রাক্ষ ছিঁড়েছিল আমারই কমরেড,
আমি সেইদিন রাগ করি, পরদিনই জড়িয়ে ধরেছি, তারপর লেনিন পড়লাম |
শূন্যতার মধ্যে কোনো সৃষ্টি নেই, সম্ভাবনা নেই,
বিনাশরহস্য নেই, প্রেম নেই, ছাড়াছাড়ি নেই,
কিছুই চাই না আমি, কাউকে না, কিচ্ছু না,
আমার রাগ নেই, অভিমান নেই, ফিচলেমি নেই,
অসহায়ভাবে ভালোবেসে অসুখবিসুখ নেই,
আমি কতদিন এইভাবে শূন্যতার মধ্যে শুধু ভেসে আছি,
অপেক্ষা করছি না, যেহেতু দেখতে পাচ্ছি কীভাবে সময়দন্ড
ছুঁয়ে যায় ঘটনাশীর্ষকে, কথাও বলছি না আমি,
অথবা বলছি কিন্তু কেউ কিছু শুনতে পাচ্ছে না |
৪
আমি যাদের প্রেমে হলাম সবার কলঙ্কভাগী,
সাতাশ কুকুরের মাংস ছুঁড়ে দিলাম,
খন্ড-খন্ড কেটে ছুঁড়ে দিলাম অন্য কুত্তাদের পাত্রে,
আমি যাদের প্রেমে ধান্দা হারিয়ে, কানখোঁচানি হারিয়ে
অবশেষে নিজেকেও চিনতে শিখলাম,
আমি যাদের প্রেমে কপালে দাগলাম চিহ্ন, বাহুতে আঁকলাম উল্কি,
তারা কি আমায় তুলে আনবে এই প্রত্যাখান থেকে,
কিছুই না-চাওয়া থেকে, এই নির্বাণ থেকে
তারা কি আবার আমার মাথা ও পায়ের কাঠি বদলে দেবে----
হে বিপর্যস্ত ভাষা, হে মহাজাগতের ঘূর্ণন,
হে ছায়াপথ, হে নিরাসক্তি,
হে, রাত্রিপৃথিবীর গান আর গান-গাওয়া সেই মেয়ে,
হে জীবনবেষ্টিত মৃত্যু আর মৃত্যুর নাকে নথ,
হে সত্য, হে সত্যকাম, হে নৌকার লন্ঠন,
তারা কি জাগিয়ে তুলবে পুনর্বার ?
. ******************
. সুচিতে...
মিলনসাগর
ফিনিক্স
জয়দেব বসু