অনেক উঁচুতে দেখি নম্র কলোনিতে কবি জ্যোতিরিন্দ্র মৈত্র বার্লিনের হাত ধরে সুরের মেজাজে কাব্যগ্রন্থের কবিতা। . ২
অনেক উঁচুতে দেখি নম্র কলোনিতে, সূর্যের উজ্জ্বল হাত ছুঁয়ে-ছুঁয়ে এসে গেছে আমার কাছের সব চৈতন্যের মূর্তিদের পাশে | যেন কোন ইতিহাস থেকে দেখা ইতিহাস হয়ে সুউচ্চ চূড়ার স্বর্ণ-ঈগলের চিন্ময় সোনায় | নিচে দেশ মহাদেশ একাকার যাত্রা বেগে ভৌগলিক সত্তার মন্থনে | চিত্রল আবেগ সর্বংসহ রচনায় নানা ছকে উন্মীলিত নিমীলিত মিনিটে-মিনিটে |
বোধন কবি জ্যোতিরিন্দ্র মৈত্র বার্লিনের হাত ধরে সুরের মেজাজে কাব্যগ্রন্থের কবিতা।
. ৫
মেঘ ভেঙে নিচে নেমে এসে, ঝুঁকে-পড়া প্লেন থেকে হঠাৎ চকিতে দেখা | মনে হয় চাঁপাডাঙা অথবা সে কেষ্টপুর ভাঙড়ের বাঁক | ওডার নদীর পাশে কাটা খাল, চষা মাঠ, ছোট-ছোট গ্রামের ঘরোয়া বাড়ি | নীল-নীল দেয়াল-দরজা | নীল চোখ সুশ্রী সুঠাম মেয়ে---- অপরূপ ভঙ্গির শায়কে আকাশকে বেঁধে | এই তো সেই ! এরাই তো ! গ্যয়েটে-কে হাইনে-কে গীতিময় করে তুলেছিল | আরও নিচে স্পষ্ট হয় গ্রামের কুটির সব, কাঠ খড় মাটি | কিছু মেলে, কিছু বা মেলে না, তবু মেলে পৃথিবীর পুরাণের ছবির কথারা মধ্যাকর্ষণেই বুঝি, পায়ে-চলা মানুষের অসংখ্য সূর্যের দিন, অসংখ্য আলোকবর্ষ রাত্রির মেলায় |
দুই কন্যা কবি জ্যোতিরিন্দ্র মৈত্র বার্লিনের হাত ধরে সুরের মেজাজে কাব্যগ্রন্থের কবিতা।
. ৬
এই বার বার্লিন সন্ধ্যায় হাওয়াই আড্ডায় | আপাতত সঙ্গী নেই, ভাষা নেই লিন্ডেনাউ ছাড়া | কাস্টমস, পাসপোর্ট, সিকিউরিটি তোরণগুলি একে-একে পার হই তার হাত ধরে | মাইকে ঘোষণা ----- ‘ভারতীয় অতিথি হাজির’----- এ কালের চাঁদ বণিক এল বার্লিনে | সঙ্গে-সঙ্গে ছুটে আসে ফুরফুরে উত্তুরে হাওয়ার মতো বার্লিনের অভ্যর্থনা, দুই কন্যা, আঞ্জেলিকা, মিলি | সংস্কৃতি মন্ত্রকের মন্ত্রণায় তারাই হাজির | প্রথম যৌবনের, অনেক রাত্রির সব আকাঙ্খিত ছবি থেকে নেমে এসে দুই হাত ধরে বলে------ প্রতীক্ষায় অনেক ক্ষণ বসে আছি, প্লেন লেট ছিল---- এবার চলুন------ | এই বার ইয়োরোপের ইতিহাস ঘটনার পথে-পথে মোটরে উধাও | সঙ্গে দুই কন্যার দুই তারে খাম্বাজ ঠাটে, মধুর আলাপ------ অস্থাযী অন্তরা, আঞ্জেলিকা, মিলি |
জাতিস্মর কবি জ্যোতিরিন্দ্র মৈত্র বার্লিনের হাত ধরে সুরের মেজাজে কাব্যগ্রন্থের কবিতা।
. ৮
শিহরিত মনে ভাবি রাস্তায় নেমে, প্রথম তাকানো মুখ উজ্জ্বল বার্লিনের----- এখানেই হয়তো বা এ রাস্তারই এধারে-ওধারে, কোন অলিতে গলিতে-----লন্ডন থেকে এসে শ্রমিক পল্লীতে, আরও অনেক রাস্তায় বিরাট যুগান্তকারী পদক্ষেপ পুনঃপুনঃ পূত করে গেছে | সম্ভাব্য সে বিপ্লবের হাত ধরে-ধরে কার্ল মার্কস অথবা লেনিন, এঙ্গেলস---- ঐ তো কাছেই সেই রোজা লুক্সেমব্যুর্গ স্ট্রাসে ! রোজার বাড়িতে রাত্রে বিপ্লবের গুপ্ত অভিসারে নিষিদ্ধ পুস্তিকা, ইসক্রা-র বিদ্রোহের ডাক | জাতিস্মর বর্ণণায় আরও সব চিত্রাবলি ফোটে---- উন্টারডেন লিন্ডেন, ঐ দূরে ব্রুন্ডেনব্যুর্গ তোরণের ছায়া গুস্ স্টেপস---- হিটলারি দম্ভের স্পর্ধিত পদক্ষেপে কাঁপে---- আর্নস্ট থেএলমান হিটলারের বলি, নাৎসি অষ্টমীর শত ছাগবলি রক্তের উল্লাস | সে সব পায়ের ছাপ নিশ্চিহ্ন মুছে গেছে আজ | হাইমার লাইপজিগে গ্যয়েটে ও শিলার আর হাইনে-র কাব্যলীলাপীঠ | হুমবোলট বিদ্যাপীঠ, পট্ সডাম প্রাসাদের ঘর সব চিত্র জাতিস্মর আলোতে উজ্জ্বল মুখর | আরও সব চিত্র রেখে যায়, বাখের নিজস্ব গ্রাম থুরিঙ্গিয়ায় | বিটোফেন মোৎসার্ট হাইডেন ব্রাম্ স হানডেল বন, ম্যুনশ্যেন থেকে সেই ভিয়েনায়---- একই পল্লী একই স্বরগ্রাম যেন ঐকাত্ম্যের গ্রামে |
নীলে নীলে আকাশের সুনীলে কবি জ্যোতিরিন্দ্র মৈত্র বার্লিনের হাত ধরে সুরের মেজাজে কাব্যগ্রন্থের কবিতা।
. ৯
গ্যুলডেনাউয়ার ভেগ ৪৯, ক্যুপেনিক ---- ঠিকানা দিলাম | থাকে সুনীল---রামু যাকে বলি, আর বারবারা বাংলাভাষী রামু-পত্নী | আপেলের বাগানে-বাগানে ছয়লাপ, টারনিপ্ লেটুশের মেলা | মাটি খোঁড়ে, বাগানের কাজ করে অবসরের ফসল ফলায়---রামু,বারবারা | আমরাই দুই ভাইবোন যেন সেই সুদূর বার্লিনে তুলে আনা বাংলার গ্রামে | তাদের শিশুর নাম ‘অসীম’------- টিউলিপ বলে ডাকি আদরের ঢঙে | অসীম বিস্তার সেই স্নেহ মহাদেশে অনেক অসীম | . আর-এক প্রান্তে থাকে আর এক সুনীল----- সেনগুপ্ত সে | সুনীলভার্যা সুশ্রী কারিন এবং সন্তান---- দুই ভাইবোন---- বেড়ে ওঠা লিন্ডেন, বার্চের মতো, কিশোর-কিশোরী | তাদের গৃহের মনে উপভোগ্য সুস্বাদু ফলের ঘ্রাণ | যেন বাংলার আমজামকাঁঠালের ফলের বাগানে | জার্মান অনুবাদে লাগে পাকা আপেলের রং, অথবা পীচের | আতিথেয়তায় মশলা ফোড়ন দিয়ে কার্প রাঁধে, জার্মান রুই বা মৃগেল | সুনীলের হাতে পাই স্বদেশের ব্যঞ্জনা স্বাদে ও ভাষায় | রামু-বারবারা আর সুনীল-কারিন একই কবিতার চার কলি---- প্রবাসের রম্য পদাবলি | নিচে নেমে দেখি, পান্নারং পার্কের মাঠে, নানা রং ঘুড়ি ওড়ে অপূর্ব বাহারে | মাঠে-মাঠে শিশুরা ওড়ায়, হাততালি দিয়ে হাসে | . ঘরে-ঘরে ঘুড়ির স্বদেশ মুক্তির হাওয়ায় বিলীন | . নীলে-নীলে আকাশের সব নীলে আনেক সুনীল |
আলেকজান্ডার প্লাট্ স : ফেস্টিভ্যাল সন্ধ্যা কবি জ্যোতিরিন্দ্র মৈত্র বার্লিনের হাত ধরে সুরের মেজাজে কাব্যগ্রন্থের কবিতা।
. ১১
এখানে সকলে প্রত্যয়ে নামে রাস্তার ট্রামে | স্থির বিশ্বাস, অন্ধতা নয় | যেন মনসার ঠানেতে রেখেছে মানত, নিজের জান দেবে প্রাণ দেবে | নিজের যা আছে সব কিছু দিয়ে জীবন গড়বে | তাই কি সকলে প্রত্যয়ে নামে রাস্তার ট্রামে, রেলে বাসে চাপে | প্রত্যহ তাপে হৃদয়ে হৃদয় উষ্ণ ছোঁয়ায় কর্মকুশল |
সবটা আকাশ সূর্যমূখর হোক বা না-হোক, কখনও মেঘ এসে ছায়, কুয়াশার প্রাকার ঘেরে | টিপটিপ বৃষ্টির ছাট, ছোটে তীক্ষ্ণ বাতাস----- ধারালো ফুঁয়ে সোনালি চুলের স্রোতে লাগে ঢেউ | কিশোর যুবক হাসি হাসি মুখে কর্মমুখর হঠাৎ কেউ বা ছুটে এসে চুমু খেয়ে যায় কোন কিশোরীমুখে----- ( অবশ্য জানি সারা ইয়োরোপই চুম্বনপূত ! ) প্রাণ চায় তাই চক্ষুও চায়, দুঃসহ নয় কোন লজ্জায় | সকলেই তাই প্রত্যক্ষেই চুমু খায় কাজ করে গান গায় | কী যেন একটা জগদ্দল পাষাণ সরেছে |
দেশের বুকেতে চেপে-বসা সেই হিংস্র কামড় রক্তপিপাসু ----এখন তো নেই | গুঁড়ো হয়ে গেছে পাষাণদুর্গ, আর্য দানব |
মুক্ত হয়েছে প্রাণের ফোয়ারা, যৌবনেরই আলোকোজ্জ্বল আলেকজান্ডার প্লাট্ সে অথবা সারা বার্লিনে |
সকলে ব্যস্ত উত্সববেশে | সারা সোশ্যালিস্ট দেশই জমেছে এই প্রাঙ্গণে, আলোকোজ্জ্বল ফোয়ারাকে ঘিরে | নিষ্ফল নয় জীবন-জাগানো আনন্দগান |
সকলে ব্যস্ত তবু গান গায় | কোরাসে কোরাস মেশে সকলের সুরের ভাষায় | পান করে আর নৃত্যে মাতায়--- সারা পৃথিবীর মানুষকে টানে | প্রবল আবেগে জড়িয়ে ধরেছে নূতন জীবন নূতন প্রাণের স্বপ্নসফল কর্মে গানে |
হাইদে মিলিনস্কি এসে নিয়ে যায় কবি জ্যোতিরিন্দ্র মৈত্র বার্লিনের হাত ধরে সুরের মেজাজে কাব্যগ্রন্থের কবিতা।
. ১২
হাইদে মিলিনস্কি এসে নিয়ে যায় এখন সকাল পেরাগামন্ অলটারের কাছে গিয়ে দেখি স্তম্ভিত পুরাকাল | অবাক বিশ্ময়ে দেখি, স্তম্ভে পাথুরে পেসীতে তোলে গ্রিসের রোমের কত স্তব্ধ কথকতা | কোরিনথিয়ান বেদি প্রাচীন পুরাণ থাম ধরে রাখে ভাস্কর্যের ফুল | যুদ্ধের তান্ডবে কিছু ভেঙে পড়ে | কিছু ছিঁড়ে যায় সেই পুরাণের মর্মরমালা | অসীম মমতায় নিয়ে যায়, আবার ফিরিয়ে দেয় বৈজ্ঞানিক গ্রন্থনায় সোভিয়েট শুশ্রূষা জার্মানিরই হাতে |
মোৎসার্ট পাশে বসে যেন শোনে খুশির সে পালা আমাদেরই কানে | অন্য দিন, মেট্রোপোলে ‘জুপিটার সিম্ফনি’----
গান সুরযন্ত্রের বায়োলিন ভিওলার তানমূর্ছনার সমুদ্রে উত্তাল ঢেউ | সৈকতে হাসির ফেনা---- Cosi Fan Tuttle, অথবা পোলান্ডের দল বিখ্যাত পজ্ নান কয়ার কন্ঠকলা চাতুর্যের অমেয় চূড়ায় ছড়ায় ফুলের মতো রৌদ্রের সৌরভ |
অথবা, হঠাৎ নেচে ওঠে সেই লেনিনগ্রাদের মিনিয়েচার কোরিয়োগ্রাফিক দল |
দেহের পেশীতে লাগে বহুভঙ্গ ছন্দের আবেগ-----
ছোট-ছোট বিস্ময়ের স্পুলিঙ্গে বাজিকর বাজিমাত করে |
এই সব নানা রং গানের স্ফুলিঙ্গ ফুল সমুদ্র আকাশ সমগ্র মানবজাতি হাতে হাত দিয়ে বসে দেখে, মহান বিপ্লবপূত জীবনের রঙ্গমঞ্চে প্রেমিকের মতো |
ড্রেসডেন কবি জ্যোতিরিন্দ্র মৈত্র বার্লিনের হাত ধরে সুরের মেজাজে কাব্যগ্রন্থের কবিতা।
. ১৭ . ট্রেনের জানালা অফুরান মাঠ গাছ গম্বুজ অতিদ্রুত ধাবমান ছবিরং স্বপ্ন সবুজ | হাত তুলে সহযাত্রী দেখায় সমবায় ক্ষেত ট্র্যাকটর গরু নবীনধবল | দূর সংকেত----- এই বার বুঝি পৌঁছবে এই রূপকথা-ট্রেন, দুই চোখ দুই শবরীর মতো, দূরে ড্রেসডেন | প্রতীক্ষা শেষ | শ্লথগতি গাড়ি থামবে এখন এ কী ! এ যে সুন্দর রূপবান প্রাসাদ স্টেশন ! প্ল্যাটফর্ম নয়, যেন অভিজাত অতিথিশালা | কাঁচে রং আঁকা পুরাণ-ছবির চিত্রমালা | হাতে ব্যাগ নিয়ে হোটেল ছুঁয়েই বেড়িয়ে পড়ি | অনেক দেখার অনেক ছবির স্বপ্ন গড়ি | ছবির গ্যালারি, পুতুলের দেশ মুগ্ধ অবাক ! পোর্সিলেনের তুলনাবিহীন কারুকৃতি পাক স্মৃতির তীর্থে অমরতাপীঠ | কলালক্ষ্ণীর সুষমা-হরিণ, শিকার হয়েছে | শান্তিশিবির বোমা বিদীর্ণ, ইতিহাস জ্বলে--- সকলেই জানে আমেরিকান আর ব্রিটিশ বোমারু ধ্বংস হানে | কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলার এ এক অমোঘ প্রীতি | মাৎস্যন্যায়ের ----- অথচ ফ্যাশিস্টবিরোধী যুদ্ধে জানায় প্রীতি | এ ষড়যন্ত্র ব্যর্থ করেছে লাল সেনানী | ভন্ড প্রেমের ভান্ড ভেঙেছে | আমরা জানি দিয়ে গেছে সব, ফিরিয়ে দিয়েছে অটুট করে লেনিনের দেশ | এ ইতিবৃত্ত যাবে না ঝরে |
লাইপজিগ কবি জ্যোতিরিন্দ্র মৈত্র বার্লিনের হাত ধরে সুরের মেজাজে কাব্যগ্রন্থের কবিতা।
. ১৮.
. বেশি দূর নয় ড্রেসডেন থেকে | উদ্ গ্রীব মন এখনও সে মুখচ্ছবি দেখেনি----বাঁশিশোনা প্রেম | এই বার লাইপজিগের ইতিহাস গুহা কান্ত নদীর উৎস মিলবে পৌরাণিক স্মৃতিদের স্রোতে |
সঙ্গে আছে কারিন হোলডার ----যুবমনঃপূত এক বনের হরিণী, পাশে থেকে দেখায় শহর, বাখের, গ্যয়েটের আর শিলারের কথামালা গলি | পথে নেমে সন্ধ্যা নামে | টমাস চার্চের ----Vespers--- সান্ধ্য সঙ্গীতের পাইপ-অর্গ্যান যেন স্বরের কোরাসে নীল পূর্ণিমার মতো, জীবনমৃত্যুর পলিমাটির ওপারে এক সমুদ্রের মন ডুবে যায় বাখের সত্তায় | . পরে, উন্মোচিথ হয় উচ্চারিত আলোকের প্রেমিক সকাল অষ্টাদশ শতাব্দীর চৈতন্য -মেলায় |
পথে-পথে ঘুরি এক রোম্যান্টিক স্নেহে প্রাক্-বৈপ্লবিক এক ইন্দ্রধনু স্মৃতির বাহারে |
গ্যয়েটে বাল্যলীলা টেভার্ন পানশালায় ফাউস্টের প্রবল আবৃত্তিগুলি মদমত্ত আবেগের সোনালি অক্ষরে লেখা দেয়ালে-দেয়ালে | পথ থেকে নেমে বেশ কয়েক ধাপ নিচে গিয়ে সেই পানাগার | য়থাযথ | একেবারে সেই যুগে ফিরে যাওয়া আবহ আভায়----- স্মরণের মুষ্টিভিক্ষা ঝুলি ভরে নেওয়া | তারপর, লাইপজিগের মেলা চার্চ ডোম বারোক স্তাপত্য আর বিপণি অপেরা হাউস---- একে-একে পট খুলে দেখা | কয়েক মাইল দূরে লেনিনের সেই ইসক্রা ছাপার প্রেসবাড়ি | সবই ঠিক যেমনটি | শ্রদ্ধার চৈত্যে রাখা স্ফুলিঙ্গের উত্তাপের আরোগ্য শুশ্রূষা | তোমার হৃদয়ে যদি জ্যামিতিক ছক থাকে স্নেহের মন্তাজে হে লাইপজিগ ! তবে মনে রেখো --- তোমাকে করেছি ধন্য, তোমারই বুকের পথ ছুঁয়ে-ছুঁয়ে অমর শ্রদ্ধায় |