জ্যোতিরিন্দ্র মৈত্রর কবিতা |
এক টুকরো জমি দাও কবি জ্যোতিরিন্দ্র মৈত্র এক টুকরো জমি দাও কবির উজ্জীবনে। হাতে-খাটা খেতে প্রত্যেক গাছের বীজে শস্যের কণায় কবিতার নিটোল দেহে ঘর্মের বিপুল সুষমা দেখি আর বুনে যাই শেষ কটা দিন। শুধু এক মুঠো মন মাটির আসরে, দূরে দূর পাহাড়ের যতি, সহজ পাহাড়ি লোক, প্রতিধ্বনি সুরের পাথরে মেষপালকের বাঁশি-গান এনে দেবে অনবদ্য ছন্দ্র আকৃতি। শুধু একটুকরো জমি পাহাড়ের ধারে, তন্বী নদী ঘিরে ধরে পাহাড়ের কটি। এখানেই ভাস্কর্য আনি খেটে গড়া ফসলের উজ্জিবন আনি বারে বারে যেখানে মৃত্যুই বীজ জীনের ক্ষেতের কিনারে। যে কোন কথা যে কোন কীর্তি একটা কোন প্রত্যয়ের সঙ্গে প্রতিষ্ঠিত হলে এক পা এগিয়ে যাই বিপ্লবের দিকে মানুষকে কেন্দ্র করেই বিপ্লব, দলকে নয় - বিজ্ঞান যন্ত্র বিদ্যুত্ অনুভূতির কেন্দ্রে পৌঁছে যাওয়া চাই। সেখানে দেখবে সুবিন্যস্ত সাজানো রয়েছে মানবিক প্রয়াসের বিভিন্ন কারুশিল্প। সংঘর্ষের সংবাদে সাহ্ত্য রচিত - শ্রেণীহীন সমাজের স্বপ্নসফল - নির্লোভ সত্যভাষণে লাভক্ষতির উর্ধ্বে পেশল কর্মসাধনে অনলস আত্মসমীক্ষায়। যেখানে প্রতিরোধ, সেখানে ক্ষমা নেই। যেখানে প্রতিবাদ, সেখানে আপস নেই। . **************** . সূচীতে মিলনসাগর |
কয়েকটি বিকৃত প্রশ্ন কবি জ্যোতিরিন্দ্র মৈত্র কয়েকটি বিকৃত প্রশ্নে প্রতিদিন ক্ষতবিক্ষত। নিঃস্বপ্ন নায়ক নিয়ে ইতিহাস জরিষ্ণু হয়েছে নিঃসঙ্গ পাথর করোটি আর নগ্ন শবদেহ নিয়ে সমাজশরীর, একই শয্যাশায়ী সব ভাবনার নথরে আহত। বিভিন্ন জটিল মন। শহর। মানুষ। পথ গ্রামে বা শহরে। এরই মধ্যে এক দেশ অন্য দেশে লীন। হতাহত। এই সব কুরুক্ষেত্রে, আমাকে স্বদেশ দেয় আবরণ, বিবর্ণ দর্জির, লজ্জিত মমতায় -, মহার্ঘ রুটির আর মাখনের দিগ্বিজয়ে আয়ুর শুশ্রুষা তবু খেটে চলা, আর সংঘর্ষের অপঘাত, বিতণ্ডা আঘাত, বিতর্কিত লম্পটের লুব্ ধ অন্ধকারে। ভগ্নিহীন মাতৃহীন ভাতৃহীন পিশাচনগরে অসংখ্য মৈথুনের কারুকার্যে অবিন্যস্ত সংকেত গুহায় বিপর্যস্ত বসন্তের অশ্লীল প্রলাপ পানের দোকানে পথে বিবস্ত্র নাটকে। পথে আজ, অনিবার্যভাবে কাল হয় বঞ্চনার স্তোত্র গেয়ে-গেয়ে। ভাদ্রের কুকুর খোঁজে নরের যৌবন নিয়ে, নারী কুক্কুরীকে। এ সব চালচিত্রে কোথা সেই সব প্রতিশ্রুত বিবেকেরা ? যারা বার বার চেয়েছিল সম্মিলিত বিস্ফোরণে, পরিষ্কৃত পৃথিবীর পথ, - যারা, চর্মের নির্মোকে ঢাকা কঙ্কালকে চেয়েছিল দিতে প্রাণের আকাশ আর সততার আবিশ্ব বৈভব ? . **************** . সূচীতে মিলনসাগর |