তীব্র স্পষ্ট কথা---মানে, অত্যন্ত বিশুদ্ধ কীট-দষ্ট এক খচ্চরের কানের মতন দুর্গন্ধ ছড়াতে গিয়ে হোঁচট খায়। একটা স্পষ্ট কথা অহরহ ঢুকতে চেষ্টা করেছে রোজ---. গত কয়েক বছর ধরেই--- ( বাসে বাসে বন্দরঘাটায় আর ডলির আনাচে কানাচে ঘুরে বুঝতে পেরেছি সেটা---) সামূহিক মগজে---অর্থাৎ সেই পুরনো ছাই-রং ঝিটা, প্রাক্তন বড়োবাবু প্রিয়া, এখনও ধুঁক্ ছে--- প্রায় বারোটা বেজে এসেছে তার, অর্বাচীন শেষ কবিতা লেখার নোংরা আকাশ তাকে ল্যাট্রিন-চাটা নীল মাছির মতো ছেঁকে ধরেছে। ভাস্কর্যই চাই আজ। মনের বালাই নিয়ে তাই অশ্লীল খিস্তি সাম-গান কাঁচা মাংস নির্লোম নিতম্বের দিকে ছোকরা নেত্রপাত, আর আকাশ-মাটি মাখা উপুড় করা ডাস্টবিনে সপ্তর্ষির নির্জন আলোক---। এ সবেতেই নির্বাচন, প্রসিদ্ধ। সেই শেষ নির্বাচনে হেরে গিয়ে শব্দকোষ উচ্চৈঃশ্রবা-ডিম্ব হয়ে গেছে। উপায় তো নেই। তবু, একটা স্পষ্ট কথা বলতে গিয়ে পুরনো বাড়ির নড়্ বড়ে থামটা পড়ে গেল--- তোতলা বুড়ো ক্যানভাসার অতনু সরখেল ছিল সেখানে দাঁড়িয়ে, বেঁচে গিয়ে সেও তা দেখেছে। অবিনাশ কুণ্ডুর অমিত-বিক্রম শ্বশুরের মতো নিষ্ফল তীর্থে ঘুরে বেড়ানো স্পষ্ট কথাগুলো বাঁচবে না জানি, সোনালী মাছেরা সব হল্ দে হতে হতে উপকারী উট হয়ে গেছে। একেবারে শেষ শেষ অর্বাচীন কবিতায় অবশ্য জলে @ উঠবে মৃত্যু-সূর্যে নূতন বাবুরা॥
মিশুকে লতা। ঘুরে ঘুরে ওঠে আমারই জান্ লা বেয়ে নিঠুর আমি, দিয়েছি কেটে তার উদ্ধত গতিকে অনেকবার, তাও আঙুল বাড়িয়ে দেয় নিঃসঙ্কোচে আমার দিকে। লোক চিনেছে, সে! আমার স্বভাব, কাকেও ঘিরে লতিয়ে ওঠা।
দুপুর:
তীক্ষ্ণ দুপুর চীলের স্বরের মত কানে এসে লাগে উজ্জ্বল স্তব্ধতা একটা গাছেও নড়ছে না কোনো পাতা ইজি-চেয়ারের কোলের উপর মাথাটা রেখে ভাবছি, যেদিন ভাবতে শিখেছি দুপুর দেখে।
দীপা:
কালো দীঘির পাড়ে, গামের চেনা মেয়ে মেঘাড়ম্বর শাড়ী পরে দুলে দুলে চল্ ছে আপন মনে। আমি কাছে এসে বলি: কেমন আছো দীপা? ওমনি হঠাৎ ডালিম ফুলের মত লজ্জায় রাঙা হয়ে পালিয়ে যাবার আগে--- আঁচল থেকে বকুল ফুলের মালাখানি দিল ছুঁড়ে আমারি গায়ে--- এমন লাজুক মেয়ে॥