কৃষ্ণকুমারী কবি কণক ভূষণ মুখোপাধ্যায় [ চারণ (১৯৩০) কাব্যগ্রন্থ থেকে ]
“লোকললামভূতা হেলেনার অলোকসামান্য রূপলাবণ্য যেমন তাঁহার পতি ও তত্প্রতিদ্বন্দ্বীগণকে অনন্তকালের জন্য সংহার করিয়াছিল, সর্ব্বাঙ্গসুন্দরী কৃষ্ণকুমারীর সৌন্দর্য্যও সেইরূপ তাঁহার পিতা ও প্রণয়ার্থিগণকে চিরদিনের জন্য নষ্ট করিয়া দিল |”------ রাজস্থান, ২৩৪ পৃঃ
কটী-দেশে ঝোলে শাণিত ছুরিকা দুরু-দুরু কাঁপে হিয়া, যৌবনদাস চলে ধীরে ধীরে অন্তরে ব্যথা নিয়া | রাণারে আজিকে উপদেশ সব দিয়াছে মন্ত্রীগণ--- কুমারীর প্রাণ-বলিদান দিলে অবসান হবে রণ | মারবার সনে সিন্ধিয়া মিশি’ কুমারীর পানে চায়, সবল শক্তি ভাবি মহারাণা যেন তাহে দিল সায় ; অম্বররাজ জগৎ সিংহ সহিলনা অপমান ---- মেবারের পানে চলিল নবীন সমরের অভিযান |