মাতৃহারা কবি কণকভূষণ মুখোপাধ্যায় ‘পূর্ণিমা’ পত্রিকায় প্রকাশিত ৪র্থ সংখ্যা, ফাল্গুন, ১৩৩৩
মাগো তুমি কোথায় গেলে ফাগুন দিনের বাদল বেলা জীবন-পথে চলার আগে আপন মনে ভাঙ্ ল খেলা . বুক জুড়ানো স্নেহের বাণী . মাগো তোমার হাসি খানি আমার বুকে লহর তুলে ভরতো মনে হরষ মেলা আজকে তুমি মরণ-পারে বুঝি মাগো বইছ ভেলা
শুধুই তুমি দিলেনা মা আপন ছেলের একা মাতা ব্যথাতুরের দুঃখ মুছাতে তোমার আঁচল ছিল পাতা . মন্টু’ পড়ে ধুলায় কাঁদে . জল ছাপে তার আঁখির বাঁধে ব্যথা যে তার তুমিই জানো আর কেহ’ত বুঝবে না’তা স্নেহের রং-এ রাঙিয়ে গেছ অবোধ শিশুর মর্ম্মঘাতা
আসবে না ‘মা আর কি কভূ খুঁজতে মোরে শিউলি বনে আঁকবে না কি একটী চুমা আমার মুখে সঙ্গোপনে . বল্ বে না, ‘রে’ পাগল ছেলে . এখন কি আর ধূলায় খেলে মাগো মোরে নিয়ে কোলে ভূলবেনা আপন-মনে আজ ভূলানী পরীর দেশে ভূল্লে খোকন ধনে
যেথায় থাক মাগো তুমি আমার শিরে আশিষ দিও আমার দুঃখের সাথে সাথে একটুখানি ব্যথা পিও . ভিজলে আমার কাজল আঁখি . আগের মতন আমায় ডাকি দুঃখ মুছানো পরশ দিয়ে মাগো আমায়’ বক্ষে নিও নিখিল মাঝে হায় জননী তুমিই ছিলে আমার প্রিয় ||