তেত্রিশ বছর আগে ঘর ছেড়েছিল যেদিন নিজের মৃত্যু পরোয়ানায় তো সাক্ষর করেই এসেছিল সে তাই আজ কোন শোকগীত নয় আজ শপথ নেওয়ার দিন।
প্রতিটি হত্যার বদলা আমরা নিয়েছি বড়িশোল হত্যার বদলাও আমরা নেব। শ্যাম, মুরলী, মহেশ হত্যার ঠিক এক বছর পর জনগণের গেরিলা সেনা গড়তেই শুকিয়ে গিয়েছিল তোমাদের মুখ।
বেম্পুতাপু সত্যম, আদিভট্টালা কৈলাশম হত্যার সঙ্গে সঙ্গে শ্রীকাকুলমের সংগ্রাম শেষ হয়ে গেছে ভেবে পৈশাচিক হাসি হেসেছিলে তোমরা সেই রক্তের ঋণ শোধে অন্ধ্র ওড়িশা সীমান্ত অঞ্চল পেরিয়ে বিপ্লবী আন্দোলনকে ছড়িয়ে দিতে লেগেছিল পঁচিশ বছর।
লালগড় আন্দোলনের বহ্নিশিখায় জঙ্গলমহল উত্তাল করে চারু মজুমদার সরোজ দত্ত হত্যার বদলা নিতে লাগল চার দশক।
যেখানে সেখানে পড়েছে শহিদের রক্ত সে জমি আমাদের জনগণের বিরুদ্ধে তোমাদের বর্বরতম যুদ্ধ ও ঠেকাতে পারেনি তা
আমাদের স্বপ্ন ছড়িয়েছে জেলায় জেলায়
শুধু মালকানগিরি থেকেই নয় প্রতিটি সংগ্রামী এলাকা থেকে কুচকাওয়াজ করবে গেরিলাসেনা তোমার জ্বলন্ত চিতার অগ্নিশিখার কাছে আমাদের শপথ তোমার হত্যার বদলা আমরা নেব দিকে দিকে লালগড় গড়ে।
সত্যিই পালাবদল হয়েছে দলতন্ত্র কে পরাস্ত করে বিজয়ী হয়েছে গণতন্ত্র | গণতন্ত্র তোমায় স্বাগত জানাই | তিন কুড়ি চার বছর ধরে তোমার আসার পথ চেয়ে বসে আমি |
কথা ছিল তুমি এলেই প্রত্যাহার করা হবে যৌথবাহিনী তুলে নেওয়া হবে ১৪৪ ধারা, বন্ধ হবে পুলিশি হয়রানি মিথ্যা মামলা, বারবার উচ্চারিত হয়েছিল বন্দিমুক্তির কথা |
গণতন্ত্র তুমি এসেছো | কিন্তু রাজনৈতিক বন্দির নিঃশর্ত মুক্তির বদলে ‘বাঞ্ছিত’ ‘অবাঞ্ছিত’ বাছাইয়ের ব্যস্ত তোমার সমিতি, তোমার পুলিশ, তোমার প্রশাসন | আর গ্রেপ্তারের নতুন সূচি হাতে এলাকা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে হায়েনার দল |
তুমি প্রতিবাদী, তুমি প্রতিরোধী তা সত্ত্বেও কি করে বিশ্বাস করি তুমি নও মাওবাদী ? মাওবাদীই যদি না হলে অস্বীকারের এত সাহস কোথা থেকে তুমি পেলে ? বল কে কে আছে তোমার দলে |
না, বলতে সে কিছুই পারেনি আসলে বোবা যে | এই সামান্য অসুবিধায় কি ন্যায় বিচার আটকাবে ? একই নামের আর একজন উঠেছিল কাঠগড়ায় উত্তর দিয়েছিল অবলীলায় বোবা কালাদের নাই বা রইল শত্রু অবধারিত দন্ডাদেশের ধারাবিবরণী কান পাতলেই শোনা যায় |
এটা ভাগনাডিহির মাঠ নয় তীর ধনুক হাতে যোদ্ধারা . কেউ নেই এখানে তবুও ঘুরে গেছে যৌথবাহিনী . তিন দিন আগে | . শহীদ স্তম্ভ কথা বলছে আকাশের সঙ্গে . স্মৃতির গহণ থেকে , নেমে এসেছেন উত্তরাধিকারীদের মাঝে . সিধু কানহু চাঁদ ভৈরব বিরসা মুন্ডা তিলকা মাঝি . নতুন করে . হুলের স্বপ্ন গেঁথে দিতে | . শাল গিরার ডাকে এসেছিলেন চারু মজুমদার . হাসি মুখে . শশধর, সিধু সরেন . উমাকান্ত মাহাত . লালমোহন টুডু কাছ থেকে . লালগড়ের যুদ্ধ গাথা শুনতে | ধামসা মাদলের তালে তালে . গান নাচের ছন্দে . তীর ধনুক খেলার মাঝে . হুল দিবসের শপফ একাকার হয়ে গেছে মিলে মিশে . উঠেছে মুষ্টিবদ্ধ হাত . তার সাথে |