কন্টেসা করে যাচ্ছিলাম | পথে হাত দেখিয়ে, থামিয়ে, মেয়েটি বললো : লিফ্ ট দেবেন ? এক পলকেই বুঝে নিলাম, মেয়েটি সুন্দরী মেয়েটির চুল আছে মেয়েটির বক্ষদেশ ভালো শ্রোণিও সমুদ্র নিয়ে দিব্যি কোনারক |
পাশেই বসলো | বললো : নেসলের চকোলেট, শুনেছি পিতামহের কাছে, আগে পাওয়া যেতো, এক অস্ট্রেলিয়ায় শুধু, খাচ্ছেন বুঝি ? একটু দেবেন ? এক কামড় ? প্লীজ |
এটুকুই চাইছিলাম | পরে জ্ঞানহীন মেয়েটাকে আমার কোটরে এনে বক্ষদেশ ভাজা করে খেলাম, শ্রোণির মাংসটুকু রেখে দিলাম ফ্রীজে বডিটাকে ডিসপোজ করে স্কাল রং মাখিয়ে এমন সেলুলয়েড করে তুললাম যে মনে হবে শিল্প |
এখন ওর সঙ্গে প্রায়ই দেখা হয় | কিউরিয়ো | বলি : লিফ্ ট চাইবে, আর ? চকোলেট খাবে না, দিলেও ? ও দেখি প্রত্যুত্তের বলে উঠলো : এখনো বাচ্চা আছো | মেয়দের কিচ্ছুটি বোঝো না তুমি |
শত সহস্র ফটোগ্রাফার, সাংবাদিক, নাগরিক নিমন্ত্রণ পেলো আর আমিই পেলাম না ? এ কেমন হল জাঁ লাইলফ্ ? আমি দুনিয়াজোড়া কবিতা লিখি তুমি জানতে, আমার নিমন্ত্রণ তাই অবশ্যম্ভাবী ছিলো, কিন্তু তুমি ভুলে গেছো | স্বাভাবিক | যেখানে বিদ্রোহ একচল্লিশ বছরের সেই আটচল্লিশ থেকে সেখানে বিপ্লবীদের মাথার দিব্যি দিয়েই বলছি আমার মনে কিচ্ছুটি নেই
তোমার বরের নাম, কাগজে পরলাম, জোক ভকম্যান জার্মান জার্মান গন্ধ পাচ্ছি যেন | সে যাই হোক নইলে এমন করে সমকামিতাকে স্বর্গভূমে নিয়ে আসতে পারতো না | আসলে সভ্যতা জানুক, শিক্ষা জানুক, সংস্কৃতিও জানুক যেখানে দেহ ও মনের মিল, মিলন, সেই তো বিবাহ আমরা অপোগন্ড, দেহ বলতে স্ত্রী বুঝি, মন বলতে পুরুষ
রাজী হলে ঘরে এনে উদোম ন্যাংটো করে শুইয়ে দিয়ে রং নয় তুলি নয় রং নয় ইজেল টিজেল কিছু নয় স্রেফ একটা সাদা কাগজে শব্দ বসিয়ে শব্দ কবিতা লিখতে বসলাম
লিখলাম কিন্তু তার আগে শ্যাম্পেনে মুখ দিলাম লিখলাম কিন্তু তার আগে হুগোকে স্মরণ করে বললাম সমুদ্র তার ছেলেকে স্মরণ করে বললাম সেক্সপীয়র তারপর তার মাই দুটোকে মনে করলাম আমার মা পাছাকে মনে করলাম আমার জন্মভূমি কিন্তু তার আগে লোরকা হয়ে যাব ভাবছিলাম কিন্তু পিকাসো এসে হাত ধরলে আমি শুধু বললাম নমস্তে
হাসতে হাসতে মাইয়ল বললেন : খোকা আমি বোকা হয়ে ‘তরস দ্য ভেনাস’ মুন্ডুহীন মূর্তির দিকে--- হার ফ্রাঁসোয়াঁ কী বললে, সময় হয়ে গেছে আমি যাই
শ্যাম্পেনে মুখ দিলাম
সিদ্ধার্থ কি--- থুড়ি গৌতম বুদ্ধও কি পরমান্নের ভিতরে সুজাতাকে ভালোবেসেছিলেন
জিসাস কি সুহাবানের প্রেমে পড়েছিলেন
আমি উথালপাতাল ঢেউ আফ্রিকার অরণ্যে লিভিংস্টোনের সঙ্গে হাঁটতে হাঁটতে ট্যাঙ্গানিকা হ্রদের ধারে আমার মেয়েকে দেখলাম বললো বাবা, তুমি অনেকদিন খাওনি, খাও বলেই মাই দুটোকে আমার মুখের মধ্যে দিলো আমি চুষতে চুষতে মা ঈশ্বরের আশীর্বাদ বাবা ঈশ্বরের আশীর্বাদ দুধ সোহম্ সুন্দর সোহম্ সুন্দর হয়ে গেলাম
ঠিক তখুনি পৃথিবীর সমস্ত মানুষ পৃথিবীর সমস্ত জনপদ লক্ষ বছরের সভ্যতাকে বুকে নিয়ে সমস্বরে বলে উঠলো : সোহম্ সুন্দর সোহম্ সুন্দর
পুরুষের মতো পুরুষ পেলে, জানেন ? গর্ভধারণেও সুখ, বলেছিলো মেয়ে যাকে এতোদিন তাচ্ছিল্য করেছি |
শুধু সুখ নয়, লোহিত সাগরে গিয়ে ২৮০ দিনের দিন, যখন ফসফরাস জ্বলে, ছোট ছোট ঢেউ এসে যখন দোলায় তলপেট, তখুনি শুশুক জাতীয় প্রাণী ডলফিনেরা এসে---
এসে ? এসে প্লেসেন্টাগুলো চেটেপুটে খেয়ে নিয়ে শিশুটিকে নিয়ে জলকেলি করে, উড়ুক্কু মাছেরা এডেন বন্দর থেকে ক্রমে ক্রমে সুয়েজ ক্যানালে, ও তুমি, লোহিত সাগর ! আমারও শরীরে কি নও ?
পুরুষের মতো পুরুষ পেলেই, জানি গর্ভধারণেও সুখ বলেছিলো মেয়ে যাকে এতোদিন, যাকে এতোদিন আমি তাচ্ছিল্য করছি |