কবি শ্রীমতী ক্ষীরদা মিত্র -  একটি কবিতায় কবির নাম “ক্ষীরদা দাসী” পাই। কবি সম্বন্ধে আমাদের
কাছে যা তথ্য আছে তা অত্যন্তই অপ্রতুল। তবুও সেই তথ্যগুলি এইরকম . . .

কলিকাতা বামাবোধিনী সভা হতে প্রকাশিত, বামাবোধিনী পত্রিকার বিভিন্ন সংখ্যায়, তাঁর অনেকগুলি রচনা
প্রকাশিত হয়েছিল। পরে, ১৮৭২ সালে ঐ সভা থেকে প্রকাশিত হয় বামারচনাবলী। এই সংকলনে ছিল
বামাবোধিনী পত্রিকার পূর্ব প্রকাশিত, বামাদের রচিত গদ্য ও পদ্য সংগ্রহ। এই সংকলনে যে সকল মহিলারা
লিখেছিলেন, তাঁরা যে সকলেই আসলে মহিলা এবং ছদ্মনামে কোনো পুরুষ নন, একথা সংকলনের ভূমিকায়
দেওয়া আছে। তাঁরা তা যাঁচাই করে তবেই লেখা ছাপিয়েছিলেন। সেকথা স্পষ্টভাবে তাঁরা জানিয়েছিলেন।

বামারচনাবলীতে অন্যান্য লেখিকা ও কবির, যেমন
স্বর্ণলতা বসু, লক্ষীমণি দেবী , রমাসুন্দরী দেবী, কুমারী
রাধারাণী লাহিড়ী, যোগমায়া দেবী, মধুমতি গঙ্গোপাধ্যায়, শ্রীমতী অ মো বসু, শ্রী ভাবিনী দেবী, বিন্ধ্যবাসিনী
দেবী, জগদ্দল বাসিনী, শ্রীমতী জয়কালী, কামিনী দেবী, রঘুমণি দেবী, শ্রীরামমতি, স্বর্ণপ্রভা বসু, শ্রীমতী
উপেন্দ্রমোহিনী সহ বহু অনামা নারী কবি প্রমুখাদের রচিত গদ্য-পদ্য মিলিয়ে যে রচনাগুলি পাওয়া গিয়েছে
তা মূলত তত্কালীন নারীসমাজের প্রতি কিছু উপদেশ ও আধ্যাত্মিক সহ বিভিন্ন বিষয়ে নিয়ে পদ্য ও গদ্যের
মাধ্যমে আলাপচারিতা।

শ্রীমতী ক্ষীরদা মিত্রর রচনা আর কোনো পত্রিকায় ছাপানো হয়েছিল কিনা আমরা জানিনা। তাঁর কোনো
কাব্যগ্রন্থ প্রকাশিত হয়ছিল এমন কথাও আমরা শুনিনি। কিন্তু যা পেলাম তাও আমরা মনে করছি আগামী
প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দেওয়া অত্যন্ত জরুরী। এই অতি আধুনিক মনস্কা, তাঁর যুগের চেয়ে অনেক এগিয়ে
থাকা নারী, এমন সময় কমল ধরেছিলেন যখন এ দেশে নারীদের শিক্ষার অধিকারই প্রতিষ্ঠিত হয় নি। তিনি
তাঁর গদ্য ও পদ্যের মধ্যদিয়ে নারীজাতিকে উদ্বুদ্ধ করে গেছেন। দেশাচারের নামে নারী নির্জাতনের বিরুদ্ধে
কলম তুলেছেন। তাঁর কবিতায় সহজ ভাষায় পাওয়া যায় ভক্তি ও প্রার্থনা।


আমরা
মিলনসাগরে  কবি শ্রীমতী ক্ষীরদা মিত্রর কবিতা তুলে আগামী প্রজন্মের কাছে তা পৌঁছে দিতে
পারলে আমাদের এই প্রচেষ্টা সার্থক মনে করবো।

কবি শ্রীমতী ক্ষীরদা মিত্রর মূল পাতায় যেতে এখানে ক্লিক করুন


উত্স - কলিকাতা বামাবোধিনী সভা থেকে প্রকাশিত বামা রচনাবলী, ১১ই মাঘ ১২৭৮ বঙ্গাব্দ (১৮৭২ খৃষ্টাব্দ)


আমাদের ই-মেল -
srimilansengupta@yahoo.co.in     


এই পাতা প্রকাশ - ২৪.১০.২০১৪
...