খনার বচন কেন মিলনসাগরে? – তার দুটি কারণ রয়েছে। প্রথমত “খনার বচন” অতি ছন্দময়
কাব্যের মধ্য দিয়ে আমাদের মাঝে পৌঁছয়। তাই “খনার বচন” অবশ্যই কবিতা। যথেষ্ট মাত্রায় হেঁয়ালি।
অনেক আধুনিক কবির কবিতাকে “খনার বচন” তাঁর হেঁয়ালিপনা দিয়ে মাত করে দিতে পারবে, তাতে
কোনো সন্দেহ নেই! যে কারণে খনার বচনের ব্যাখ্যা দেওয়ার প্রয়োজন হয়ে পড়ে। তাও আমরা পাই
কবিতায় বা ছড়ার মাধ্যমে। দুর্ভাগ্যবশত আমরা ব্যাখ্যাকার বা সংকলক, কারো নাম জানতে পারিনি।
সবকটি বচনই যে খনার নিজের তা নিয়েও যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। তারপর রয়েছে ভাষার প্রশ্ন, খনা তো
বাংলা ভাষায় নিশ্চয় লেখেন নি। তাহলে অনুবাদক কে ছিলেন, তাও আমাদের অজানাই। যে কবি খনার
বচনের কাব্যিক ব্যাখ্যা করেছেন তাঁর নামও জানা যায়নি। সকল পাঠকের কাছে আমরা আবেদন করছি
যে কেউ যদি “খনার বচন”-এর রচয়িতা (বাংলা ভাষায় যেভাবে আমরা পাই) এবং তার ব্যাখ্যাকারের
পরিচয় আমাদের জানাতে পারেন, যথাযত প্রমাণ ও তার উৎস সহ, তাহলে আমরা তাঁর নাম কৃতজ্ঞতার
সঙ্গে এখানে প্রকাশিত করবো। দ্বিতীয়ত খনার বচনের প্রথম অধ্যায় যা কিনা কৃষিকার্য সম্পর্কিত,
নিঃসন্দেহে একটি অতি উচ্চমাত্রার দীর্ঘকালব্যাপী বৈজ্ঞানিক গবেষণার ফল। পাঠকেদের মনে করিয়ে দেই
যে বহুপূর্বে ইউরোপেও এরকম একজন এসেছিলেন ভবিষ্যদ্বাণী নিয়ে। বিষয়বস্তু এক না হলেও আমরা
খনাকে “ভারতের নস্ট্রাদামু” বলতেই পারি।   

খনার জীবন – জনশ্রুতিতে এ বিষয়ে দু রকম মত দেখা যায়। একটি মত এই যে ময়দানব তাঁর পিতা
ছিলেন আর দ্বিতীয় মতে তিনি নাকি ছিলেন মনুষ্য-কন্যা। তবুও খনার জীবনকালকে ছুঁতে আমাদের যেতে
হবে গুপ্ত যুগের সম্রাট চন্দ্রগুপ্ত ২য় বিক্রমাদিত্যের (৩৮০ ~ ৪১৩ / ৪১৫ খৃষ্টাব্দ) রাজত্বকালে।

শোনা যায় যে প্রাচীনকালে লঙ্কাদ্বীপবাসী কিছু রাক্ষস খনার পিতাকে সপরিবারে নিধন করে এবং
মাত্র খনাকে মায়াপরবশ জীবিত রাখে। পরে তাঁকে নিজেরাই লালন-পালন করে বড় করতে থাকে। কিন্তু
বয়সের সঙ্গে সঙ্গে তাঁহার তীক্ষ্ণ বুদ্ধির বিকাশ দেখে রাক্ষসগণ তাঁকে জ্যোতিষশাস্ত্র শিক্ষা দিতে থাকে।

এমন সময়ে উজ্জয়িনীর রাজা বিক্রমাদিত্যের নবরত্ন সভার অন্যতম পন্ডিত বরাহ একটি পুত্রসন্তান লাভ
করেন। বরাহ, পুত্রের আয়ু গণনা করার সময় ভুলবশতঃ একশ বছরের আয়ুর বদলে মাত্র দশ বছর
(মতান্তরে মাত্র এক বছর) আয়ু দেখতে পান। মনের দুঃখে তিনি একটি তামার পাত্রে সদ্যোজাত সন্তানকে
সমুদ্রে ভাসিয়ে দেন।

যথাকালে ঐ ভাসমান তাম্রপাত্রের শিশু লঙ্কাদ্বীপের উপকুলে এছে পৌঁছায়। রাক্ষসগণ সেই শিশুটিকে মিহির
নাম দিয়ে তাঁকে খনার সঙ্গে পালন করতে লাগল। ক্রমে মিহিরও রাক্ষসদের কাছে জ্যোতিষশাস্ত্র শিখে
পারদর্শিতা লাভ করলেন। রাক্ষসদের বিবেচনায় খনা ও মিহির এই দুইটি মনুষ্যসন্তান পরস্পরের উপযুক্ত
স্থির হলে, এক সময়ে দুজনে বিবাহ সূত্রে আবদ্ধ হন।

রাক্ষস-সংসারে যদিও উভয়েই মনের সুখে দিন কাটাচ্ছিলেন, তবুও তাঁদের নরখাদক দেখে এবং তাঁদের
নানা কুৎসিত আচরণ দেখে খনা ও মিহির লঙ্কাদ্বীপ থেকে পালিয়ে যেতে মনস্থির করলেন। কিন্তু পলায়ন
করা প্রায় অসম্ভব যেহেতু চতুর্দিকে রাক্ষস-প্রহরা, তার উপর সারা দেশ সমুদ্র বেষ্টিত। তবুও তাঁরা পালিয়ে
যেতে বদ্ধপরিকর হলেন। একদিন খাওয়ার সময় কালে মাহেন্দ্রক্ষণ উপস্থিত দেখে বসে-থাকা অবস্থাতেই
নিজ নিজ পা বাড়িয়ে যাত্রা শুরু করলেন। অদূরে এক রাক্ষস তা লক্ষ্য করে তাঁদের পালক রাক্ষস-প্রধানকে
ব্যাপারটা জানিয়ে দিল। কিন্তু তাঁরা মাহেন্দ্রক্ষণে যাত্রা করেছেন, সুতরাং তাঁদের কোনও অনিষ্ট করা যাবে
না বুঝতে পেরে রাক্ষস-প্রধান জনৈক রাক্ষস ভৃত্যকে তাঁদের সমুদ্রপথে পৌঁছে দিতে আদেশ করলেন এবং
ভৃত্যটিকে “ভূ-তত্ত্ব”, “খ-তত্ত্ব”  ও “পাতাল-তত্ত্ব”  নামক তিনটি অমূল্য জ্যোতিষশাস্ত্র দিয়ে বললেন ---
সমুদ্রকূলে গিয়ে মিহিরকে কোনো প্রশ্ন করবে, যদি সে তাহার সঠিক উত্তর দিতে সক্ষম হয়, তবে তাকে
তিনটি শাস্ত্রই প্রদান করবে। অন্যথায় “পাতাল-তত্ত্ব” রেখে বাকি দুইটি শাস্ত্র দিয়ে ফিরে আসবে।

যথাকালে সকলে সাগরপারে পৌঁছাল। তক্ষুনি একটি গাভীকে আসন্ন-প্রসবা দেখে রাক্ষস-ভৃত্য প্রভুর
নির্দেশমত মিহিরকে প্রশ্ন করল --- বল দেখি, এই গরুর শাবক কি রঙের হবে ? মিহির গণনা করে বললেন
--- শ্বেত বর্ণের। কিন্তু প্রসবের পর দেখা গেল যে সেই শাবকটি কৃষ্ণবর্ণের। সুতরাং ভৃত্যটি প্রভুর
আদেশানুসারে মিহিরকে “ভূ-তত্ত্ব”ও “খ-তত্ত্ব” শাস্ত্র দুটি দিয়ে চলে গেল। মিহির অতিশয় লজ্জাবোধ করে
অভিমানভরে গ্রন্থ দুটি সমুদ্রে ছুঁড়ে ফেলে দিলেন। ঘটনাকালে খনা প্রকৃতির সৌন্দর্যে বিভোর হয়ে একটু দূরে
ছিলেন বলে তিনি এ বিষয়ে কিছুই জানতে পারেন নি। পরে ফিরে এসে ঘটনা বুঝে মিহিরকে বললেন ---
করেছো কি ? গণনায় বিন্দুমাত্র ভুল হয় নি। শীঘ্র গ্রন্থদুটি তুলে আনো। শাবকটি এখনই শ্বেতবর্ণের দেখতে
পাবে।

শাবকটি সর্বাঙ্গ লালাস্রাবে মাখা ছিল বলে প্রথমে কৃষ্ণবর্ণের বলে ভ্রম হয়েছিল। মুহূর্তমধ্যে সেই গাভী,
বাছুরের গা চেটে পরিস্কার করলে দেখা গেল, সত্যিই শাবকটি স্বেতবর্ণের। তক্ষুনি মিহির গ্রন্থদুটির জন্য
সমুদ্রে ঝাঁপিয়ে পড়লেন,  কিন্তু  আপ্রাণ চেষ্টা করেও সমগ্র খন্ডের সন্ধান না পেয়ে বিষণ্ণ মনে কূলে ফিরে
এলেন।

যাই হোক, অবশেষে মিহির যথাসময়ে পিতা বরাহের সাথে পরিচিত হলেন। বরাহপণ্ডিত বহুকাল পরে
দৈবানুগ্রহে হারিয়ে যাওয়া ছেলে ফেরত পেয়ে এবং পরম বিদুষী অলৌকিক ধী-সম্পন্না পুত্রবধূ পেয়ে
যারপরনাই আহ্লাদিত হলেন।

ক্রমশঃ খনার খ্যাতি চারিদিকে ছড়িয়ে পড়তে লাগল। তাঁর স্বামী বা শ্বশুর যে সকল দুরূহ প্রশ্নের
উত্তর দিতে অপারগ হতেন, খনা অবলীলাক্রমে সে সব প্রশ্নের অতি দ্রুত উত্তর দিয়ে সকলকে চমত্কৃত
করতে  লাগলেন। কিন্তু কুলবধুর এত খ্যাতিই তাঁর অকল্যাণকে ডেকে আনল। তাঁর যশোগান রাজা
বিক্রমাদিত্যর কানে  পৌঁছতেই তাঁকে দেখবার জন্য এবং নিজের সভায় তাঁকে পাবার জন্য একদিন বরাহকে
আদেশ করলেন। এতে বরাহ নিতান্ত লজ্জা ও অপমানিত বোধ করলেন। পুত্রের সঙ্গে পরামর্শ করে পরদিন
মিহির খনার জিহ্বা কেটে নিলেন। মতান্তরে খনা নিজেই তাঁর জিহ্বা কেটেছিলেন। তারপর তার মৃত্যু হয়।
মতান্তরে তিনি বেঁচেই থাকেন।

গল্পটা এইপর্যন্ত প্রায় সবারই জানা। আরও শোনা যায় যে খনার সেই কাটা জিহ্বাটি কেটে একটি তাকের
উপর রাখা হয়েছিল। একটি টিকটিকি সেই জিহ্বাটি নাকি চেটেছিল। তারপর থেকেই নাকি আমরা যখন
কথা বলি তখন যদি কোনো টিকটিকি ডেকে ওঠে তাহলে আমরা ভাবি যা বলা হলো তা সত্যি হতে পারে!
তাই আমরা টিকটিকির টিক্ টিক্ ডাক শুনে বলি ঠিক্ ঠিক্!

খনার বাকি জীবন কীভাবে কেটেছে। এই নিয়ে নব্বইয়ের দশকে
কবি অমিতাভ গুপ্ত একটি গবেষণা
করেছিলেন। তাঁর মনে হয়েছিল যে খনার মৃত্যু জিভ কেটে নেওয়ার পরে পরেই হয়নি। খনা নাকি পরিবার
ছেড়ে বেরিয়ে আসেন এবং কোনো এক কৃষিজীবিদের গ্রামে গিয়ে বসবাস করতে থাকেন। সেখান
থেকে নাকি তাঁর বিভিন্ন “খনার বচন” লোকমুখে ছড়িয়ে পড়ে। তিনি এ নিয়ে তাঁর কাব্যগ্রন্থ “যুক্তির শৃংখল”
(১৯৯৬) এ লিখেছেন . . .

নিবেদন ---১
কবি অমিতাভ গুপ্ত

বন্ধুজনোচিত কিছু প্রশ্ন উঠে এসেছিল এই ‘যুক্তিশৃঙ্খল’ নামটিকে নিয়ে | যুক্তিই শৃংখল তবে ? তাহলে কী
যুক্তিহীন পারম্পর্যহীন কোনো সত্যের দিকে আমরা চলে যেতে পারি আজ | কবিতা কী তেমনই প্রস্তুত |
তেমন যদি না হয় তবুও মানতে হবে কাব্যভাষা আজ---- নিশ্চয় আমার নয় অন্য কোনো যথার্থ ভাষীর
ব্যবহারে --- আগুনের শান্তির মতন কিছু আভা কিছু তীব্র অস্বীকার সম্ভব করেছে যার
স্পর্শ নিয়ে মনে হয়, মানুষের ইতিহাসে এতদিন যত যুদ্ধ যত ঘৃণা যত লোভ ঈর্ষা শিশুবধ ঘটে গেছে তার
যদি যুক্তি থাকে তবে যুক্তিবিরোধিতা ঢের ভালো | শৃংখলমোচন তবে প্রয়োজন আজ আমাদের | কেবল
আবেগ নয়, সাধ্যমতো বোধ দিয়ে মনে হয় ইতিহাস ধারাটির যুক্তি ও শৃংখলচিহ্ন এত স্পষ্ট এমনই নির্মম
যার আয়োজনে রাজা-বেগমের সব কদর্যতা দাস-উত্পীড়ন আর পেন্টাগন নাজিতন্ত্র সবই সম্ভব হয়ে ওঠে |
তবু সম্ভবের সীমা পার হয়ে মানুষের সব দীপ্তি বেঁচে থাকে, ময়ূরসিংহাসন আর রকেটঘাঁটির চেয়ে অসম্ভব
মায়া ও মমতা আর সৃষ্টিবোধ বুকে নিয়ে যে-মানুষ ইতিহাসাতীতের রূপমুকুরে জেগেছে, তাদেরই
দৃষ্টান্ত তবে যুক্তিমোচনের ?

*************************************************************  

নিবেদন---২
কবি অমিতাভ গুপ্ত

যুক্তিকে, যুক্তির শৃংখলকে পেরিয়ে যাওয়ার একটি স্তরে রইল প্রত্নকথা, অন্যটিতে প্রত্নকথার সীমা, যেখানে
ব্যক্তিগত কল্পনাযাপনের ফলে অসম্পূর্ণ শ্রুতি পূর্ণ হয়ে ওঠে | এ’ যদি স্বেচ্ছাচারিতা হয়, তাহলেও কিন্তু
অতিরিক্ত কোনো সংঘাতের সুযোগ নেই | যেহেতু মূল সংঘাতটি শুরু প্রত্নকথার সঙ্গে ইতিহাসের বিবাদে |
আয়ুহীন স্বামীকে সঙ্গে নিয়ে যে খনা সিংহল থেকে এলেন ভারতীয় রাজসভায়, গণনা করে দিলেন নক্ষত্র ও
রাশিচক্রের অবস্থান, তার সঙ্গে নিশ্চয় ইতিহাসের খনার সঙ্গতি নেই | বরাহমিহিরের জ্যেতিষগ্রন্থের সঙ্গে
খনার বচনের যথেষ্ট ভাবগত সাদৃশ্য থাকলেও, ভাষাগত ব্যবধান হাজারবছরের বেশি | প্রত্নকথায় খনা তাই
ইতিহাসের অতীত, এবং সেখানেই কী শুরু হয়নি তাঁর সঙ্গে আমাদের ব্যক্তিগত সম্পর্ক রচনার ?

*************************************************************

নিবেদন---৩
কবি অমিতাভ গুপ্ত

কী ঘটেছিল প্রত্নকথার খনার জীবনে, যখন তাঁর প্রজ্ঞা সহ্য করতে না পেরে পুরুষশাসিত সমাজ তাঁকে
বাকশক্তিরহিত করে দিল ? প্রত্নকথায়, তাঁর মৃত্যু ঘটেছিল তখনই , সত্যিই কী মৃত্যু হয়েছিল তাঁর ?
প্রত্নকথার সেই ইতিহাসধর্মী প্রবণতা এড়িয়ে আমাদের মনে হয়, বেঁচে ছিলেন তিনি হয়ত সেকালের মেয়েদের
সহজলভ্য জীবিকা--- কোনো প্রপাপালিকার কাজ --- জুটেছিল তাঁর | হয়ত এমন পুরুষও এসেছিল তারপর
তাঁর জীবনে যে-পুরুষ নাগর বা আত্মগর্বী শৌখিন পন্ডিত নয়, যে প্রকৃত কৃষক এবং প্রেমিক | তাঁদের
সন্তানের কাছে পরবর্তী প্রজন্মের উত্তরাধিকারে সঞ্চারিত হল খনার সহজাত স্মৃতিধার্য কৃষিবিদ্যা | এরই
অবসরে, ইতিহাস থেকে প্রত্নকথায় এবং প্রত্নকথা থেকে কল্পপ্রকল্পে যাওয়া-আসার টানাপোড়েনে কী পেরিয়ে
গেল হাজার বছর ?


*************************************************************

নিবেদন---৪
কবি অমিতাভ গুপ্ত

তীক্ষ্ণাত্ম খনার আবেগ আমাকেও নিয়ে গেল কথিত’র আড়ালে অন্য একটি রূপকথার দিকে  | যে প্রত্মকথার
নির্মাণ শেষ হয়নি তার সম্ভাবনা চকিতে অর্জন করেছিল এমন একটি আয়তন যেখানে
ব্যক্তিগত প্রেম বা প্রতিজ্ঞার আভাস পাওয়া যায় | সৌন্দর্য বিস্তৃত হয়, বেদনাও হয়ে ওঠে সাংকেতিক |
না পাওয়া স্মৃতির সেই সৌন্দর্যে সংকেতে আমার যাপনও কী তখন সংবৃত হয়নি সমগ্র, মিলিতমানুষের
কথায় ও অতিকথায় ?

*************************************************************

খনা
কবি অমিতাভ গুপ্ত

লক্ষ ঢেউয়ের ফণা, সাগর পেরিয়ে
খনা এসেছিল। গ্রামবাংলা জাগে
খনার বচনে, তাই খনার প্রভু
লাঙল জড়িয়ে দিল মহাজনী দিয়ে
লাঙলের মুখে তবু খনার বচন
বীজ ও ফসলে জাগে খনার বচন
আকাশের তারা তার ভাষা হয়ে জ্বলে  

*************************************************************


আমরা
মিলনসাগরে  খনার বচন ও তার ব্যাখ্যা তুলে আনন্দিত এবং তা আগামী প্রজন্মের কাছে পৌঁছে
দিতে পারলে আমাদের এই প্রচেষ্টা সফল মনে করবো।


নার বচনের মূল পাতায় যেতে এখানে ক্লিক করুন


আমাদের ই-মেল -
srimilansengupta@yahoo.co.in     


এই পাতা প্রকাশ - .০৪.২০১৪
...