কবি বিহারীলাল চক্রবর্ত্তীর কবিতা
যে কোন কবিতার উপর ক্লিক করলেই সেই কবিতাটি আপনার সামনে চলে আসবে।
১।   প্রেমের প্রতি        
২।   
যোগেন্দ্রবালা     
৩।   
নারীবন্দনা   
৪।   
সুরবালা     
৫।   
বিষাদ    


প্রেমের প্রতি          
("প্রেম-প্রবাহিনী" --- দ্বিতীয় সর্গ --- প্রথম স্তবক, ১৮৭০)


.                                          "O, God! O, God!
How weary, stale, flat and unprofitable
Seem to me all the uses of this world!
Fie on't! O, fie! 't is an unweeded garden,
That grows to seed ; things rank and gross in nature
Possess it merely."
.                                                     ---
Shakespeare

হায় রে সাধের প্রেম কত খেলা খেল,
মানুষে কোথায় তুলে কোথা নিয়ে ফেল!
প্রথমে যখন এলে সমুখে আমার,
কেমন সুন্দর বেশ তখন তোমার!
হাসি হাসি মুখখানি কথা মধুময়,
গলিল মজিল মন, খুলিল হৃদয়!
যত দেখি, ততই দেখিতে সাধ যায়,
যত শুনি ততই শুনিতে মন চায় |
ডুবিয়াছি যেন আমি সুধার সাগরে,
আসিয়াছি রতনের লুকান আকরে |
আহা কিবে ভাগ্যোদয়, ভাল ভাল ভাল!
হাসিয়ে চাহিয়ে দেখি চারিদিক্ আলো |
লতা সব নৃত্য করে, ফুল সব হাসে,
সুখের লহরীমালা খেলে চারি পাশে |
পাখী সব সুললিত স্বরে ধোরে তান,
মনের আনন্দে গায় প্রণয়ের গান |
মেদুর সমীর হরি' কুসুম-সৌরভ,
বেড়াইছে প্রণয়ের বাড়ায়ে গৌরব |
চারিদিকে যেন সব চারু ইন্দ্রধনু,
বিলসে প্রেমের প্রিয় রসময়ী তনু |
ও তো নয় প্রভাতের অরুণের ছটা,
অভিনব প্রণয়ের অনুরাগ-ঘটা |
প্রণয় প্রণয় বই আর কথা নাই,
হায় রে প্রণয়, তোর বলিহারি যাই |
যাহা কই, প্রণয়ের কথা পড়ে এসে,
যাহা ভাবি, প্রণয়ের ভাবে যাই ভেসে |
ঘুমায়ে স্বপনে দেখি প্রণয়ের রূপ,
জাগিয়ে নয়নে দেখি প্রেম-প্রতিরূপ |
প্রেম ধ্যান, প্রেম জ্ঞান, প্রেম প্রাণ, মন,
প্রেমেরি জন্যেতে যেন রয়েছে জীবন |
যেথা যাই, দিয়ে যাই প্রেমের দোহাই,
যাহা গাই, প্রণয়ের গুণ-গান গাই |
হৃদয়ে বিরাজ করে প্রেমের পর্তিমা,
শ্বণে সঞ্চরে সদা প্রেমের মহিমা |
পূর্ণিমার মনোহর পূর্ণ সুধাকরে,
প্রেমেরি লাবণ্য যেন আছে আলো ক'রে |
মেঘের হৃদয় নয় বিজলীর খেলা,
ঝলমল প্রণয়ের হাবভাব হেলা |
সূর্য্য বল, চন্দ্র বল, বল তারাগণ,
এরা নয় জগতের দীপ্তির কারণ ;
প্রেমের প্রভায় বিশ্ব প্রকাশিত রয় ;
তাই ত প্রেমের প্রেমে মজেছে হৃদয়!

.           ***************                                                   
পরে


মিলনসাগর
নারীবন্দনা          
("বঙ্গসুন্দরী" --- দ্বিতীয় সর্গ, ১৮৭০)

(নির্বাচিত স্তবক)

                     ১২
যেমন মধুর স্নেহে ভরপুর,
.             নারীর সরল উদার প্রাণ ;
এ দেব-দুর্লভ সুখ সুমধুর,
.             প্রকৃতি তেমনি করেছে দান |

                     ১৩
আমরা পুরুষ, পুরুষ নীরস,
.             নহি অধিকারী এ হেন সুখে ;
কে দেবে ঢালিয়ে সুধার কলস,
.             অসুরের ঘোর বিকট মুখে |


                     ১৪
হৃদয় তোমার কুসুম-কানন,
.             কত মনোহর কুসুম তায় ;
মরি চারিদিকে ফুটেছে কেমন,
.             কেমন পাবন সুবাস বায়!


                     ১৫
নীরবে বইছে সেই ফুলবনে,
.             কিবা নিরমল প্রেমের ধারা ;
তারকা খসিল উজল গগনে,
.             আভাময় ছায়াপথের পারা!


                     ১৬
আননে, লোচনে, কপোলে, অধরে,
.             সে হৃদি-কানন-কুসুম-রাশি
আপনা আপনি আসে থরে থেরে,
.             হইয়ে রয়েছে মধুর হাসি |


                     ১৭
অমায়িক দুটি সরল নয়ন,
.              প্রেমের কিরণ উজল তায় ;
নিশান্তের শুকতারার মতন,
.              কেমন বিমল দীপতি পায়!


                     ১৮
অয়ি ফুলময়ী, প্রেমময়ী সতী,
.              সুকুমারী নারী, ত্রিলোক-শোভা,
মানস-কমল-কানন-ভারতী,
.               জগজন-মন-নয়ন-লোভা!


                     ১৯
তোমার মতন সুচারু চন্দ্রমা,
.               আলো করে আছে আলয় যার
সদা মনে জাগে উদার সুষমা,
.                রণে বনে যেতে কি ভয় তার ?


                     ২০
করম-ভূমিতে পুরুষ সকলে,
.                খাটিয়ে খাটিয়ে বিকল হয় ;
তব সুশীতল প্রেম-তরু-তলে,
.                 আসিয়ে বসিয়ে জুড়ায়ে রয় |



                     ২১
তুমি গো তখন কতই যতনে,
.                 ফল জল আনি সমুখে রাখ ;
চাহি মুখ-পানে স্নেহের নয়নে,
.                 সহাস আননে দাঁড়ায়ে থাক |



                     ২২
ননীর পুতুল শিশু সুকুমার,
.                 খেলিয়ে বেড়ায় হরষে হেসে ;
কোন কিছু ভয় জনমিলে তার,
.                 তোমারি কোলেতে লুকায় এসে |



                     ২৩
স্থবির স্থবিরা জনক জননী,
.                  তুমি স্নেহময়ী তাঁদের প্রাণ ;
রাখ চোখে চোখে দিবস-রজনী,
.                  মুখে মুখে কর আদর দান |



                     ২৪
নবীনা নন্দিনী কেশ এলাইয়ে,
.                  রূপেতে উজলি বিজলী হেন ;
নয়নের পথে দুলিয়ে দুলিয়ে,
.                   সোনার প্রতিমা বেড়ায় যেন |



                     ২৫
রোগীর আগার, বিষাদে আঁধার,
.                   বিকার-বিহ্বল রোগীর কাছে,
পাখাখানি হাতে করি আনিবার,
.                   দয়াময়ী দেবী বসিয়ে আছে |



                     ২৬
নাই আগা-মূল বকে কত ভুল,
.                   শুনে উড়ে যায় তরাসে প্রাণ ;
হেরি হুলস্থুল হৃদয় ব্যাকুল,
.                   নয়নের নীরে ভাসে বয়ান |



                     ২৭
সতত যতন সদা ধ্যান জ্ঞান,
.                   কিরূপে সে জন হইবে ভাল ;
বিপদের নিশি হবে অবসান,
.                   প্রকাশ পাইবে তরুণ আলো |



                     ২৮
দুখীর বালক ধূলায় ধূসর,
.                   ক্ষুধায় আতুর মলিন মুখ ;
ডাকিয়া বসাও কোলের উপর,
.                   আঁচলে মুছাও আনন বুক ;



                     ২৯
পরম-করুণ জননীর মত,
.                   ক্ষীর সর ছানা নবনী আনি,
মুখে তুলে দাও আদরিয়ে কত,
.                   গায়েতে বুলাও কোমল পাণি |



                     ৩০
স্নেহ-রসে তার গলে যায় প্রাণ,
.                    অচলা ভকতি জনমে চিতে ;
ভেসে ভেসে আসে জলে দু'নয়ান,
.                    পদধূলি চায় মাথায় দিতে |



                     ৩১
আহা কৃপাময়ী, এ জগতীতলে,
.                     তুমিই পরমা পাবনী দেবী ;
প্রাণীরা সকলে রয়েছে কুশলে,
.                     তোমার অপার করুণা সেবি |



                     ৪৫
বাঁচিতে প্রার্থনা নাহিক আমার,
.                     যে কদিন বাঁচি তবু গো নারি,
উদার মধুর মূরতি তোমার,
.                     যেন প্রাণ ভ'রে আঁকিতে পারি!


.           ***************                                                   
পরে


মিলনসাগর
যোগেন্দ্রবালা
("সাধের আসন" --- তৃতীয় সর্গ, ১৮৮৮)

(নির্বাচিত স্তবক)


অধরে ধরে না হাস,
আঁধার কেশের রাশ,
করুণ কিরণে আর্দ্র বিকসিত বিলোচন ;
প্রফুল্ল কপোলে আসি
উথলে আনন্দ-রাশি,
যোগানন্দময়ী-তনু, যোগীন্দ্রের ধ্যানধন |



পী
নোন্নত পয়োধরে
কোটি চন্দ্র শোভা হরে,
বিন্দু বিন্দু ক্ষীর ক্ষরে, স্নেহে স্নিগ্ধ চরাচর,
আদ্রিয়া হিমাদ্রিমালা
সুরধুনী করে খেলা,
সুধাকরে
সুধা ক্ষরে,
পিয়া প্রাণে বাঁচে প্রাণী, অমর, দানব, নর |



তরল দর্পণ-ভাস,
দশ দিক সুপ্রকাশ ;
দশ দিকে কার সব হাসিমাখা প্রতিমা ;
রাজে যেন ইন্দ্রধনু!
তোমার মতন তনু,
তোমার মতন কেশ,
তোমার মতন বেশ,
তোমারি মতন দেবি! আনন-মধুরিমা |
তোমারি এ রূপরাশি
আকাশে বেড়ায় ভাসি ;
তোমার কিরণ-জাল
ভূবনে করেছে আলো,
গ্রহ তারা শশী রবি,
তোমারি চিহ্নিত ছবি ;
আপন লাবণ্যে তুমি বিভাসিত আপনি |
মোহিত হইয়া দেখে ভক্তিভাবে ধরণী |



অধরে ধরে না হাস,
মনে ওঠে কি উল্লাস?
অখিল ব্রহ্মাণ্ড বুঝি উদয় হয়েছে প্রাণে?
ক্ষণে ক্ষণে অভিনব
মহান মাধুর্য্য তব!
কি যেন মহান গীতি বাজিয়াছে ঐকতানে |



অমৃত-সাগরে হাসে ঘুমন্ত জোছনা জল,
আহা কি হৃদয়হারী বায়ু বহে অবিরল!
ফুলের বেলার কোলে
সুধীর লহরী দোলে,
অতি দূর দৃষ্টিপথে অতি ধীর ঢল ঢল ;
ঈষৎ দোদুল্যমান প্রফুল্ল কমল-বনে
কে তুমি ত্রিদিবরাণী বিহর আপন মনে?



কে এঁরা সঙ্গিনী সব?
লোচনের নবোত্সব,
উদার অমৃত-জ্যোতি, সুধাংশু-কলিত কায়া,
বেড়িয়ে বেড়ায় যেন তোমার প্রাণের ছায়া |



আকুল কুন্তলজাল,
আননে অপূর্ব আলো,
নয়ন করুণাসিন্ধু, মূর্ত্তিমতী দয়াময়ী ;
বেড়িয়ে বেড়ায় যেন তোমারি প্রাণের ছায়া |



অমৃত-সাগরে ভাসি,
মৃদুমন্দ হাসি হাসি
আদরে আদরে তুলি' নীল নলিনী আনি,
মিটায়ে মনের সাধ সাজাইছে পা দুখানি |



আমিও এসেছি বালা!
প্রেমের প্রফুল্ল-মালা,
সৌরভে আকুল হয়ে পারিনি পরাতে গায়ে ;
সজল নয়নে শুধু চেয়ে আছি রাঙা পায়ে |


.                                                 ***************                                          
পরে


মিলনসাগর
সুরবালা
("বঙ্গসুন্দরী" --- তৃতীয় সর্গ, ১৮৭০)

(নির্বাচিত স্তবক)

                      ৭৩
সহসা মানস-তমস-মন্দিরে,
.               বিকসিল এক নূতন আলো ;
ভেদ করি অমা-নিশির তিমিরে,
.               প্রাচী দিশা যেন হইল লাল |



                      ৭৪
প্রকাশ পাইল সে আলো-মালায়,
.                অমরাবতীর বিনোদ বন ;
কত অপরূপ তরু শোভে তায়,
.                চরে অপরূপ হরিণীগণ |



                      ৭৫
বিমল সলিলা নদী মন্দাকিনী,
.                 দুলে দুলে যেন মনেরি রাগে ;
ভাঁজি কুলুকুলু মধুর রাগিণী,
.                 খেলা করে তার মেখলাভাগে |



                      ৭৬
নিরবিল এক তীরতরুতলে,
.                  সে সুররূপসী উদাস প্রাণে,
বসিয়ে কোমল নব-দূর্বাদলে,
.                  চাহিয়ে আছেন লহরী-প্রাণে, |



                      ৭৭
বাম করতলে কপোল কমল,
.                  আকুল কুন্তলে আনন ঢাকা ;
নয়নে গড়ায়ে বহে অশ্রুজল,
.                  পটে যেন স্থির প্রতিমা আঁকা |



                      ৭৮
অঙ্গের ওড়না ভূতলে লুটায়,
.                   লুটায় কবরী-কুসুমমালা ;
পারিজাত-হার ছিঁড়েছে গলায়,
.                   গ'লে পড়ে করে রতনবালা |



                      ৭৯
ঘুমায় আদুরে বীণা বিনোদিনী,
.                   বাঁধা আছে সুর, বাজে না তান ;
এই কতক্ষণ যেন এ মানিনী,
.                    গাহিতেছিলেন খেদের গান |



                      ৮০
ঝোরে ঝোরে পড়ে তরু থেকে ফুল,
.                   ঠেকে ঠেকে গায় ছড়িয়ে যায় ;
মধুকরকুল আকুল ব্যাকুল,
.                   গুনু গুনু রবে উড়ে বেড়ায় |



                      ৮১
স্বভাব-সুন্দর চারু-কলেবরে,
.                   বিকসে সুষমা কুসুম রাজি ;
সুর সীমন্তিনী অভিমান ভরে,
.                   কেমন মধুর সেজেছে আজি!



                      ৮২
মধুর তোমার ললিত আকার,
.                   মধুর তোমার চাঁচর কেশ ;
মধুর তোমার পারিজাত-হার,
.                   মধুর তোমার মানের বেশ!



                      ৮৩
পেয়ে সে ললনা মধুর মূরতি,
.                  দেহে যেন ফিরে আসিল প্রাণ ;
হেরিয়ে সখার হয় না তৃপতি,
.                  নয়ন ভরিয়ে করেন পান |



.                    ***************                                              
পরে


মিলনসাগর
বিষাদ
("সারদামঙ্গল" --- দ্বিতীয় সর্গ, ১৮৭৯)

(নির্বাচিত স্তবক)


কেন গো ধরণী-রাণী
বিরস বদনখানি ?
কেন গো বিষন্ন তুমি উদার আকাশ?
কেন প্রিয় তরুলতা,
ডেকে নাহি কহ কথা?
কেন রে হৃদয় --- কেন শ্মশান উদাস?


১০
কোন সুখ নাই মনে,
সব গেছে তার সনে ;
খোলো হে অমরগণ স্বরগের দ্বার!
বল, কোন পদ্মবনে
লুকায়েছ সংগোপনে?---
দেখিব কোখায় আছে সারদা আমার!


১১
অয়ি, একি, কেন কেন,
বিষন্ন হইলে হেন?
আনত আনন-শশী, আনত নয়ন,
অধরে মন্থরে আসি
কপোলে মিলায় হাসি,
থর থর ওষ্ঠাধর, স্ফোরে না বচন |


১২
তেমন অরুণ-রেখা
কেন কুহেলিকা ঢাকা,
প্রভাত-প্রতিমা আজি কেন গো মলিন?
বল, বল, চন্দ্রাননে,
কে ব্যথা দিয়েছে মনে,
কে এমন --- কে এমন হৃদয়-বিহীন!


১৩
বুঝিলাম অনুমানে,
করুণা কটাক্ষ-দানে
চাবে না আমার পানে, কবেও না কথা!
কেন যে কবে না, হায়,
হৃদয় জানিতে চায়,
সরমে কি বাধে বাণী, মরমে বা বাজে ব্যথা!


১৪
যদি মর্ম-ব্যথা নয়,
কেন অশ্রুধারা বয়?
দেববালা ছল-কলা জানে না কখন ;
সরল মধুর প্রাণ,
সতত মুখেতে গান,
আপন বীণার তানে আপনি মগন!


১৫
অয়ি, হা, সরলা সতী
সত্যরূপা সরস্বতী!
চির-অনুরক্ত ভক্ত হয়ে কৃতাঞ্জলি
পদ-পদ্মাসন কাছে
নীরবে দাঁড়ায়ে আছে---
কি করিবে, কোথা যাবে, দাও অনুমতি!
স্বরগ-কুসুম-মালা,
নরক-জ্বলন-জ্বালা,
ধরিবে প্রফুল্লমুখে মস্তকে সকলি |
তব আজ্ঞা সুমঙ্গল,
যাই সব রসাতল,
চাইনে এ বরমালা, এ অমরাবতী!


১৬
নরকে নারকী-দলে
মিশিলে মনের বলে,
পরাণ কাতর হ'লে ডাকিব তোমায় ;
যেন দেবী, সেইক্ষণে ---
অভাগারে পড়ে মনে,
ঠেল না চরণে, দেখো, ভুল না আমায়!


১৭
অহহ! কিসের তরে
অভাগা নরকে পড়ে,
মরু --- মরু-মরুময় জীবন লহরী!
এ বিরস মরুভূমে---
সকলি আচ্ছন্ন ধূমে,
কোথাও একটিও আর নাহি ফোটে ফুল!
কভু মরীচিকা মাঝে
বিচিত্র কুসুম রাজে,
উঃ! কি বিষম বাজে, যেই ভাঙে ভুল!
এত যে যন্ত্রণা-জ্বালা,
অবমান, অবহেলা
তবু কেন প্রাণ টানে! কি করি, কি করি!


.                                                  ***************                                          
পরে


মিলনসাগর