জীবনের মধ্যপথে যাত্রাকালে বিষণ্ণ শরীরে দিশাহারা হয়ে যাই বিপদসঙ্কুল বনপথে ; পঙ্কিল নগর ছাড়ি হেথা এই অরণ্যের ভীড়ে ঊর্ধ্বগ যাত্রায় যতি আরবার টানি কোনোমতে |
আবৃত্ত আমার চক্ষু ; ইন্দ্রিয়ের স্লথ আবেদনে স্বপ্ন ও জাগ্রত কাল উভয়েই ছায়াতপ সম যুগপৎ সম্মুখেতে ভেসে যায় ৎকিবা অকারণে | প্রাক্তন ও বর্তমান আমার কাছে সমান নির্মম |
দেখেছি নগরচূড়ে দূর হ'তে সন্ধ্যার প্রাসাদে কারাগার, হাসপাতাল, বেশ্যালয়, আরো কি নরক উদ্গতির নিরুপায়ে নিরঙ্কুশ প্রবল প্রমাদে ছড়ার নগর ঘিরে সরীসৃপ অসংখ্য সড়ক |
অথবা গণিকা-বক্ষে কৃত্রিম সুগন্ধে বা চুম্বনে লাভ করি সে নরকে নিরুপাখ্য অজ-পরমায়ু ; উষ্ণ শরীরের ঘ্রাণে স্বপ্নে দেখি সমুদ্র স্বননে সোনার তরীরে বুঝি নিয়ে আসে দক্ষিণের বায়ু ;