কবি গোরক্ষনাথ-এর গান
যে কোন কবিতার উপর ক্লিক করলেই সেই কবিতাটি আপনার সামনে চলে আসবে।
*
ভাগ্যে যা আছে তাই হবে সই,
কী হবে ব্যাকুল হলে ?
এখন ভ্রান্তি পরিহরি, বাঁচাও সি কিশোরী,
হরিমন্ত্র, শুনাও প্যারির শ্রবণ-মূলে ||
কেন ব্রজধাম, ত্যজে যাবেন শ্যাম,
রাধার দুঃখের কপাল না হলে!
মনে জ্ঞান হয়, জন্মান্তরে,
আমরা কৃষ্ণ হরি সখি, নিছিলাম কার |
বুঝি সেই শাপে এ মনস্তাপে,
দহিল প্রাণ গোপিকার |
নহিলে যার নামে বিপদ যায়,
প্রাণ সঁপে সেই শ্যামের পায়,
রাধার প্রাণ যায়, গোকুল ভাসে দুঃখসলিলে ||
গিয়াছেন মধুপুরে শ্রীকৃষ্ণ ত্যজিয়া শ্রীবৃন্দারণ্য ,
কারে বলো সই, শুনতে রাধার যন্ত্রণা |
ওযে শ্যামের চরণচিহ্ন, সখি ওই যার পদচিহ্ন ,
সেই মাধব যখন দুঃখ বুঝলে না |
অরণ্যে রোদন, করিলে এখন,
ঘুচবে না মনের বেদনা  |
রাধার সুখের কপাল তো নয়,
তা হলে কি এমন দশা হয়?
কাঁদে কৃষ্ণহীন হয়ে রাধা, পড়ে ভূতলে ||



.                   ****************                                                       
উপরে


মিলনসাগর
*
প্রাণ তুমি আর পথে এসো না |
শুধু দেখা, দিবে সখা, সে তো তা মনেতে বুঝে না |
তুমি যার, এখন তার, পুরাও বাসনা ||
তোমা হতে সুখ যা হবার |
প্রাণ তো হয়ে বয়ে গিয়েছে আমার |
দেখা হলে মরি জ্বলে,
এমন দেথা সখা আর দিয়ো না ||
আগে তোমার দেখলে সখা,
হত পরম আহ্লাদ |
এখন তোমায় দেখলে ঘটে হরিষে বিষাদ |
এসো বসো বলা হল দায় |
কী জানি কে গিয়ে সখা, বলে দিবে তায় |
সে তোমাকে, আমার পাকে, করিবে লাঞ্ছনা ||
উচিত নয় রসময়, হেথা আসা এখন |
নূতন রঙ্গিণী তোমার করিবে ভর্ত্সন |
আমায় বরং সখা, দিয়ো দেখা, যুগ-যুগান্তে |
অনাদর নাহি কোরো নব্য প্রেমেতে |
নবরসে সে যে রঙ্গিণী!
প্রাণ হয়েছে তোমার প্রেমের অধীনী |
আমায় যেমন জ্বলিয়ে ছিলে,
প্রাণ তারে এমন জ্বালা দিয়ো না ||


.             ****************                                                           
উপরে


মিলনসাগর