শোনো আমার বৈরাগী প্রেম এবার ফাগুন রাসের পালা চন্দ্রাবলীর কুঞ্জে তুমি যেয়ো কিন্তু রাধার যেন মুখ না হয় বেজার!
তমালতরু নাই বা পেলে ভিক্টোরিয়ার ময়দানটাও বেশ ভালো, দূরভাষ, কবিতা আর তাদের বাহুলতা, বাঁশির মতোই আঙুল তোমার খারাপ বাজে কি ?
আমি ? তোমায় ভালোই বাসি, তাতেই বা কী যায় আসে----- পুরোনো তারে তোমার দোতারা কখনো বাজে না | তোমার ঐ রামধনুর মিছিলের পাশে একটি বর্ণহীন দহনের রাত আর একটি সাদা খাতার পাতা তোমায় পাঠাচ্ছি----আমার বসন্ত উপহার |
কবিগুরু তোমাকে অনেক ভালোবেসেও তাকে ভুলতে পারলাম না----
তোমার সুরে যখন ঘর মন সব ভরেছে, তার না ছোঁওয়া আঙুল তখনও শিহরণ দিল
তার “ না বলা বাণী” “ ঘন যামিনী”---
কবি আমি তাকে এড়িয়ে গেলাম তোমার কাছে যাবার দম্ভে তাকে ছাড়তে পারলাম কই ?
মা বলতেন, তোমার জন্মদিনে মিথ্যে বলা পাপ | আমি মিথ্যেবাদী হয়েছি কবিগুরু তবু, তাকে মিথ্যে করতেই পারলাম না |
আমি তোমার চোখেই তো চেয়েছিলাম কবিগুরু তবু সে দুটি চোখ আমায় দহন করে | তুমি অনেক দিয়েছ কবিগুরু---- ঘর, সংসার, জীবিকা, দেবতুল্য স্বামী ! সন্তান ! তবু------ “দীর্ঘ দিবস দীর্ঘ রজনী দীর্ঘ বরষ মাস” |
১ ধরা দেয় না তোমার ‘কিছু না’ আমি শুধু জানি তীর ভাঙে আজও ভাঙে জনসমুদ্রে চোখ-ডুবি হয় |
২ আজও শাপলাকুঁড়ি আমার নীলজলে ভাসে চেতনা তাকে ভালোবেসে গ্রন্থিহীন হয়েছে |
৩ প্রহেলিকারা খুনসুটি করে যায় এ জীবন বাতুলতা মাত্র | নির্বিঘ্ন অপব্যয়ে রাত নামে বালাপোশে তবু আসে ঘামে ভেজা নোনা ভোরেরা | |
৪ সাগরের নাম জান কি ? সমস্ত আকুলতায় ভেসে গিয়ে যখন মোহনায় দাঁড়াই, আমর সে সাগর উপহার দেয় চোরাবালি--ঝড় !
বালির ঢিবিতেই তার অহংকার যেন |
৫ প্রতিটি নতুন মুখে আমি খুঁজি পূর্বজনমের পরিচিতকে প্রতিটি নতুন মুখ আমায় ফিরে পাওয়া প্রত্যয়ের সঙ্গে দিয়ে যায় আগামী জন্মের পরিচিতি |
৬ শিশুচোখ আবদারে বেছে নিয়েছে ভালোলাগার আলোটুকু পূজাকে লুব্ধতা জেনে হয়তো শিশু-সিংহ বিক্রমে মুহুর্মুহু অনুভবে সর্বগ্রাসী জীবন ?
রয়ে গেছে শ্বাসের ইঁদুর-দৌড় আর অক্লান্ত বেঁচে থাকা |
৭ তুমি চলে যাবার পর একবারমাত্র মৃত্যু এসেছিল দরজায় কড়া নেড়েছিল, আনতমুখে তার বড় অভিমান, কেন এতদিন ডাকেনি আমায় ? তার মতো করে নিভৃত আকাঙ্খায় |
৮ কোনো একটি আত্মহত্যার রাত তোমার আকন্ঠ আকুতি কোনো একটি শয্যাভাঙা ভোর আমার বাঁধভাঙা অশ্রু কোনো একটি অবিশ্বাসের মুহূর্ত তোমার অলঙ্ঘ্য নিয়তি কোনো একটি সর্বস্ব পণ আমার আবহমানের অসুখ
তুমি ভালো আছ তো ?
৯ চলে যাবার পর একটি মুহূর্ত থাকে অক্লান্ত নীরবতা আর নীলকন্ঠী অবজ্ঞা সহ |
১০ ক্ষমা কোরো আমায় | আমি মৃত্যুকে জানতে পারলাম না কোনোদিন, ছুঁতে পারলাম না তোমার ঈশ্বরকে, আমি আজও ক্লান্ত কতরাতে !
১১ মৃত্যুকে জানোনি বোঝনি জীবনকে কোনো এক অসহনীয় দ্বৈততায় করুণাকে বিলিয়েছ তুমি, হে ঈশ্বর তোমর মুক্তি হোক |
১২ বালিকে কেন চোরা দোষ দাও ? সে তো ধ্বসে পড়বেই শুধু অন্ধকার চাই |
১৩ তুমি নও সে যে, বলে সাগর মোহনা পাল্টায়, চোরা স্রোতে তবু আজও নোঙর-ডুবি হয় |
১৪ কোনো পথে আবার দেখা হবে যে পথ কোথাও মেলে না যে পথ ভীরুতা ভুলবে যে পথ ক্ষমাশীল হবে
ভালো থেকো আরশিনগর মন-কাঁদনের পাড়া | ভালো থাকিস সজনী আমার খ্যাপি কৃষ্ণচূড়া | | ভালো থেকো মেট্রো রেল আর তিস্-হাজারির বাঁক আমায় ছাড়া কামরাঙা-সই কোমর-তিলের ঝাঁক | আমিও বেশ ভালোই আছি না ঘুরে তোর গলিঘুঁজি মাঝে মাঝে ভাবি শুধু বুকে ধরে রাখ, জীবন এইটুকুতো থাক, জীবন এইটুকুতো থাক |
বইঘরের লাগোয়া ঘাসে দুদিন অভুক্তের মুখে ডিমভাজা আর স্নেহের হাতে দূতসম্প্রদায়ও জ্বলে পুড়ে খাক্ ! হে বন্ধু, মিডিয়ারা বড়াই থেকেও চু---- তুই আমি শুধু দাম্পত্যহীনতার অভিশাপ পেলাম ?----- একই খামে বিশ্বাসের নামে অজান্তে যারা বন্ধুকে প্রেমপত্র পাঠায়, মা হন মেয়ের পাহারাদার, ঈষদুষ্ণ ফাঁদে শরীর দাবি নির্জন গৃহকোণে, এস এম এস - কাঙালি, কন্ডোম |
তুই সত্যি বলেছিস বুদ্ধুরাম, এই রমণ-রমণী মিডিয়াম থেকে, অপবাদ ভালো | বেঁচে থাক আমার কলঙ্ক নাম আর তোর হা-ভাতে কাঁদন |
অন্ধকার যবে গাঢ় থেকে গাঢ়তর হয় অমাবস্যার আগমনীতে আধো-চাঁদ, মৃত জ্যোত্স্না ভালোবাসার শেষ চিঠি লেখে তোমারি নামে |
তুমি স্খলিত প্রেম, সর্বহারা জোয়ারে উচ্ছ্বাস খোঁজ, আমি দূর থেকে কাশবনে মথিত হই বানভাসি স্মৃতি মাদকতায়, ভালো থেকো জীবন-পূর্ণিমায় |
দূরে থেকো জোয়ারের আশায় যদি ভাঁটা সব জানে, একদিন সেও জানবে, জ্যোত্স্নাও নদী হতে জানে জীবনের ওপার-----আকাশে | একদিন সেও জানবে, জ্যোত্স্নাও নদী হতে জানে জীবনের ওপার------আকাশে