সুরেন্দ্রনাথ মজুমদারের কবিতা যে কোন কবিতার উপর ক্লিক করলেই সেই কবিতাটি আপনার সামনে চলে আসবে। |
রূপ ফুলরা কাব্য থেকে নেওয়া (নির্বাচিত অংশ) (১৯) মুদ্রা করে লয়ে কোথা জন্মে কোন জন কৌলিন্যের চিহ্ন থাকে কার? বিধাতার কর কে না করে দরশন অঙ্গে তার, রূপ আছে যার? (২০) নাই যার সেই বলে রূপ কিছু নয়, এল গেল ক্ষণিক প্লাবন ; চির নব যদিও না চির দিন রয় তথাপি সে রূপ পুরাতন | (২১) যত্নে চায় অসিত পক্ষের শশধরে, যত্নে চায় গ্রীষ্ম-সরোবরে, ব্যয় ক্ষয় দেখে ধন যত্নে চায় নরে প্রিয় আরো প্রিয় হ্রাস ভরে | (২২) প্রকৃতির বিস্তৃত বিনোদ আবরণ বিশ্বপটে স্নেহের মার্জ্জন ; রূপ তুমি প্রণয়ের অঙ্গজ নন্দন, কর যত্নে পিতার পালন | (২৩) যে যারে সাজায় তারে প্রেম থাকে তার সামান্য এ কথা বুঝিবার ; অঙ্গে রূপ ভালবাসার দান বিধাতার ; ভালবাস অঙ্গে রূপ যার | (২৪) রূপবেদী পরে প্রেম উপহার দিয়া উপাসিব পুলকে ধাতার ; পাযাণ কাষ্ঠের বেদী কি কাজ রচিয়া, কি কাজ বা পট প্রতিমায়? . **************** উপরে মিলনসাগর |
জননী হে মাতঃ! হৃদয়ে ধর, সন্তানের ত্রাস হর, তোমা বিনা ভব-দুঃখে কোথা পরিত্রাণ! তুমি পরশিলে করে, জ্বর জ্বালা তাপ হরে, তব অঙ্ক, শঙ্কাশূণ্য বৈকুণ্ঠ সমান! তুমি মুখে দিবে যাহা, মৃত্যুহরী সুধা তাহা, আশীর্বাদ তোমার অভেদ্য অঙ্গত্রাণ! তব কাছে স্বর্গবাস, তব তুষ্টি শ্রেষ্ঠ আশ, ধরায় না ধর্ম তব সেবার সমান | জীবে কৃপা করি তুমি ঈশ মূর্তিমান || ধরা হীরা হয়, হায়! সিংহাসন রচি তায়, বসাইতে পারি যদি জননী তোমায় |--- ফুল হয় তারা দল, চন্দন সাগর-জল, শত কল্প বসি যদি পূজি তব পায়, সুধাকর-সুধাগারে, পারি যদি আনিবারে, নিত্য যদি সেই সুধা করাই ভোজন, পারিজাত-দল দিয়া, নিত্য শয্যা বিরচিয়া, করাইতে পারি যদি তোমায় শয়ন, তবু না শুধিতে পারি তোমার পালন || তুমি মা, না ধর দোষ, তুমি নাহি কর রোষ, দুঃশীল মানব, প্রাণে বেঁচে থাকে তায়! শত অপরাধ করে তবু না মানব মরে, শুধু তব হৃদয়ের প্রেম-মহিমায় | বাণী বর্ণিবারে চায় শেষ যদি সদা গায়, তবু তব মহিমা না হয় সমাধান! হে সুর, অসুর, নর, যেবা তনু বুদ্ধি ধর ;--- এস মিলি করি সবে মাতৃস্তুতি গান |--- বিশ্ব যাঁর কর-গড়া কন্দুক সমান || . **************** উপরে মিলনসাগর |