ঘুম ভাঙে, বুকে ব্যথা, ঘোর মধ্যরাত!
সুনসান, কেউ নেই ; জন্মের সময়
তার জন্মদাত্রী ছিল কাছে, ধাই মা-টি
ছিল আর ছিল প্রতিবেশিনীর ভীড়,
সে যে কতদিন হল ষাট কি সত্তর
হয়তো তারও বেশি, বুড়ির সেসব
কথা মনে নেই, তার খুব শীত করে ;
কোলের খোকাটি তার বড় হয়ে গেছে
ঢের আগে, হয়ে নাগরিক পরিতৃপ্ত
উচ্চবিত্ত মানুষ হয়েছে | হয়েছে কি ?
তের দিন পর সেই মাতৃশোকাতুর
বাড়ি বাড়ি বিলি করে গাড়ি নিয়ে শ্রাদ্ধ
বাসরের চিঠি, তলায় নিজের নাম,
তার আগে লেখা আছে “ভাগ্যহীন”, ঠিক!
. ************************
. সূচিতে . . .
মিলনসাগর
শীত এসে ওর সুখকে খাবে, স্বপ্ন খাবে চুষে,
শীত এসে খুব তাড়াতাড়ি বুকের মধ্যে পুষে
রাখবে অসুখ, অসুখ বিসুখ কার না করে অদ্য ?
অসুখ বুকে, অসুখ সুখে, অসুখ নিয়ে পদ্য
লিখবে কবি, লিখবে লেখক, আঁকবে শিল্পী ছবি |
পড়বে পাঠক, কিনবে পাঠক দুঃখ সুখের সবই,
ছবির মধ্যে ছড়ার মধ্যে গানের মধ্যে কেন
সুখ খুঁজেছে, দুখ চিনেছে, অবিশ্বাস্য যেন,
জীবনে সুখ কেবল পালায় কেবল চুরি করে,
সুখ চুরি যায়, স্বপ্ন হারায়, বয়স ধরা পড়ে |
এরি মধ্যে বয়স হল ? শিহর লাগা শেষ ?
শিহরও নেই, পুলকও নেই, নেইকো স্বপ্ন রেশ |
সামান্য সে ধার দিয়েছে হারিয়ে যায় পাছে,
কন্যা কেবল বহন করে, বহন করে পরে,
গচ্ছিত ধন সমর্পণে যাবে দেশান্তরে |
দেশান্তরে যাবে কেন স্বপ্ন দেখা কন্যা ?
এই দেশে খুব খরা এবং এই দেশে খুব বন্যা,
খরার থেকে বন্যা থেকে বাঁচাও করো যত্ন,
খরায় পোড়ে, বন্যা ভাসায়, ও মেয়ে, তোর স্বপ্ন |
. ************************
. সূচিতে . . .
মিলনসাগর
অভিরাম অন্ধকারে ঘিরে ছিল জননী-সভ্যতা |
মা রে, এখন উপোসে কাটে বেলা তোর,
দুঃখী বুড়ি, ঘোর নির্বাসনে বিদুরের
খুদকুঁড়ো গাঢ় সখ্যরীতি খুঁজে নাও,
নির্বান্ধব নির্বাসনে দেখো কোনোখানে
দেবর বিদুর তুমি খুঁজে পাও কি না !
. ************************
. সূচিতে . . .
মিলনসাগর
দাঁড়িয়ে বলেছ, ‘ভালোবাসি, খুব ভালোবাসি’ ?
এখনও তো ভালোবাস, শুধু সে বাসেনি, গঞ্জের
কারখানায় গিয়ে নতুন বেতনে মজে যুবতীমোহন
হয়ে বিড়ি ছেড়ে সিগারেট খায় খুব আজকাল | জল
ছোঁও | শোনো জল ছুঁয়ে জলের গোপন কানে
বলে এসো, ‘ভালোবাসো, আজো ভালোবাসো’ |
জলের ,স্বভাবী ভালোবাসা, প্রবাহিত হতে জানে,
ফিরতে শেখেনি ! জলেই ভাসিয়ে দাও জলের
প্রস্তাব | তারপর নিজেকে প্রস্তুত করো ; রান্নাঘর,
আঁশবটি, শিলনোড়া, বাসনতৈজস, কাঁথা কানি,
মা লক্ষ্মীর ঝাঁপি,---- সব কিছু ঠিকঠাক
আছে অপেক্ষায় | তোমার ওপর এসে তারা
ঝাঁপিয়ে পড়বে, আচ্ছন্ন ও আক্রান্ত তুমি
শুনতে পাবে না আর জলের গর্জন |
কিশোর কালের ভ্রম, ভালোবাসা ভুল
ঘাসফুল হয়ে দোল খাবে একা একা নদী ঘাটলায় !
তুমি দেখতে পাবে না, জানতে পারবে না |
. ************************
. সূচিতে . . .
মিলনসাগর
বৈশাখ /
.
জ্যৈষ্ঠ /
.
আষাঢ় /
.
শ্রাবণ /
.
ভাদ্র /
.
আশ্বিন /
.
কার্তিক /
.
অঘ্রান /
.
পৌষ /
.
মাঘ /
.
ফাল্গুন /
.
চৈত্র /
.
বারমাস্যা
কৃষ্ণা বসু
পা জ্বলে যায়
গত জন্মের
মন উচাটন
দিন পোড়ায়
আষাঢ় ওরে
তীব্র ধারার
পাগল বৃষ্টি
মধ্যিখানে
মন উড়ে যায়
হারিয়ে খুঁজি
এগিয়ে যায়
দিবি তবে
আকাশ প্রদীপ
থাকে যেন
খবর রটায়
নিহিত গান
রঙ্গিলা দিন
গায়ে দিয়ে
নিজেই আমি
হারিয়ে যাই
এলে আহা
পাতাটিও
ভালোবাসে
ভাসিয়ে নিক
মিলনসাগর
হাত জ্বলে যায়
তুই কি আমার
নির্জলা দিন
রাত্রি জাগায়
আষাঢ় আমার
তোর পীরিতির
প্রেমের মতন
এই অঝোরের
মন পুড়ে যায়,
পোড়া হৃদয়
জলের দিকে
বিসর্জনেই
বাড়ির মাথায়
সন্ততিরা
মাঠে মাঠে
শস্য পাকার
অতিথি এই
মহার্ঘ শাল
নিজের সময়
মধ্যে মাঝে
শীত শেষে হয়ে
কচি আমের
মুগ্ধ হতেই
ডুবিয়ে দিক
কবিতাটি
ও বোশেখ তুই কি |
নষ্ট ঠাকুর ঝি ?
মারণমন্ত্রে কে
সহ্য হয় না রে |
ছেলেবেলার সই
দেখা পেলাম কই ?
কাঁপায় দেশান্তর,
কোন্ খানে তোর ঘর ?
সারা ভাদর মাসে,
শিশিরভেজা ঘাসে |
বিসর্জনের ঢাকি
কিসের ডাকাডাকি ?
জ্বলছে সারা রাতে,
দুধ আর মাছ ভাতে |
পাকা ধানের ঘ্রাণ ;
টেনে নিচ্ছে কান |
সারা বছর পর
আলো করেন ঘর |
অল্প চুরি করে
শীতান্ত রোদ্দুরে |
খুব বিরহের তাপে
থরথরিয়ে কাঁপে |
দুঃস্থ হৃদয় শেষে
চৈত্র বাতাস এসে |
থেকে নেওয়া
বুড়ি মা
কৃষ্ণা বসু
ও মেয়ে, তোর স্বপ্ন
কৃষ্ণা বসু
জননী -সভ্যতা
কৃষ্ণা বসু
ঘাস ফুলের কাহিনী
কৃষ্ণা বসু