তাঁকে নিয়ে লিখিত গ্রন্থ হল “কালের রাখাল কবি কৃষ্ণ ধর”, রচয়িতা অধ্যাপক তরুণ মুখোপাধ্যায়।  

নব্বইয়ের ঘর পেরিয়ে গেলেও আজও তিনি সমান সাবলীল কবিতাসৃষ্টিতে। কলকাতার এশিয়াটিক  
সোসাইটির এপ্রিল সংখ্যার বুলেটিনে প্রকাশিত হয়েছে তাঁর কবিতা।

আমরা কৃতজ্ঞ কবিকন্যা সুরঞ্জনা চৌধুরীর কাছে যিনি আমাদের কবির ছবি, কবির স্বনির্বাচিত কবিতা ও
কবি সম্বন্ধে বিস্তারিত তথ্য পাঠিয়েছেন অগাস্ট ২০২০ সালে।
আমরা কৃতজ্ঞ
শ্রী দেবোপম দাসের কাছে যিনি আমাদের কবি সম্বন্ধে বিস্তারিত তথ্য পাঠিয়েছেন এপ্রিল
২০২০ সালে।

আমরা কৃতজ্ঞ অধ্যাপক তরুণ মুখোপাধ্যায়ের কাছে। তিনি ২০১৬ সালে কবি কৃষ্ণ ধরের জীবন সম্বন্ধে
নানান তথ্য দিয়েছিলেন


আমরা
মিলনসাগরে   কবি কৃষ্ণ ধরের কবিতা তুলে আগামী প্রজন্মের কাছে তা পৌঁছে দিতে পারলে  
আমাদের এই প্রচেষ্টা সার্থক মনে করবো। এই পাতা তাঁর প্রতি মিলনসাগরের শ্রদ্ধার্ঘ্য।



উত্স -
  • কবিকন্যা সুরঞ্জনা চৌধুরীর, পাঠানো ছবি, তথ্য ও কবির স্বনির্বাচিত কবিতা।
  • ধ্যাপক তরুণ মুখোপাধ্যায়ের পাঠানো তথ্য।   
  • ডঃ শিশিরকুমার দাশ, সংসদ বাংলা সাহিত্য সঙ্গী।


কবি কৃষ্ণ ধরের মূল পাতায় যেতে এখানে ক্লিক করুন


আমাদের ই-মেল -
srimilansengupta@yahoo.co.in     


এই পাতার প্রথম প্রকাশ - ১৫.০৬.২০১৩।
কবির পরিচিতির পাতার পরিবর্ধিত সংস্করণ ও কবির ছবির সংযোজন - ২১.৬.২০২০।
কবিকন্যা সুরঞ্জনা চৌধুরীর পাঠানো কবির স্বনির্বাচিত কবিতা, কবি সম্বন্ধে বিস্তারিত তথ্য ও ছবির সংযোজন - অগাস্ট ২০২০।


...                                                                                           পাতার উপরে . . .    
কবি কৃষ্ণ ধর  -   একজন বিশিষ্ট কবি-সাহিত্যিক। তিনি
"মল্লিনাথ", "বিদুর" ও  "অন্যদর্শী" ছদ্মনামেও লিখেছেন। তিনি
জন্মগ্রহণ  করেন   অবিভক্ত  বাংলার   ময়মনসিংহ  জেলার,
কিশোরগঞ্জ সাবডিভিশনের কমলপুর গ্রামে। পিতা উপেন্দ্রচন্দ্র
ধর ও  মাতা  চিন্ময়ী দেবী।  ১৯৫০ সালে তিনি কল্পনা দেবীর
সঙ্গে  বিবাহসূত্রে  আবদ্ধ  হন।  তাঁদের  দুই  কন্যা  নীলাঞ্জনা
চৌধুরী এবং সুরঞ্জনা চৌধুরী।
কবি কৃষ্ণ ধরের ছাত্রজীবন   
কবি কৃষ্ণ ধরের কর্মজীবন    
কবি কৃষ্ণ ধরের রচনা সম্ভার    
কবি কৃষ্ণ ধরের প্রাপ্ত পুরস্কার ও সম্মাননা   
*
কবি কৃষ্ণ ধরের ছাত্রজীবন -                                                            পাতার উপরে . . .    
কবি কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর এইচ ই হাই স্কুল থেকে ১৯৪৩ সালে ম্যাট্রিক পাশ করে, আই.এ. পাশ করেন
ব্রাহ্মণবাড়িয়াতে অবস্থিত ফেনী কলেজ থেকে ১৯৪৫ সালে। ১৯৪৭ সালে কবি কলকাতার স্কটিশ চার্চ কলেজ
থেকে অর্থশাস্ত্রে স্নাতক হন। এরপর স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে, বাংলা  
সাহিত্যে, ১৯৪৭ সালে। সেখানে পাঠরত অবস্থায় ১৯৪৮ সালে তাঁর কাব্যগ্রন্থ “অঙ্গীকার” প্রকাশিত হয়।
সমালোচনা করেছিলেন স্বয়ং
কবি জীবনানন্দ দাশ, “চতুরঙ্গ” মাসিকপত্রে।
*
কবি কৃষ্ণ ধরের কর্মজীবন -                                                             পাতার উপরে . . .    
কবির কর্মজীবন আরম্ভ হয় কলকাতার দেশবন্ধু গার্লস কলেজে অধ্যাপনার মধ্য দিয়ে। ১৯৫২ সালে তিনি
যোগ দেন “যুগান্তর” পত্রিকায় সহ সম্পাদক হিসেবে এবং ওই পত্রিকার যথাক্রমে সহকারী সম্পাদক, যুগ্ম
সম্পাদক এবং সম্পাদক হয়েছিলেন। তিনি দৈনিক বসুমতীর সম্পাদকের ভার গ্রহণ করেছিলেন ১৯৯০ থেকে
১৯৯২ সাল পর্যন্ত। এছাড়া তিনি কিছুকাল কলকাতার  সুরেন্দ্রনাথ  কলেজ, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় ও
ভারতীয় বিদ্যা ভবনে সাংবাদিকতার অধ্যাপনা করেন।
*
কবি কৃষ্ণ ধরের রচনা সম্ভার -                                                        পাতার উপরে . . .    
কবি কৃষ্ণ ধরের কবিতার সম্বন্ধে
কবি শিশির কুমার দাশ তাঁর “সংসদ বাংলা সাহিত্য সঙ্গী” গ্রন্থে লিখেছেন...
“. . .
সুমিত শব্দচয়ন, রূপময় চিত্রকল্প রচনা এবং সূক্ষ্ম ভাবাবেশ তাঁর কবিতাগুলির প্রধান আকর্ষণ।
কাব্যনাট্যে তাঁর বিশিষ্টতা বিদ্ধ মহলে স্বীকৃত
।”

তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থ “অঙ্গীকার” (১৯৪৮)। অন্যান্য কাব্যগ্রন্থের মধ্যে রয়েছে “প্রথম ধরেছে কলি” (১৯৫৫), “এ
জন্মের নায়ক” (১৯৬২), “এক রাত্রির জন্য” (১৯৬০), “আমার হাতে রক্ত” (১৯৬৭), “কালের নিসর্গ দৃশ্য”
(১৯৬৮), “দুঃসময় কবিতার লেখকের কাছে” (১৯৭০), “কালের রাখাল তুমি ভিয়েতনাম” (১৯৭২), “যে যেখানে
আছো” (১৯৭৬), “শব্দহীন শোভাযাত্রা” (১৯৮১), “হে সময় হে সন্ধিক্ষণ” (১৯৯১), “নির্বাচিত কবিতা” (১৯৯৬),
“প্রিয় বাক্‌ কথা রাখো” (২০০১), “গাঙচিলের স্বপ্ন ও সাতরঙা রামধনু” (২০০৫), “হাঁটব থামব না” (২০০৮),
“শ্রেষ্ঠ কবিতা” (২০১৬), “কবিতা সংগ্রহ” (২০১৯) প্রভৃতি।

কাব্যনাট্যেও তাঁর বিশিষ্টতা বিদগ্ধ মহলে স্বীকৃত। তাঁর কাব্যনাটকের মধ্যে রয়েছে “কালের নিসর্গ দৃশ্য”  
(১৯৬৮), “পদধ্বনি পলাতক” (১৯৭৪), “নির্বাচিত কাব্যনাটক” (১৯৮৪), “বনজ্যোত্স্না ও সমবেত করতালি”
(১৯৮৬), “বিরুদ্ধ বাতাস” ( ১৯৮৯), “পায়ের শব্দ শোনা যায়” (২০০০), “কাব্যনাট্য সংগ্রহ” (২০০৯) প্রভৃতি।

তাঁর প্রকাশিত কাব্যনাটকগুলির নাম “ভোরের মানুষেরা”, “সিন্ধুপারের পাখী”, “আমি নচিকেতা”, “ডানা”,
“অভিমন্যু”, “জেগে আছ বর্ণমালা”, “খড়কুটো”, “বিরুদ্ধ বাতাস”, “বিকেলের বারান্দা পেরিয়ে”, “পায়ের শব্দ
শোনা যায়”, “প্রচ্ছদে লেগেছে ধূলো”, “কেয়া ফুলের গন্ধ”, “পদধ্বনি কার”, “যাই উত্সের দিকে”,  “একটাই
জীবন”, “নদীতেই প্রতীক”, “গোলাপের যুদ্ধ”, “ঘরে ফেরার দিন”, “যদিও সন্ধ্যা”, “পাহাড় ডেকেছিলো”, “হে সময়
হে সন্ধিক্ষণ”, “নিহত গোধূলি”, “বধ্যভূমিতে বাসর”, “করুণ রঙ্গিন পথ”, “অন্ধকারে জুঁইফুলের গন্ধ”,  
“বনজ্যোত্স্না”, “সমবেত করতালি”, “বাতিঘর”, “পদধ্বনি পলাতক” প্রভৃতি।

তাঁর অপ্রকাশিত “ফুলওয়ালী” কাব্যনাট্যটি গন্ধর্ব নাট্যগোষ্ঠী দ্বারা অভিনীত হয়েছিল ১৯৬৮/১৯৬৯ সালে।

“মস্কো থেকে দেখা” (১৯৭৪), “অন্য দেশ অন্য নগর” (১৯৮১) তাঁর উল্লেখযোগ্য ভ্রমণকাহিনী।
কবির স্মৃতিচারণার মধ্যে রয়েছে “আট দশক সাত কাহন” (২০১৬), “ঝাঁকি দর্শন” (২০১৯)।
তাঁর অকাল্পনিক লেখার
(non-fictional writings) মধ্যে রয়েছে “বই পড়ুয়ার দেখা মানুষ” (২০১৪)।
Fiction এর মধ্যে রয়েছে “পুরানো আখরগুলি” (২০১৩)।
সাহিত্য বিষয়ক লেখার মধ্যে রয়েছে “আধুনিক কালের উত্স” (১৯৬৯), “সাহিত্যের সাজঘর” (২০১৫)।
সাংবাদিকতার উপরে লিখেছেন সাংবাদিকতার দর্শন : আদর্শ ও বিচ্যুতি (২০০৩, ২য় সংস্করণ ২০১৫)।
তাঁর ইতিহাসকেন্দ্রিক রচনার মধ্যে রয়েছে মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশ (১৯৭১), কলকাতার তিন শতক
(১৯৮৯, ২য় সংস্করণ ১৯৯৪), ভারতের মুক্তি সংগ্রামে বাংলা (১৯৯৭)।
জীবনীগ্রন্থের মধ্যে রয়েছে দেশনায়ক সুভাষ (১৯৯৭, ২য় সংস্করণ ২০০৭), সংগ্রামী সম্পাদক বিবেকানন্দ
মুখোপাধ্যায় (২০০৭) প্রভৃতি।
*
কবি কৃষ্ণ ধরের প্রাপ্ত পুরস্কার ও সম্মাননা -                                        পাতার উপরে . . .    
তাঁর প্রাপ্ত পুরস্কার ও সম্মাননার মধ্যে রয়েছে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সুধা বসু পুরস্কার, পোয়েট্রি
ইন্ডিয়ার পুরস্কার, শিশিরকুমার পুরস্কার, ত্রিবৃত্ত পুরস্কার, গৌরী ঘোষাল স্মারক পুরস্কার, বাংলা আকাদেমি
(পঃ বঃ) কর্তৃক প্রদত্ত নজরুল পুরস্কার, সারঙ্গ সাহিত্য পত্রিকা কর্তৃক সারঙ্গ অর্ঘ্য নিবেদন, গ্রেট বেঙ্গল  
পুরস্কার, মুজফ্ফর আহমেদ স্মৃতি পুরস্কার ইত্যাদি।

তিনি পশ্চিমবঙ্গ আকাদেমির প্রথম কার্যকরি সমিতির সদস্য হয়েছিলেন। এছাড়া তিনি পশ্চিমঙ্গ সরকারের
মাস মিডিয়া সেন্টারের সভাপতি, কলকাতা মিউনিসিপাল করপোরেশনের পুনর্নামকরণ কমিটির সদস্য এবং
রবীন্দ্র সদন উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদ্য হয়েছিলেন।