কবি লীলা মজুমদার -  জন্মগ্রহণ করেন কলকাতায়। পিতা প্রমদারঞ্জন রায় ও মাতা সুরমা দেবী
কবি উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী ছিলেন তাঁর কাকা এবং কবি সুকুমার রায় ছিলেন তাঁর খুড়তুতো দাদা।
সেই সূত্রে তিনি ছিলেন
সত্যজিত রায়ের পিসি।

জন্মের বছর ১৯০৮ থেকে ১৯১৯ পর্যন্ত, মানে তাঁর শৈশব, কাটে শিলং এ। সেখানে তিনি লরেটো কনভেন্ট
স্কুলে পড়াশোনা করেন। পিতার কলকাতায় বদলি হলে পরে ১৯১৯ থেকে কবি কলকাতার ডায়োশেসন স্কুলে
পড়াশুনো শুরু করেন। ১৯২৮ সালে তিনি ম্যাট্রিক পরীক্ষায় দ্বাদশ স্থান (মেয়েদের মধ্যে দ্বিতীয়) লাভ করে
উত্তীর্ণ হন। ১৯২৬ সালে ডায়োশেসন কলেজ থেকে তিনি আই.এ. পরীক্ষায় দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেন।
১৯২৮ সালে তিনি ইংরেজীতে অনার্স নিয়ে প্রথম স্থান লাভ করেন। ১৯৩০ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়
থেকে এম.এ. পরীক্ষায় তিনি আরেকজনের সঙ্গে প্রথম স্থান নিয়ে পাশ করেন।

১৯৩১ সালে দার্জ্জিলিং-এ এবং ১৯৩১-৩২ সালে তিনি শান্তিনিকেতনে শিক্ষকতা করেন। ১৯৩২ সালে তিনি
ডঃ সুধীরকুমার মজুমদারে সঙ্গে বিবাহসূত্রে আবদ্ধ হন। ১৯৫৬ সালে তিনি আকাশবাণী  কলকাতায়
প্রয়োজক হিসেবে যোগ দেন। ১৯৬৩ সাল পর্যন্ত এই কাজের সঙ্গে তিনি যুক্ত ছিলেন।

১৯১৩ সালে কাকা
উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী শুরু করেন শিশুদের জন্য পত্রিকা “সন্দেশ”  যা ছিল বাংলা
শিশুসাহিত্যে একটি মাইলস্টোন। ১৯২২ সালে তাঁর প্রথম গল্প “লক্ষ্মীছাড়া” সন্দেশ পত্রিকাতেই প্রকাশিত হয়।
১৯৬১ সালে সত্যজিৎ রায় সন্দেশ পত্রিকা পুনর্জীবিত করলে, তিনি ১৯৬৩ থেকে ১৯৯৪ অবধি  সাম্মানিক
সহ-সম্পাদক হিসাবে পত্রিকাটির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, ১৯৯৪-এ তাঁর স্বাস্থের অবনতির জন্য কবি সেই দায়িত্ব
থেকে অবসর গ্রহণ করেন।

তাঁর রচনাসম্ভারে রয়েছে “বদ্যিনাথের বাড়ি” (১৯৪০), “দিনদুপুরে” (১৯৪৮), “পদীপিসির বর্মীবাক্স” (১৯৫৩),
“হলদে পাখির পালক” (১৯৫৭), “হলদে পাখির পালক”, “টং লিং” (১৯৮১), “সব ভুতুড়ে" প্রভৃতি গল্প, “বক বধ
পালা” (১৯৫৯), “লঙ্কাদহন পালা” নামক নাটক, “রবীন্দ্রনাথ” (১৯৬১), “উপেন্দ্রকিশোর” (১৯৬৩), প্রভৃতি  
জীবনীগ্রন্থ। তাঁর রচিত আত্মজীবনী “পাগদণ্ডী” বাংলা সাহিত্যের একটি স্মরণীয় আত্মকথা।

তিনি ১৯৬৩ সালে অ্যাকাদেমি পুরস্কার এবং ১৯৬৮ সালে রবীন্দ্র পুরস্কারে ভূষিত হন।

লীলা মজুমদারকে কবি হিসেবে কোথাও আমরা উল্লেখিত হতে দেখিনি। কিন্তু তাঁর নাটকে আমরা পেয়েছি
একের পর এক ছড়ার ফোয়ারা। কবি না হলে কি আর তা রচনা করা সম্ভব ছিল ? তাই আমরা তাঁকেও
মিলনসাগরের কবিদের সভায় স্থান দিয়ে ধন্য হয়েছি। এখানে আমরা তুলেছি তাঁর বিভিন্ন রচনা থেকে নেয়া
কিছু ছড়া।


আমরা
মিলনসাগরে  কবি লীলা মজুমদারের কবিতা তুলে আনন্দিত।  

উত্স – শৈলশেখর মিত্র, ছোটদের অমনিবাস লীলা মজুমদার ১৯৯৯   
.         
বি শিশির কুমার দাশ, সংসদ সাহিত্য সঙ্গী, ২০০৩         


কবি লীলা মজুমদার মূল পাতায় যেতে এখানে ক্লিক করুন

আমাদের ই-মেল -
srimilansengupta@yahoo.co.in     


এই পাতার প্রথম প্রকাশ - ৩০.০৬.২০১৩
...