মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্র নদীয়া নবদ্বীপের রাজা, ১০৯৯ বঙ্গাব্দে জন্মগ্রহণ করেন | তাঁর পিতার নাম
মহারাজ রঘুরাম রায় |
১৭১০ খৃষ্টাব্দে পিতার মৃত্যুর পর তাঁর অভিষেক হয় এবং তখন থেকে মৃত্যুকাল অবধি তিনি কষ্ণনগরের
সিংহাসনে আসীন ছিলেন |
রায়গুণাকর ভারতচন্দ্র তাঁর আশ্রয় পেয়েই তাঁর যাবতীয় কীর্তি রচনা করে যেতে পেরেছিলেন | কবিরঞ্জন
রামপ্রসাদ সেনও মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্রের উত্সাহ এবং অনুগ্রহ পেয়েছিলেন | সাহিত্যের অনুরাগী মহারাজ
সাহিত্যসেবীদের বিশেষভাবে অনুগ্রহ প্রকাশ করতেন | সে দিক দিয়ে বাংলা সাহিত্যের সৃষ্টি ও প্রসারে তাঁর
অবদান সুদূরপ্রসারী |
নবাবী আমলের শেষ দিকে ইংরেজদের কাছ থেকে তিনি বিশেষ সম্মানে ভূষিত হন | তত্কালীন ইস্ট
ইণ্ডিয়া কোম্পানি তাঁকে "রাজেন্দ্র বাহাদুর" উপাধি ও দ্বাদশটি কামান উপঢৌকন প্রদান করেন |
তীক্ষ্ণ বুদ্ধি সম্পন্ন ও রসিক সভাসদ গোপাল ভাঁড় ও মহারাজাকে নিয়ে যে বিশাল সংখ্যক গল্প প্রচলিত
আছে, তা তাঁকে পরবর্তী প্রজন্মের বাঙালীর ঘরের মানুষ করে দিয়েছে |
উত্স: দুর্গাদাস লাহিড়ি সম্পাদিত বাঙালীর গান, ১৯০৫
আমাদের যোগাযোগের ঠিকানা :-
মিলনসাগর
srimilansengupta@yahoo.co.in
.