কবি রাজা মহিমারঞ্জন রায়চৌধুরীর গান
যে কোন কবিতার উপর ক্লিক করলেই সেই কবিতাটি আপনার সামনে চলে আসবে।
ঝিঁঝিটখাম্বাজ --- কাওয়ালি


কানপুর হয়েছে জমপুর আজ দেখতে পাই |
বাল বৃদ্ধ নর নারী, সব খৃষ্টান ভূতলশায়ী ||
মাতার সম্মুখে সুতে, খণ্ড করে খড়্গাঘাতে,
কী রূপে এই ঘোর পাপে জয় হইবে সিপাই ||
তৈমুর সিরো নাদির, নিষ্ঠুর বলে ছিল স্থির,
এখন নানাসাহেব হল, তাদের সঙ্গে চিরস্থায়ী |
দুষ্ট নানাসাহেব তুমি,                কলঙ্কিত ভারতভূমি
করিলে শিশুর রক্তে, কভু তোমার রক্ষা নাই ||


.                                                ****************                                        
উপরে   


মিলনসাগর
*
পরজবাহার --- কাওয়ালি


চলো ব্রিটেনের যত সুতগণ,
রণে বীরত্বের আজ প্রয়োজন ||
ব্রিটিশেরা প্রাণ-ভয় কোনো কালে করে না,
দেখো সেই নাম ধ্বংস যেন আজ হয় না |
জয় বা মরণ সবে আনন্দেতে করো আলিঙ্গন ||
আজিকার রণে পুনঃ দিল্লি অধিকার,
করিয়ে দেখাব সবে কত চমত্কার |
তাই হে উত্সাহে সবে,
শীঘ্র যেতে বলে নিকলসন ||


.                                                ****************                                        
উপরে   


মিলনসাগর
*
ললিত --- একতালা


ও মা সাক্ষাৎ ঈশ্বরী, আমায় গর্ভে ধরি,
কত না যাতনা পেয়েছ |
এ প্রাণ থাকিতে, পারিনে ভুলিতে,
মাগো যত স্নেহ তুমি করেছ |
দেখিলে আমায়, রোগ যন্ত্রণায়
হয়েছ মা তুমি নিতান্ত ব্যকুল,
গুরু ঋণ-পাশে, জননী এ দাসে,
চিরদিন তরে বেঁধেছ |
মনে হল তোমায়, বুক ফেটে যায়,
তব তুল্য স্নেহ পাইবো কোথায়,
চিরদিন তরে, শোকের সাগরে,
ভাসাইয়ে মাগো গিয়েছ ||


.                                                ****************                                        
উপরে   


মিলনসাগর
*
সুরটমল্লার --- আড়া


বৃথায় জনম আমার, অন্ন নাই খেতে ঘরে |
পরিবারগণ সবে, ক্ষুধায় ক্রন্দন করে ||
প্রাণতুল্য পুত্রগণ, হয়ে ব্যাকুলিত মন,
বলে শীঘ্র খেতে দাও, নতুবা যাই প্রাণে মরে
দুর্ভিক্ষ হল প্রবল, আমার নাই অর্থবল,
কীরূপে বাঁচাবো প্রাণ দেখিনে উপায়---
হায় এই ছিল রে ভাগ্যে, জীবন যাবে দুর্ভিক্ষে,
ভাবিলে সেই ঘোর মৃত্যু, সতত নয়ন ঝরে ||
আর কোনো স্থান নাই, যথা গেলে অন্ন পাই,
বিপদকালেতে বন্ধু কেহ নাহি হয় |
কোথা ওহে ধণীগণ, দরিদ্রে দিয়ে অশন,
রাখো ওষ্ঠাগত প্রাণ, মঙ্গল হইবে পরে ||


.                                                ****************                                        
উপরে   


মিলনসাগর
*
সুরট --- ঝাঁপতাল


বণিক বেশে, এসে দেশে, শেষে এই ঘটাইল ||
সেনাপতি রাজমন্ত্রী সকলেরে ভুলাইল ||
লোকের দোষ কেবল, বলে কীবা হবে ফল,
ভাগ্যমন্ত্র প্রতিকূল, ফলে তাহা দেখাইল ||
যাতনা দেখিবার তরে, বধিয়াছি বহু নরে,
জাতি মান কত জনে মম লোভে হারাইল,
বণিকের কি সাধ্য হয়, বঙ্গেশ্বরে করে জয়,
আমারে করিতে ক্ষয়, বিধি বণিক পাঠাইল ||


.                                                ****************                                        
উপরে   


মিলনসাগর
*
সিন্ধুখাম্বাজ --- ধামার


হায় কী শুনিলাম আমি, শুনে বুক ফেটে যায় |
প্রাণের রামমোহন ছেড়ে গিয়েছে আমায় ||
ও ওরে বাপ রামমোহন, তোর শোক নিবারণ,
কী রূপে হবে এখন, দেখি না কোনো উপায় ||
বিশ্বেশ্বর কৃপা করে, বহু শতবর্ষ পরে,
তোর তুল্য সন্তানেরে, দিয়াছিলেন দুঃখিনীরে,
ওরে বাছা রে---
কিন্তু ভাগ্যদোষে মৃত্যু, অকালে হরিল তোমায় ||
সকল ভ্রাতার তরে, জননীরে ত্যাগ করে,
গিয়েছিলি দেশান্তরে, নানা ক্লেশ সহ্য করে,
ওরে বাছা রে---
বিদেশে হারালি প্রাণ, কেবল পরের মায়ায় ||


.                                                ****************                                        
উপরে   


মিলনসাগর
*