তরো গো দুস্তর নদী ভাঙো গো পাহাড় সুব্রত রুদ্র সম্পাদিত গণসংগীত সংগ্রহ থেকে নেওয়া, কথা ও সুর - কবি মালিনী ভট্টাচার্য
তরো গো দুস্তর নদী ভাঙো গো পাহাড়। পাষাণে আনো গো কন্যা প্রাণের জোয়ার॥ ওঠো ওঠো কিরণমালা কত নিদ্রা যাও, পাষাণ হইল যারা তাদের বাঁচাও, ওগো কিরণমালা গা তোলো॥
লক্ষ যোজন দূরের সে দেশ সত্যি সোনার গাছে। নিত্য ফলে হীরার ফল সোনার পাখি নাচে॥ ঝরিছে শীতল ধারা পরশ পেলে যার মাটির পৃথিবী হবে সুখের আগার, ওগো কিরণমালা গা তোলো॥
কল্লোলিনী তিলোত্তমা তুমি বড় ভুগেছ বিশ্বাসে কিমাকার স্বপ্নে কিংবা কবির অর্জিত অনুপ্রাসে এমন কংক্রিট কাচ নিয়নের সংকুল কলোনি এক চৌকো পর্দা থেকে অন্যটিতে হও অন্ধ বিম্বের জননী। তুমি হে বিষাদসিন্ধু, চেয়ে দ্যাখো শ্বেতপক্ষ জিরাইল তার অগ্নি খড়্গ পাহারায় সব কিছু ঠিক রেখে মানুষকে . করে বহিষ্কার।
শ্রীচরণেষু টাকামশাই, এ মঞ্চ তো আপনারই মাথা পেতে দিলাম, করুণ মুখাবৃত বর্ষণ। আপনি খাঁটি সোনা, নইলে নিখরচায় কে হাততালি পায় ? আমরা মিছেই করে মরি মানব জমির কর্ষণ। হে স্বয়ম্ভু টাকামশাই, তারা সঙ্গে জুড়িগাড়ি আটকে নিয়ে যাবেন আপনি লণ্ডন আর নিউইয়র্কে তাদের থেকে কিনে আনবেন মার্কামারা ফুটো বাসন, পুরোনো মাল --- খুব সতর্ক --- এবং যদি আপনাকে না টাঙিয়ে রাখে ডলার ভেবে ফিরে এসে ছুঁইয়ে যাবেন বিজ্ঞানীদের শুকনো জিভে মাঝে মাঝেই এমন ভুয়ো দর্শন!