যে ছেলেটি আমার মনের মতো নয় সে যদি আমার বুকে মাথা রাখে, বুক খসে যাবে ?
ভেবেছি অনেক বার, তবু, সে যখন কাছে আসে, পাগলের মতো শুধু ছুঁতে চায় মুহুর্তের প্রেমে, আমারও কেমন লাগে। আমি জানি। এইসব কষ্ট জানি। ছোঁওয়া জানি। . ছুঁতে চেয়ে থেঁৎলে যাওয়া জানি। যখন ইষৎ দূরে বসে থাকে আমার মনের মতো ছেলে, আমি তো এমনই করি, . মাথা খুঁড়ি পাথরে, শরীরে! সে কবে আদর করবে, শুরু হবে মানুষ জন্মের
জিনস্ পরা ছেড়ে দিতে পারি তুমি যদি বল ; অন্য নারী হয়ে যাব অতি অনায়াসে যে মেয়ে তোমাকে ভালবাসে তার ছোট চুল, বিনাতেলে ( তুমি যেন কাকে বলেছিলে ) সে কখনও হতেই পারে না! বেশ, হব নিজের অচেনা কাল থেকে, তুমি বলো যদি তোমার পায়ের কাছে নদী খুলে রাখবে নীল ধনেখালি। আমার সমস্ত পুরুষালি মুদ্রাদোষ ওড়াব হাওয়ায়। জিনস্ পরা ছেড়ে দেওয়া যায় সহজেই ; নদী হতে পেলে . . .
কি শিখেছ ইহজন্মে ? চিলের মত সুযোগসন্ধান এক টুকরো অন্ধকার হাতিয়ে নেওয়া ঠোঁটের ভেতরে যথেষ্ট সময় নেই, দ্রুত ছিঁড়ে ফেলা রক্তমুখ গভীর অসুখী ডানা সারাদিন চক্রাকারে ঘোরে . . .
যে মুহুর্ত একা পাই সে মুহুর্ত আমার আমার বালক হতচকিত, হাত থেকে সমাজ গড়ায় রাস্তা থেকে নর্দমায় গিয়ে পড়ে ; পড়েছে পড়ুক, মারণাস্ত্র দুই ঠোঁট, ঢুকে গেছে তীব্র নিশানায়
তোমার সুস্বাদু ত্বক ছিঁড়ে নিয়ে আকাশে পালাব যেখানে কঠিন চূড়া লবনাক্ত, সমস্ত পাথুরে নখরে বিঁধিয়ে রাখব মনুষ্যজন্মের মত ক্ষুধা যতবার কাছে পাব তোকে তোর বাড়ি থেকে দূরে।
চাঁদ উঠেছে জোথনাতে আজ সারা আকাশ ভাসে তাই দেখে ওই বারান্দাতে ছোট্ট খোকা হাসে। ছোট্ট খোকার মা বলেছে, আয় আয় চাঁদমামা, চাঁদকপালে টি দিয়ে যা--- দেবো জরির জামা।
জোছনাতে আজ বান ডেকেছে সোনার বরণ চাঁদে, তাই দেখে ওই পথের ধারে ছোট্ট খোকা কাঁদে। ছোট্ট খোকার মা বলেছে, আয় আয় চাঁদমামা, শুকনো রুটি জুটিয়ে খোকার রান্নাটাকে থামা।
এমনি করেই ছোট্টবেলায় চাঁদ দেখে প্রত্যেকে, সব মায়েরাই খোকন ভোলায় চাঁদকে ডেকে ডেকে। চাঁদ তো নিজের জোছনা মেখে হেসেই কুটিকুটি, এর কাছে সে সোনার থালা ওর কাছে সে রুটি!
পশ্চিমের ওই বারান্দাটার চট্ লা-ভাঙা জাফরিটা, তার ওপাশে অন্ধকারে অরণ্যময় আফ্রিকা। ভাবছে মনে --- অরণ্য কই! এই তো টানা বারান্দা! সামনে দ্যাখো তাঞ্জানিয়া, তার ওদিকে উগাণ্ডা গা-ছমছম দিনদুপুরে গহীন জলে জঙ্গলে দুরন্ত সব জন্তুগুলো বেড়ায় দলে দঙ্গলে। ভাবছো এটা ভ্যারেণ্ডাঝোপ ? ওর ভেতরে সিংহ নেই ? বুঝবে যখন ফাটবে পিলে হুংকারে আর বৃংহণেই। বৃংহণ কী, তাও জানো না ? হাতির ডাকের শুদ্ধ নাম। বানানটা খুব খটমটে। হ্যাঁ তারপরে যা বলছিলাম--- বুক ফুলিয়ে নিজের মনে হাঁটছি একা সাবধানে, জন্তুরা তো লুকিয়ে আছে এদিক ওদিক সব খানে। বলতে পারো, ঠিক না আমার, এমনতরো দুঃসাহস,--- কিন্তু আমি মন্ত্র জানি, বনের পশু মানবে পোষ। শিকার আমার পছন্দ নয়, কাজ কী তবে বন্দুকে। না হয় ধরো যাচ্ছি আমি ডাকতে আমার বন্ধুকে। বন্ধুটা কে ? ওই ওপাড়ার সিংহবাড়ীর সাত্যকি। যুদ্ধে আমায় হারিয়ে দেবে, সিংহবাবুর সাধ্য কী!