কবি মণিন্দ্র গুপ্তর কবিতা
যে কোন গানের উপর ক্লিক করলেই সেই গানটি আপনার সামনে চলে আসবে।
*


লাল রুখু চুল
.        সূর্যাস্তের মধ্যে
.
মিলনসাগর.কম অর্কিডের উজ্জ্বল শিকড়ের মতো উড়ছে |
.
মিলনসাগর থেকে----- দেখি,  দেখি,   তোমার তামাটে মুখখানা দেখি !

কবিতাটি মিলনসাগর.কম থেকে কপি করা হয়েছে     
সূর্য এখনই অস্ত যাবে |  পশুর মতো ক্ষীণ শরীরে
আমরা হাঁটু পর্যন্ত জলস্রোত পেরিয়ে চলেছি-----
.         জলস্রোত ক্রমশ তীব্র --- কনকনে----

.                    ******************     
.                                                                                  
সুচিতে...   


মিলনসাগর
*


তবু নিঃসঙ্গ নই-----
কুকারের মধ্যে মাংস টগবগায় | একা খাওয়া বড়ো আনন্দের ----
খাদ্য, আমি---- দুইজন মুখোমুখি |  প্লেট থেকে কথা বলছে
সাদা ভাত বহু মমতার, বৌলে মাংস
বন্য উপকথা, যেন বনের কিনারে
একটি হাঁড়ি ও আকাশ, তিন দিকে মহাশূন্য ---- হাঁড়ি থেকে
মহাজাগতিক মেঘে বিশ্বসংসারের গল্প ওঠে-----
কবিতাটি মিলনসাগর.কম থেকে কপি করা হয়েছে---     

হালকা ঘুমে সারারাত ---- মুনলাইট্ সোনাটার বন :
আলো-আঁধারির মধ্যে গাছে হাওয়া হঠাৎ ঘুরছে---শব্দ :
একপাল লাল বেবুন লাফ দিল চাঁদ লক্ষ্য করে |  এইবার
চড়া হাওয়া----  ডালপালায় টান ---- শব্দ :  বুনো টাট্টু
কেশর উড়িয়ে আসছে, থমকে আবার উলটো ছুট-----
কবিতাটি মিলনসাগর.কম থেকে কপি করা হয়েছে     

কখনও নিসঃঙ্গ নই, নিজেই নিজের সঙ্গে থাকি |

.                 ******************     
.                                                                                  
সুচিতে...   


মিলনসাগর
*
সংগ্রহ     
মণীন্দ্র গুপ্ত

শুরু হয়েছিল ডাকটিকিট দিয়ে------
তারপর দেশলাইয়ের বাক্স, মুদ্রা, মুখোশ, প্রজাপতি, নুড়ি ,
অবশেষে চাঁদের পাথর |
কিন্তু এসব হচ্ছে দুগ্ধপায়ী শিশুর যোগ্য---
তারপর, তারপরই আমার লক্ষ্য হল সাবালক পুরুষালি বস্তু |
এবং বলতে পারি, এখন আমার সগর্ব সংগ্রহে আছে
ইয়োরোপীয় সতীদের ব্যবহৃত গুটি পঞ্চাশেক চেস্টিটি বেল্ট,
জ্যান্ত অবস্থায় ছাড়ানো রেড ইন্ডিয়ান যোদ্ধার
রক্তমাখা
বিনুনি ও ঝুঁটি সুদ্ধ মাথার কিছু চামড়া,
নাগা ও বোর্নিওর নৃমুন্ডশিকারীর খুনী দা,
বাঙালি আত্মঘাতিনীর ফাঁসুড়ে শাড়ি ( তার মধ্যে দুখানা বালুচরী ),
মাউরি সুন্দরীর উল্কি-আঁকা পিঠের ও তলপেটের ছাল,
ছাড়ানো
পারমাণবিক যুদ্ধ-পরবর্তী কালো পীত এবং সাদা রঙের মানবভ্রূণ, বিভিন্ন
.
মিলনসাগর.কম পর্যায়ের |


বর্তমানে আমি খুঁজে বেড়াচ্ছি
সমাধিস্থ সাধুর মস্তিষ্ক, এবং
বাঁশের অগ্রভাগে লটকানো
চৌকো গর্তে খাপে-খাপে লেগে যায় এমন একটি গোল দন্ড
বা ভাইসি ভর্সা  |

.                 ******************     
.                                                                                  
সুচিতে...   


মিলনসাগর
*
কোকিল     
মণীন্দ্র গুপ্ত

মৃত্যু হল কি না জানব কী করে ?
হাতুড়েরা বলল, নাক মুখ চোখ দিয়ে তখন প্রাণের বাতাস বেরিয়ে যাবে |
ডাক্তার বলল, যখন রাইগার মর্টিস শুরু হবে |
মিলনসাগর
এ যেন এত সোজা --- ‘বাড়িতে আছো নাকি, থাকলে সাড়া দাও |’
সাড়া না দিলে বুঝব,  নেই |
মিলনসাগর.কম
গুরুজি বললেন, দেখ, বাহার যদি ঠিক ঠিক হয়
তবে কোকিল ডাকবেই | বলে আলাপ করতে করতে
যেই কোমল নিখাদ থেকে ধৈবতে মিড় লাগিয়েছেন,
অমনি দূরে সাড়া দিল কোকিল |
মিলনসাগর।


আমি ভাবছি --- আমার বেলা, কোকিল যদি দেশে না থাকে ?
ছটফটে বসন্তের শেষে কোকিল যদি ঘুমিয়ে পড়ে ?
কবিতাটি মিলনসাগর.কম থেকে কপি করা হয়েছে     

আমার গুরুর মতো গুরু হয় না | উনি মড়া জাগাতে পারেন
তারপর থেকে বাহারের সঙ্গে ক্রমাগত ডেকে যাচ্ছে
মৃত কোকিল !
মিলনসাগর.কম থেকে কপি পেস্ট
করা এই কবিতা। আপনারা এর প্রতিবাদ করুন
   
.                 ******************     
.                                                                                  
সুচিতে...   


মিলনসাগর
*


গড়িয়ার আন্টুনি কবিয়াল, আর শ্যামবাজারের ভোলা ময়রা,
আজ সন্ধ্যায় আপনারা ধর্মতলার মোড়ে হাজির থাকবেন |
ঢাউস একখানা চাঁদ উঠবে আজ |
তাতে কি হয়েছে


চাঁদ উঠলেই যানবাহন বন্ধ |  তখন
তরজার একখানা দারুণ আসর বসবে-----
আমরা পুরো শহরটাকে নিয়ে আসছি |
জাগো  !
মিলনসাগর থেকে নকল করা


বাপের সুপুত্তুর নই বলে বাপমার মনে বড় দুঃখ---- আমাদের
কেরানী বাপমা, শিক্ষক বাপমা, জেল ওয়ার্ডার বাপমা
কে ফেলে নি চোখের জল  !


আজ, ক্যাপ্টেনকে ঘিরে ছেলেরা যেমন মাঠে নামে তেমনি করে
আমাদের দুঃখী মা-বাবাদের নিয়ে আসব আমরা----
আমাদের সবচেয়ে সুন্দর জামা তাদের পরিয়ে দিয়ে
হুর্ রা বলে চেঁচিয়ে উঠব |
জাগো !  জাগো  !
মিলনসাগর.কম থেকে কপি পেস্ট
করা এই কবিতা। আপনারা এর প্রতিবাদ করুন
  

.                 ******************     
.                                                                                  
সুচিতে...   


মিলনসাগর
এখন ওসব কথা থাক
মণীন্দ্র গুপ্ত
রাত্রিতরঙ্গ     
মণীন্দ্র গুপ্ত
লা তালা খুলি |  ঘর নয়, বোবা কালা মা-মরা সন্তান
ছে  |  থাক |  --- ক্লান্ত লাগে-----
.কেলে ফিরে দেখি : ঘুলঘুলির রৌদ্র নিয়ে
লছে |  সমবয়সীর মতো মেতে উঠে হঠাৎ চমকাই :
.য়া ধ’রে আছি,  ও রোদ্দুরের সঙ্গে চলে গেছে |
বর্ষার সন্ধ্যায় |  ----- কিছুতেই থাকবে না ঘরে---- কালো বেড়ালের মতো
ঠে, নখ বার করে |
য়ে লাথি মেরে বার করে দিই---- উড়ে যায় অভিশপ্ত
. মতো বর্ষায় বিদ্যুতে অন্ধকার----
ত রক্ত কিংবা দুঃখ খেয়ে ফিরে আসবে ভোরের আগেই |
চন্দ্রহাস     
মণীন্দ্র গুপ্ত
চে টায়ার-সোলের চপ্পল খলবলিয়ে উঠছে,
.ন্ সের মজবুত সেলাইয়ের মধ্যে
টকা ঊরু,
তাসের জেট প্রপালশন
.র মতো আমাদের শরীরকে
তেজে বাঁকিয়ে দিচ্ছে!
লে, অনলে, পর্বতে, শত্রুমধ্যে যে কোনো মুহূর্তে
র জন্য তৈরি |


স্টেলের  এল. এস. ডি খাওয়া প্রিয়ঙ্গুফুলের মতো মেয়েরা,
ভোরের স্রোত গাছের মধ্যে ঘুরে ঘুরে
মেখে আসছে------