“মানুষ খাব না আর, এবারে মানুষ হব” ---এই ব’লে রাক্ষসী এলিয়ে পড়ল বিদূষকের গায়ে তার সারা গায়ে রক্ত চটচট করছে চুল থেকে খ’সে পড়ছে লাল-নীল শুঁয়োপোকা আর উড়তে না পেরে প্রজাপতি নেতিয়ে পড়েছে আগুনের ছোট ছোট ছেলে মেয়েদের কাছে “এসব কি ঠিক হচ্ছে ?” ---বলতে গিয়ে বিদূষক একবার হোঁচট খেল দু’বার হোঁচট খেল। তিনবারের বার রাক্ষসীর মোটা ঠোঁটদুটো ফেভিকুইক দিয়ে সেঁটে দিল যাতে সে জন্মের মতো মিথ্যেকথা গিলে নিতে পারে।
চলো এই অন্ধকারে মেধার ফলন হোক এই অন্ধ আমাদের চলো, অজ্ঞতা গোপন করি জ্ঞানের গভীরে রাখি মধু ও মদের চক্রদোষ চলো আজ পুরুষাঙ্গ হাতে নিই, নারীর শালীন শাড়ির আড়াল থেকে খুলে নিই তোমায় গোপন তোমার গোপন গুহ্য-দ্বারে রাখি সকালবেলার খবর-কাগজ, দুধ, ডিম, আর বাজারের থলে চলো মন জল দাো বাগানের গাছে আর সরল আগাছা তোমার দীঘল স্তন চুষে খাক সন্তানের মতো চুষে খাক, শুষে নিক তোমার শরীর থেকে সঙ্গমের ক্ষুধা ক্ষুধা এই সকালের রুটি আর আলুভাজা অমৃত অপার অপার, অপার, আমি তোমায় কোথায় রাখি, কোন গর্ভাধারে ? কোন ফুলে মাথা রেখে ঘুমিয়ে পড়েছ, কোন ঋতুরক্তমাখা শরীর পেয়েছ তুমি, সুপুরির মতো, কোন দু’এক কুচিতে আমাদের লিপ্সা, প্রেম, মৃত্যু আর ভয় লেগে আছে ? ভয়ের শরীরে আমি লাথি মারি, সন্মোহন, আমাকে বাঁচাও আণাকে বাঁচাও এই ষড়যন্ত্র থেকে এই অনন্ত হত্যার নির্বিকার আয়োজন থেকে এই দু’দিন তিনদিনে আমাকে সরিয়ে দাও ক্ষুধার যে-কোন প্রান্তে, যে-কোন মধুর নিহিত চক্রের মধ্যে ছুঁড়ে দাো আমাদের স্বপ্ন, উন্মাদনা আমাদের নষ্ট জন্ম . . .নষ্ট প্রেম . . .স্মৃতি ও সম্ভব . . .