ভালোবাসলে
কবি মোহিত চট্টোপাধ্যায়
ভালোবাসলে কোন দিকে তাকাবো না। জোরে টান দিয়ে
তোমাকে বাতাসে রৌদ্রে নিয়ে যাব। নানা খেলনায়
পুনরায় লোভ হবে। যেন আমি প্রাপ্ত বয়সের
স্বভাব ভুলেছি ; ক্ষিপ্ত, যেরকম খুশি চুমু খাব।
যেরকম খুশি নৃত্যে সুমসৃণ সভ্য জনপদে
হাস্যরোল দেখা দেবে, কীটদুষ্ট সৌখিন আঙুল
তুলো ধরা আমাদের ক্রীড়াভ্রান্তি সমস্ত দেখাবে।
আমাদের বয়ে গেল, চল ওই টিলার উপরে।
দেখো কত ক্ষুদ্রকায় ঐসব মানুষের খুশি
সব থেকে উঁচু পাহাড়ের চূড়া। যেখানে যখন
এসে যাব, বিনা ক্ষোভে তোমার গলার হার, চুড়ি
দূরে ছুঁড়ে দিতে পার। আকাশের বস্ত্র নেই, জল
তরঙ্গের স্তনগুলি মুক্ত রাখে প্রকাশ্য আলোকে
আমরাও প্রকৃতির মতো নগ্ন হতে পারি ভালোবাসা পেলে।
. ******************
. সূচিতে . . .
মিলনসাগর
কবি মোহিত চট্টোপাধ্যায়
ভালোবাসলে কোন দিকে তাকাবো না। জোরে টান দিয়ে
তোমাকে বাতাসে রৌদ্রে নিয়ে যাব। নানা খেলনায়
পুনরায় লোভ হবে। যেন আমি প্রাপ্ত বয়সের
স্বভাব ভুলেছি ; ক্ষিপ্ত, যেরকম খুশি চুমু খাব।
যেরকম খুশি নৃত্যে সুমসৃণ সভ্য জনপদে
হাস্যরোল দেখা দেবে, কীটদুষ্ট সৌখিন আঙুল
তুলো ধরা আমাদের ক্রীড়াভ্রান্তি সমস্ত দেখাবে।
আমাদের বয়ে গেল, চল ওই টিলার উপরে।
দেখো কত ক্ষুদ্রকায় ঐসব মানুষের খুশি
সব থেকে উঁচু পাহাড়ের চূড়া। যেখানে যখন
এসে যাব, বিনা ক্ষোভে তোমার গলার হার, চুড়ি
দূরে ছুঁড়ে দিতে পার। আকাশের বস্ত্র নেই, জল
তরঙ্গের স্তনগুলি মুক্ত রাখে প্রকাশ্য আলোকে
আমরাও প্রকৃতির মতো নগ্ন হতে পারি ভালোবাসা পেলে।
. ******************
. সূচিতে . . .
মিলনসাগর
| কবি মোহিত চট্টোপাধ্যায়ের কবিতা |
বুদ্ধির জগৎ থেকে
কবি মোহিত চট্টোপাধ্যায়
এইমাত্র পালিয়েছি . . . ফের শোনো দরজায় আঘাত।
হেমলক! হেমলক! --- কে আমার পশ্চাতে ধাবিত!
জিহ্বায় অদ্ভুত তিক্ত গলিত ফলের স্বাদ।
. কপালের স্বেদে
অপরূপ দুটি, চক্ষু, কোমল বাতাস করো বাঁচি!
কে রয়েছ বাতায়নে ? --- ভূতলে নিপাত যাও সুবিজ্ঞ ডেভিল।
আকাশে কি শব্দ করে বৃষ্টি ঝরে রক্-এন-রোল . . .
অশান্ত আঙুলে আমি স্পর্ষ করি ললাটের চতুর কুন্তল
তারপর সারা দেহ খুলে যায় অমলিন বিমুক্ত বালিকা
দশটি আঙুল ভাসে সারা গায়ে কাগজের নৌকার মতন
পৃথিবীর মানুষেরা হয়তো এখন সব প্রজাপতি কিংবা হরিণী।
হে কঠিন সিংহাসন, তুমি এই পৃথিবীর তিনভাগ নিও
বালকের জন্য কিছু দ্বিধাহীন ক্রীড়াভূমি রেখো।
. ******************
. সূচিতে . . .
মিলনসাগর
কবি মোহিত চট্টোপাধ্যায়
এইমাত্র পালিয়েছি . . . ফের শোনো দরজায় আঘাত।
হেমলক! হেমলক! --- কে আমার পশ্চাতে ধাবিত!
জিহ্বায় অদ্ভুত তিক্ত গলিত ফলের স্বাদ।
. কপালের স্বেদে
অপরূপ দুটি, চক্ষু, কোমল বাতাস করো বাঁচি!
কে রয়েছ বাতায়নে ? --- ভূতলে নিপাত যাও সুবিজ্ঞ ডেভিল।
আকাশে কি শব্দ করে বৃষ্টি ঝরে রক্-এন-রোল . . .
অশান্ত আঙুলে আমি স্পর্ষ করি ললাটের চতুর কুন্তল
তারপর সারা দেহ খুলে যায় অমলিন বিমুক্ত বালিকা
দশটি আঙুল ভাসে সারা গায়ে কাগজের নৌকার মতন
পৃথিবীর মানুষেরা হয়তো এখন সব প্রজাপতি কিংবা হরিণী।
হে কঠিন সিংহাসন, তুমি এই পৃথিবীর তিনভাগ নিও
বালকের জন্য কিছু দ্বিধাহীন ক্রীড়াভূমি রেখো।
. ******************
. সূচিতে . . .
মিলনসাগর
বাঁচায় শুধু ভালোবাসা
কবি মোহিত চট্টোপাধ্যায়
ভালোবাসা, বাঁচায় শুধু ভালোবাসা।
ওই আকাশে কদিন ছিল মুগ্ধ বাসা।
খোঁপায়, চুলে, বক্ষে, চোখে দুরন্ত নীল
বজ্র সম জ্বলতো তাপে। ভগ্ন ডানা
কাঁপত ক্ষোভে রঞ্জিত ঘোর গহন ত্বকে।
চতুর্দিকে ধ্বংস তবু পাথর ঠেলে
ভূবন জুড়ে ফুটতে থাকে দীপ্ত চাঁপা।
হঠাৎ যদি ফিরিয়ে দিল জীর্ণ চাঁপা
অরণ্য কি সরিয়ে নেবে সেই মালতী?
নৈরাশ্যে ম্লান জুড়িয়ে আসা পুরুষটিকে
শুভ্র তাপে জড়ায় যার ভুজলতা।
পাথর ঘষে পথর ঘষে আগুন জ্বেলে
তীব্রতম বীজ ছড়াবে তুষার স্তূপে।
এ-ঘর থেকে ও-ঘর চলো, সকল দ্বারে
দুঃখ যদি ; তাকিয়ে দ্যাখো, কোথায় সেবা।
ভালোবাসা, বাঁচায় শুধু ভালোবাসা।
. ******************
. সূচিতে . . .
মিলনসাগর
কবি মোহিত চট্টোপাধ্যায়
ভালোবাসা, বাঁচায় শুধু ভালোবাসা।
ওই আকাশে কদিন ছিল মুগ্ধ বাসা।
খোঁপায়, চুলে, বক্ষে, চোখে দুরন্ত নীল
বজ্র সম জ্বলতো তাপে। ভগ্ন ডানা
কাঁপত ক্ষোভে রঞ্জিত ঘোর গহন ত্বকে।
চতুর্দিকে ধ্বংস তবু পাথর ঠেলে
ভূবন জুড়ে ফুটতে থাকে দীপ্ত চাঁপা।
হঠাৎ যদি ফিরিয়ে দিল জীর্ণ চাঁপা
অরণ্য কি সরিয়ে নেবে সেই মালতী?
নৈরাশ্যে ম্লান জুড়িয়ে আসা পুরুষটিকে
শুভ্র তাপে জড়ায় যার ভুজলতা।
পাথর ঘষে পথর ঘষে আগুন জ্বেলে
তীব্রতম বীজ ছড়াবে তুষার স্তূপে।
এ-ঘর থেকে ও-ঘর চলো, সকল দ্বারে
দুঃখ যদি ; তাকিয়ে দ্যাখো, কোথায় সেবা।
ভালোবাসা, বাঁচায় শুধু ভালোবাসা।
. ******************
. সূচিতে . . .
মিলনসাগর