গড়িয়াহাটার গোঁসাই খুড়ী---- করতে ভোজন নেই গো জুড়ি ! নিজ গৃহে কি পরের বাড়ী গৌরব তার গিলতে ভারি | দুপুর গিয়ে সাঁঝ যে গড়ায় গোবর গোলা জল যে ছড়ায় গৈরিক এক গরদ পরে গুরুর নামে গীত সে ধরে | গান গেয়ে যেই হাঁপিয়ে পড়া---- অমনি খাওয়া ডিমের বড়া |
এক যে বামুন বাঁটকুলে---- নাই কেহ তার সাত কুলে, বাপ মা দাদা বোন যে নাই, বৌ অথবা ভায়রা ভাই, বেটা বেটি আগেই শেষ, সময় তবু কাটছে বেশ | বুকে নিয়ে বৃহৎ বীণ বাজায় বসে রাত কি দিন, শুনতে রোজই আসেন ঠিক এক পাতানো বৈবাহিক | মানুষ সে তো নয় হে নয়, হুলো বিড়াল মহাশয় !
ওই যে যামিনী যার . দাঁত আছে বেরিয়ে, যৌবন চলে গেছে . বহু দিন পেরিয়ে, যকের ধনের মত . টাকা রাখে আগ্ লে, রেগে-মেগে তেড়ে যায় . কেউ ভিখ মাগ্ লে, যুবক হবার লোভে . যোগ করে লুকিয়ে, যুগল পায়ের ফাঁকে . নাক দেয় ঢুকিয়ে, শাক্-পাতা-গাঁদালের . যুষ খায় দৈনিক, যামিনাকে বলে তাই--- . বায়ু-ভূক সৈনিক |
ষোলো বছর বয়স খোকার---- . মগজ কিছুই নয় জানে না সে নামতা পড়া, . ‘ষট্’ মানে যে ছয় | ‘ষড়ানন’ যে শিবের ছেলে . সে কথা নেই জানা ; এক থেকে ষাট লিখতে কলম . হয় ভেঙে তিনখানা |
. লাল পোশাকে তাকে দেখে . সেদিন পথে ষাঁড় . শিং দিয়ে খুব কড়া দাওয়াই . ঠুকলো কয়েকবার | . মা কেঁদে কন--ষাট্ ষাট্ ষাট্ . দুধের বাছা হা’রে, . উঠলে সেরে পূজা দেবো . ষোড়শ উপাচারে |