শালিক পাখি, শালিক পাখি, তুই আকাশের মালিক নাকি ? মেলে দিয়ে রঙীন ডানা----- চষে বেড়াস আকাশখানা ; আপন মনেই ঘুরিস শুধু, মাথার ওপর রোদ যে ধূ-ধূ ! বকে না কেউ, কেউ মারে না পড়---বলে কেউ হাঁক ছাড়ে না | শালিক রে তোর খুব মজা---ইস্ ! কিচির-মিচির গান যে জুড়িস ! নিজেই যে তুই নিজের মালিক, ওরে আমার পুঁচকে শালিক !!
ওই যে দেখ আট-চালা, ওই আমাদের পাঠশালা | ওই ঘরেরই ঠিক তলে রোজ যে মোদের পাঠ চলে | আমরা পোড়ো একশ’ জন, পড়াশুনোয় বেজায় মন ; নাম্ তা পড়ি একসাথে, তাল রেখে যাই দুই হাতে | আশায় ভরা মোদের বুক, করবো আলো দেশের মুখ ||
কাকাতুয়া, কাকাতুয়া, . তুই কার কাকা রে ? খাসা দেখি চোখা চোখা . ঠোঁট দুটো বাঁকা রে ! মাথার ঝুঁটিটা ঠিক . ছবি যেন আঁকা রে ! পাখীদের মাঝে তুই . বড় বেশ আকারে !
. চোখদুটি ঘোরে যেন . ছোট দুই চাকা রে ; . সাদা সাদা পালকেতে . সারা গা-টা ঢাকা রে | . ফল খাস রোজ রোজ . কাঁচা আর পাকা রে ; . মানুষের মত ঠিক . নাম ধরে ডাকা রে !!
ময়না , ময়না ! কথা ঠিক কয় না | যদি বলি -----‘বলো আম’, বলে সে যে ----‘বলরাম’ | বলি----পড়ো ‘রাধা রাধা’ , সে তো বলে-----‘গাধা গাধা’ ; বললেই -------‘আয়না’ বলে দেয়------‘গয়না’ | আমাদের ময়না ঠিক কথা কয় না | কচি পেটে ছাতু ছাড়া আর কিছু সয় না !!
টিকটিকি টিক্ টিক্ , চোখ দুটো চিক্ চিক্, বড় লেজ মোটা-সোটা করে শুধু নামা ওঠা ; দেয়ালের উঁচু গায় পোকা-টোকা ধরে খায় |
বাবুদের বড়খোকা অতি বড় এক রোখা ! দেখে ওই লেজখানা শয়তানি জাগে নানা ; ছড়িখানা বাগিয়ে, ধীরে ধীরে এগিয়ে, খোঁচা যেই মারলো---- লেজ খসে পড়লো | খোকা হাসে ফিক্ ফিক্, টিকটিকি বলে----ঠিক !
গাঙ-শালিকের ছোট জামাই . গঙ্গা-ফরিং চৌধুরী, নদীর ঘাটে সেদিন হঠাৎ . গেল যে তার বৌ-চুরি | চোরটা ছিল ময়ূর-মোহন, . জোর চালিয়াৎ বেশ-বাসে, ধরা পড়ে হাজির হলো . ঈগল-পাখীর এজলাসে | শাস্তি-স্বরূপ কাটা গেল . চোরের পালক এক ঝাঁকা, তাই না দিয়ে বৌকে ফড়িং . বানিয়ে দিলে হাতপাখা ||
শোন না রে এই টুনটুনিটা, ধার দিবি তোর ঝুন্ ঝুনিটা ! ফুড়ুৎ ফুড়ুৎ উড়িস যখন বাজতে থাকে সুর যে মিঠা ! মা রেঁধেছেন সাপ্ টে, পিঠা তালের বড়া ভাজছে ঝি-টা ; ভাগটা আমার দেবো তোরে দিস্ যদি তোর ঝুন্ ঝুনিটা, শোন না রে ভাই টুনটুনিটা |