বর্গি হানা ২০০৬ মৃদুল দাশগুপ্ত সিঙ্গুর নন্দীগ্রাম আন্দোলনের প্রতিবাদী কবিতা। এই কবিতাটি হুগলী জেলা থেকে প্রকাশিত পাক্ষিক 'প্রতিপক্ষ' পত্রিকাতে ১৬ - ৩০ এপ্রিল ২০০৭ সংখ্যায় প্রকাশিত হয়েছিল |
ওরা যদি এসে গায়ে হাত দেয় মা-র কোল থেকে শিশু কেড়ে নেয় শুরু হলে সেই কালো অধ্যায় আমি বলবোই --- এটা অন্যায় |
সেই যুগ যদি এই যুগে আসে গ্রামগুলি কাঁপে খাকি সন্ত্রাসে ঘোরতর সেই সর্বনাশে কৃষিজমি যায় নগরের গ্রাসে আমি বলবোই --- সেটা অন্যায় |
ধনখেতে যদি নামে রাজ হাতি অতি বিদ্যুতে নেভে দীপবাতি শুরু হয়ে যায় বর্গী ডাকাতি ফের এলে সেই কালো অধ্যায় আমি বলবোই --- সেটা অন্যায় |
ক্রন্দনরতা জননীর পাশে মৃদুল দাশগুপ্ত সিঙ্গুর নন্দীগ্রাম আন্দোলনের প্রতিবাদী কবিতা। এই কবিতাটি 'পর্বান্তর' পত্রিকাতে মে-আগস্ট ২০০৭ এর সংখ্যায় প্রকাশিত হয়েছিল |
ক্রন্দনরতা জননীর পাশে এখন যদি না থাকি কেন তবে লেখা, কেন গান গাওয়া কেন তবে আঁকাআঁকি ?
নিহত ভাইয়ের শবদেহ দেখে যদি না-ই হয় ক্রোধ কেন ভালবাসা, কেন বা সমাজ কিসের মূল্যবোধ !
যে মেয়ে নিখোঁজ, ছিন্নভিন্ন জঙ্গলে তাকে পেয়ে আমি কি তাকাব আকাশের দিকে বিধির বিচার চেয়ে ?
আমি তা পারি না | যা পারি কেবল সেই কবিতায় জাগে আমার বিবেক, আমার বারুদ বিস্ফোরণের আগে |
ধানখেত থেকে মৃদুল দাশগুপ্ত সিঙ্গুর নন্দীগ্রাম আন্দোলনের প্রতিবাদী কবিতা। এই কবিতাটি ৯/৩ ট্যামার লেন, কলকাতা-৭০০০০৯ থেকে প্রকাশিত 'কবিসম্মেলন' পত্রিকার জানুয়ারী ২০০৭ এর সংখ্যায় প্রকাশিত হয়েছিল |
রূপ মাত্র অন্ধকার। সূর্যাস্তে নির্মিত গৃহে কে না জানে সন্ধ্যাই সকাল। আমি তো ভূতের হাসি টের পাই দিবসেও, অধিকন্তু নিশীথের অর্থভেদ ক’রে সঞ্চয় বাড়াই, দেখি চতুর্দিকে লাস্যময়ী বিবিধ রমণী। কেউ বা ভাষার ভুলে দ্বারে উপস্থিত আর . কারো কারো রন্ধনের ছন্দে মৃদু ত্রুটি। পত্নী একজন হবে! সে ওড়ে সংকেতে তার কৌতূহল ধর্মের সমান ব’লে . উড়ন্ত আমিও--- হেঁটমুন্ড ঊর্ধ্বপদ, পিঠে বোঝা বাসনের, স্বপ্নে দেখি . কন্যা ঘুমে, পুত্র যায় শিস দিতে দিতে
নিশীথে কেঁদো না নারী, ক্ষুধা এক অনিবার্য প্রণয়ের ফল ; বলি কী ধর্মের কথা, যতো গ্রন্থ ততো দুর্ঘটনা। দেখেছি ফুলের রক্ত---তাও পান করে লোকে সুখে নিদ্রা যায়, তুমিও কি শিশুক্রোড়ে তরঙ্গে ভাসো না ?
গরিব দেশের ম্লান আকাশে উড্ডীন হয়ে মনে হলো দায় . ঈশ্বরের কিঞ্চিৎ অধিক ; তাই বাক্য, গুপ্ত বিদ্যা। পুস্তিকার প্রয়োজন সেই হেতু . তোমাকে বোঝাতে ; তুমি তো গ্রাহিকা মাত্র সারল্যের, ভাবো, যদি . লোহার গণিত এসে ভিন্নতর বাগিচা সাজায়!
অন্ত্রনালীতে আজ লুকিয়ে এনেছি হীরা, তোমাদের দেশে, আমাকে ফেরাবে ? আমার সবুজ টুপি জঙ্গলে পড়ে আছে পাথরের নীচে মেরো না আমাকে এই যে আমার বাঁশি মহিষের ঘন কালো শিংধাতুমোড়া এছাড়াও আর--- এনেছি তোমার জন্যে পালক-পোষাক, গামবুট পড়ে আমি পাহাড় ডিঙিয়ে কতো---কতো বেলা হলো খেতে দাও, দূরে কার ঘরবাড়ি ভাঙা ঘড়ি, চার্চ ভোর বেলা ভাঙিয়ে দেবে তো ঘুম ? এই শোনো, আমারও তো ছিলো ডাকনাম