আমিও কখনো হয়তো শুনেছি সে কান্না তথাপি বৃদ্ধের সেই সব উচ্চারণ সেও বুঝি দম্ভিত অহঙ্কার রূপবতী বল তুমি কি চন্দ্র হাসের গান শুনেছ তাহলে অতন্দ্র রাত কেন মায়ামৃত নিবিড় ঘন পাতায় পাতায় দুষ্টু ইশারা নগ্ন স্তনে ডুবন্ত মুখ প্রাচীন পৃথিবীর মা মা মা মা আমার অনাদি অনন্ত সুখদাং বরদাং আমার জননী প্রিয়া ভাবাও ভাবিত মাতৃমূর্তি নারী কামনা কোথায় রাখি বল বিশ্বমুখী উচ্চারণ।।
শশাঙ্ক ভটচায্ কী আজ বেঁচে আছো আমার স্কুলের কলেজের সহপাঠী বেশ ঘন বন্ধুত্ব ছিল তোমার সঙ্গে অথচ কেন যে আমরা পরস্পরের খোঁজ খবর করিনি অথবা রাখিনি তা আর জানি না তার চেয়ে বড় বিস্ময় এই বিচ্ছিন্নতার কোন কারনও ছিল না- ‘কেন’র কোন অস্তিত্বই ছিল না অথচ বহু সময় পার করে আজও শশাঙ্ক ভটচায্ তোমাকে মাঝে মধ্যেই মনে পড়ে তোমার কটা চোখ সরু মুখ ডান দিকে সিঁথি ঝকঝকে দাঁত চকচকে বুদ্ধি পরণে ধুতি ধবধবে শাদা শার্ট পায়ে চটি একটা হাতে লেখা পত্রিকা- ‘উশীর’ কি ছিল তার নাম
কোথায় যে হারিয়ে গেলে শশাঙ্ক হঠাত্ গভীর পূর্ণিমার রাতে একা একা বালির পাহারে ব’সে ঝরঝর করে কান্না, উষ্ঞ চোখের জল এ কী কেবল সংবেদন না কি গভীরতর কোন বোধ কোন চেতনার উশীর কি হোক না, কীই বা আসে যায় কার আমিও কি যাইনি হারিয়ে আলমোড়ায় রাণীখেতে কিংবা কৌশানির পাহাড়ে জঙ্গলে প্রচন্ড ব্যস্ত শহর দিল্লীতে
বিকেলের ক্লান্ত রোদ্দুরে পিঠ রেখে চামেলিদি সানন্দা পড়ার ছলে কি দেখছো তোমার স্বামী কমলদা এখন তাহলে নৈহাটির অফিসে - এই অবসরে কর্মকার মাসিমার দুধেল গরুটা ক্রমে কি তোমার ফুটন্ত রঙীন রোডোডেনণ্ডচ্ছে মুখ দেয় - না কি সেই সবুজ যৌবনের উদ্ধত কামনার শীর্ষে মুখ রাখে কৈশোর উত্তীর্ণ প্রথম শারীরি স্বাদ পাওয়া
প্রবল প্রাণের বিহ্বল চোখ দুটির উজ্জল অন্বেষণ মৃয়মান সময়ের কালাতিপাতে নোঙর করে কুবের মাঝি ঘুমন্ত বিকালে আজ কি কথা কয় কানে কানে ও চামেলিদি সানন্দার পাতার বাইরে কোন লেখা পড় কার ছবি দেখ বুকে হাত রেখে সত্যি বলতো সেই বোলপুর কথা কয় কিনা বুকের পর্দায়
হা হতস্মি আপেল কলার রাজনীতিতে প্রেমের পাওয়ার অবশেষে স্টিয়ারিং নেয় মন্ত্রিবেশে সর্বনেশে মাঘের শেষে পুন্য দেশে
স্তবে স্তোত্রে পুরন্ত ধূপে গদ্যে পদ্যে দান্দ্বিকতা প্রতিদিন হয়েই ওঠে নতুন প্রতিদিন পুরাতন নতুন লালজবারই সবুজ ঘন পাতার পৃথিবী ইতিহাস চিহ্নিত সামাজিক উত্পাদনের সম্পর্ক বানায় হলুদ বর্ণাভরণ প্রত্নবৌদ্ধিক ক্ষমতার লড়াই - এ
তাহ'লে জবাকুসুম মহাদ্যুতিম্ আমাদের বৃদ্ধ প্রপিতামহরই চক্ষু উন্মীলন হায়গো মিখাইল বাখটিন পথ হাঁটতে হাঁটতে ফুকো, ময়তোরিল কে যে কার হাত ধ'রে ভেঙে যায় ভেঙে দেয় দরজা এবড়ো থেবড়ো জ্যাক্স জ্যাক্স জ্যাক্স দেরিদা ধ্বনি প্রতিধ্বনি, ফ্রয়েডিয়ান ধ্রুবপদে বাঁধা হয়ে যায় লাকাঁন, উচ্চারণের জাতক প্রতিমায় সিমন মিলেট আনন্দময়ীর ভাবদ্ভোভাবন পাগল আমার, হংস খলু আনন্দ্বেব বীজায়ন নালার পাড়ে প্রাজ্ঞ এক সাদা বক ঝিমন্ত ধ্যানে মগ্ন
চড়ুই পাখির হিম পালকের গায়ে লেগেছে রোদ্দুর, অলোকদা, আর কতকাল নির্বাসন দ্বাদশ শিবের মন্দিরেও আজ খুলেছে দুয়ার স্তোত্রপাঠে সেই পুরাতন গাঙ্গেয় হাওয়া মাঠ ঘাট মৃত মমিদের পুরাতনী কীর্তন অলস কার্তিকের ঝড়ন্ত বেলায় নিখাদ বন্ধুর সিন্ থেসাইজার গলিপথে মাঠুরে চলন আর কী দেরি সম্ভব সবুজ লতানো সাঁপের নিঃসাড়আবাহন, কোন ফড়িংএর সোনালি পাখায় মা যে কাঁদেন রোজ থির্ থির্ অবারণ, মাঠময় অতিদূর গভীর রোদন---- একা একা ভারী ভাল লাগে এই পৃথিবী অথচ কেউ তো অবিরাম জেগে থাকে দস্যুর লুন্ঠনে নিশ্চিন্ত , সফল তার বাণিজ্যকরণ---- এক মুহূর্ত হয় পর মুহূর্ত পর মুহূর্ত বর্তমান অনাহত প্রচরণ সময়ের দাগ মুছে দেয় কার্তিক অঘ্রায়ণ কিংবা শতাব্দীর গমন তখন আমিও মিলিত হই শরীক হই অবিরাম মহাশূন্যের ভগ্ন এক সময়ের পৃথক অস্তিত্বে যার কোন অর্থ নেই, শব্দ নেই কায়াহীন শূন্য স্মৃতি----- অলোকদা এইসব সত্য যদি আরো সত্য হয় আজ তবে কেন এই আয়োজন এই সময়ের খড়িতে জাগানো নতুন শতাব্দী |