কবি নবীনচন্দ্র সেন - উনবিংশ শতকের জনপ্রিয় কবি ছিলেন। তিনি জন্মগ্রহণ করেন চট্টগ্রামে।

তাঁর প্রথম প্রকাশিত খণ্ডকবিতার সংকলন “অবকাশ রঞ্জিনী” (১৮৭১)। কবি হিসেবে তিনি প্রতিষ্ঠা পান তাঁর
দীর্ঘ আখ্যান কাব্য “পলাশীর যুদ্ধ” (১৮৭৫)-এর প্রকাশনার পরেই।

দেশপ্রেমের উদ্দীপনা, ভাষার অনর্গলতা এবং ভাষণরীতির তেজস্বিতা তাঁর জনপ্রিয়তার মূলে।

“রৈবতক” (১৮৮৭), “কুরুক্ষেত্র” (১৮৯৩),  এবং “প্রভাস” (১৮৯৬) কাব্যত্রয় তাঁর কবি-প্রতিভার সর্বোত্তম
উদাহরণ। শ্রীকৃষ্ণের জীবন নিয়ে এই তিনটি কাব্যে তিনি  মহাভারতের নতুন ব্যাখ্যা করেছেন।

তাঁর অন্যান্য কাব্যগ্রন্থের মধ্যে রয়েছে “ক্লিওপেট্রা” (১৮৭৭), “রঙ্গমতী” (১৮৮০), “খৃষ্ট” (১৮৯১), “অমিতাভ”
(১৮৯৫), “অমৃতাভ” (১৯০৯) প্রভৃতি। “ভানুমতী” (১৯০০) নামে তিনি একটি উপন্যাসও রচনা করেন।

অনেকের মতে তাঁর দীর্ঘতম, পাঁচখণ্ডে গদ্য রচনা “আমার জীবন” (১৯০৮ - ১৯১৩) তাঁর সর্বাপেক্ষা সুখপাঠ্য
রচনা। তাঁর জনপ্রিয়তা উনবিংশ শতকের শেষ অবধি অক্ষুণ্ণ ছিল। আবেগের প্রচণ্ডতায় তিনি পাঠকদের
মুগ্ধ করেছিলেন।

নবীনচন্দ্রের পরই বাংলা দীর্ঘ কাব্যের অবসান ঘটে বলা চলে।


আমরা
মিলনসাগরে  কবি নবীনচন্দ্র সেনের কবিতা তুলে আগামী প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দিতে পারলে
আমাদের এই প্রচেষ্টা সার্থক হবে।


উত্সশিশির কুমার দাশ, সংসদ বাংলা সাহিত্য সঙ্গী, ২০০৩।   

কবি নবীনচন্দ্র সেনের মূল পাতায় যেতে এখানে ক্লিক করুন।    


আমাদের ই-মেল -
srimilansengupta@yahoo.co.in     


এই পাতার প্রথম প্রকাশ - ২০০৫
পরিবর্ধিত সংস্করণ - ১৬.১.২০১৪  

...